পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] স্বষ্টিকৰ্ত্তার অভিপ্রায় এখানে দেখবেন। সৰ্ব্বত্রই তাই। Geology বলে, একটা পদার্থ আছে, Goological স্তর। বড় বড় পাথরের শিলালিপিতে এর বৈজ্ঞানিক ইতিহাস লেখা আছে—সঙ্গে সঙ্গে সমস্তচাপা দিয়েছেন। উপরে যেখানে প্রাণের আনন্দ-নিকেতন, সেখানে শোভা দিয়ে, গান দিয়ে, বৈজ্ঞানিক ইতিহাস ঢাকা পড়েছে : এক সময় ঢাকা ছিল না ; সে ভয়ঙ্কর লীলা তখন ছিল। সমস্ত শক্তিতে তখন বিশ্বকৰ্ম্মার হাতুড়ীর ঠোকাঠুকি চলছিল। ভয়ানক কারখানার ভিতর বড় বড় চাকা ঘুরছিল। বড় বড় অগ্নিকুণ্ড জ্বপূছিল, সে একদিন ছিল, বিধাতা তাতে গৌরব বোধ করেননি। সেটাকে চরম বলে’ স্বীকার করেননি। চিমূনিতে ধোয় পাড়িয়ে আগুন নিভিয়ে দিলেন, কারখানা বন্ধ করে দিলেন। কারখানা-ঘরের পর্দা পড়ে গেল। সেদিন তিনি রসের আকাশ থেকে রস পাঠিয়ে দিলেন, তার রুদ্র নৃত্যের খর দৃষ্টি পাঠালেন না, সেদিন চাদ হাস্লে, স্বৰ্য্য হাঁসলে, পৃথিবী হাসলে। এর থেকে আর-একটি কথা মনে পড়ে। পৃথিবীর যে সভ্যতা ক্রমাগত মাংশপেশীকে দেখাচ্ছে, factoryর চোঙাগুলি উপরে তুলে ধরে যা বিধাতার সৌন্দৰ্য্যকে লুকিয়ে রাখতে উদ্যত, চতুর্দিকের এই কুৎসিত স্বষ্টি তিনি করেননি—যা প্রাণকে পীড়িত করছে, যা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ল—কোথায় লণ্ডন থেকে টোকিও পৰ্য্যস্ত সব জায়গায় factory-দানব তার শৃঙ্গধানি কবৃছে, সে ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস কলুষিত হ’ল। সৰ্ব্বত্র শক্তি আপনার নগ্নতাকে উদঘাটিত করে তার রূপ দেখাচ্ছে। বিধাতা দেখাননি তিনি র্তার শক্তি-রূপকে লুকিয়ে রেখেছেন, ঢেকে দিয়েছেন । ¥छ। মামুষের সত্যতার ক্রমাগত এই শক্তির অভিযানে অমৃতলোককে, আনন্দ-লোককে পীড়িত কবৃলে । সব জায়গায় মানুষ আপনার শক্তিরূপকে প্রকাশ করছে, আজকার দিনে আমাদের যে-কিছু দুঃখ সে এই দুঃখ। মানুষ নিৰ্মাণ করবে কেবল নয়, স্বষ্টিও করবে। সভ্যতা যদি তার স্বষ্টি হয় তবে সে ধন্ত, কিন্তু এ যদি কেবল নিজের জন্ত নিৰ্মাণ হয় তবে ধিক্ ! এ নিৰ্ম্মাণের চেষ্টা শেষ কথা বলতে পারে না। কোনখানে শেষ কথা ? মামুযের সঙ্গে মানুষের যে-সম্বন্ধ তথ্যকে অতিক্রম করে সত্যের সম্বন্ধকে বিস্তার করে, যা প্রেমের সম্বন্ধ, যা সৌন্দর্য্যের সম্বন্ধ, যা কল্যাণের সম্বন্ধ সেখানে মামুষের স্বষ্টি কেন ? সেখানে প্রত্যেক মানুষ আপনার অসীম মূল্যকে লাভ করে। সেখানে প্রত্যেক মানুষের জন্ত সমস্ত মানুষ তপস্তা করে, সেখানে মহাপুরুষের প্রাণ দিয়েছেন প্রত্যেক মানুষের জন্ত, মহাজ্ঞানীরা জ্ঞান এনেছেন প্রত্যেক মানুষের জন্ত ; কিন্তু যেখানে একজন মহাজন ১০ জন দরিদ্রকে শোষণ করছে, বস্তা বস্তা কাপড়-চোপড় জিনিষপত্র উৎপন্ন করে পৃথিবীকে ছেয়ে দিয়েছে, সেখানে সে পৃথিবীকে পীড়িত করছে, সেখানে মানুষ আপনার আনন্দরূপকে প্রকাশ করতে পারলে না। আনন্দরূপে অসীম প্রকাশ পাচ্ছে, শক্তিরূপে না । সে আনন্দরূপ মানুষ এখনও প্রকাশ করেনি। তাঁর Inachine-gun, তাঁর factory, তার লাভলোকসান মানুষের চিত্তকে অভিভূত করছে, পীড়িত করছে ; কিন্তু মানুষ বলতে পারে—এ নয়—এ নয়। এসমস্ত বিশ্বের মূলতত্বের বিরোধী। মানুষ পূর্ণতার স্বষ্টি করবে, নিৰ্মাণ করবে না। নিৰ্মাণ যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু করবে। সেটা সামনে এনে নির্মাণের কারখানা দ্বারা পৃথিবীর चर्षणश्ब्रि-विहिब्र क८ब्र' कमर्षीठां दिखांद्र कब्रुत्व, विषांठ १छछ शांबूसरक ऋडेि करब्रननि । अछ औय ७ जखएक७ कप्द्रननि, शांत्रूय छां करद्र । यथन cनशिन नशछि cषरक ७णूम-वब्रांश्ननंब्र गर्षीख. शंक्रांब्र ধারকে কি পীড়িত দেখলুম। কি কুত্ৰ । Factoryর লজ্জা নেই, manufacture বাকে বলি তার লজ্জা নেই । সে নয়। সেখানে মানুষের লজা নেই। সেখানে মেয়ে-পুরুষে কাজ-কৰ্ম্ম কবৃছে, তারা লজ-সভ্রম কষ্টিপাথর—সাহিত্য ‘LL O ত্যাগ করেছে, গহন পরে’ সেজে-গুজে বেড়ায়, লজ্জা নেই। কুই বেতার লজ্জা নেই। Factory নিলাজত নিৰ্ম্মাণ করে। সে নিলজিত পৃথিবীকে পীড়িত করছে, সমস্তের সঙ্গে তার বিরোধ, অসামঞ্জস্ত, এ-কথাটিবল্বার ভার তাদের উপর ধারা সৌন্দৰ্য স্বটি করছে। বারংবার তাদের বলতে হবে তুমি রাজতত্তে বসেছ বলে বড় নও, তুমি Governor হ’য়ে এসেছ বলে বড় নও, তুমি পুলিশের কৰ্ত্ত বলে বড় নও, এ-কথা আমি বলতে পারি ; গান গেরে বলতে পারি, তোমার সমস্ত Polico Regulation, আইন-আদালত রাজ্য-সাম্রাজ্য ছাপিয়ে যাবে। তুমি আকাঙ্গা বুকে করে রেখেছ, সমস্ত জগতের সঙ্গে তোমার ुन्न অসামঞ্জস্ত আছে, বিধাতা যখন আপনাকে প্রকাশ করতে চান विांनम्नङ्गं, তখন তুমি তার স্বরে স্বর মিলালে না? পৃথিবীতে সুন্দরের বাণী এসেছে, তুমি তার সিংহাসনে দাগ কেট না। কোণ খসিয়ে দিও না, সে যে কোমল শতদল পদ্ম, মত্ত করার মতো তাকে দলতে ঘেও না। একথা বলার অধিকার আমার আছে। কারণ আমি তোমার চেয়ে শক্তিতে থাট। বিধাতার আনন্দলোকে কুলী বীভৎস এন না ; আমি তার আনন্দকে মেনেছি একথা বার বার আমাদের বঁাশী কি বলছে না ? এই বিবাহের দিনে বাণী বলছে তোমরা যে সত্য হবে, বরবধূ। ১-২ হাজার টাকা IBankএ বাড়বে ব’লে সত্য হবে তা নয়। এখানে যে-সত্য সে-সত্যের কথা বিশ্বের ছন্দের ভিতর, Bankএর ভিতর নেই, টাকার ঝনঝণানিতে নেই, সে যে আনন্দলোকের সত্য, স্বষ্টির সত্য, পরস্পরের সঙ্গে পরম্পরের সম্বন্ধে সত্য, সে সত্য স্বরে বাজে, সে সত্য ছবিতে রং মাথায়, সে সত্য কৰি ছলে প্রকাশ করে, সে সত্য যদি গ্রহণ কর তুমি সত্য হবে, সংসার অমৃতময় হবে, সে-সংসার তোমার স্বষ্টি হবে। সেখানে উপকরণ-বস্তুর দ্বারা স্বষ্টি হয় না, তুমি Whiteaway Laidlawn cotsia cers জিনিষপত্র আনলে তার দ্বারা সত্য হবে না। এসমস্ত তথ্য দ্বারা সত্য হবে না, কিন্তু তুমি অস্তরের মধ্যে যদি সে গানের স্বর তুলতে পার যে-গান সমস্ত জীবনের মধ্যে অনায়াসে বাজে, আকাশে বাতাসে যে-গান বাজে, তোমার জীবনে যদি সে গান বাজাও, তুমি ধন্ত হবে। গরীবের ঘরে ঐশ্বৰ্য্য' —সে ঐশ্বৰ্য্যের বাণী, সে ঐশ্বৰ্য্যের আমন্ত্রণ কোনূখানে আছে ? রাজকোষে নেই, সেনানিবাসে নেই। সেখানে আছে যেখানে সে সুন্দরকে রূপ দিয়ে স্বষ্টি করছে। জীবনের ভিতর প্রাণের ভিতর পরস্পরের ভিতর, কল্যাণের সম্বন্ধের ভিতর যেখানে সে স্বষ্টি করছে সেখানে সে পরমকে পেয়েছে। সভ্যতাকে সেই পরমের আদর্শ দিয়ে বিচার করতে হবে। আবার বলুতে হবে—সেই এক কথা, আশা করি এখানে কেহ হাস্বেন না। এ বাণী বারবার বলেছি—আমি এইসকল পরম সত্য শিশুকাল থেকে পুনরাবৃত্তি করছি—হাজার বার বলেছি, আবার বলব—মৈত্রেী বলেছে উপকরণ নিয়ে কি হবে— “বেনাহং নামৃত স্তামু কিমহং তেন কুৰ্য্যাম, বদেব ভগবান বেদ তদেব মে ক্ৰহি ।” সমস্ত সভ্যতাকে একথা বলতে হবে, তুমি অমৃত হওনি, মৃত্যুর উপকরণ জড় করেছ। অমৃত সেখানে যেখানে তোমার পূর্ণতা প্রকাশ পাচ্ছে। সে-পূর্ণতাকে গানে কার্ষ্যে শিল্পে পাওয়া যায়, প্রেমে স্নেহে আনন্দে নানা-রকম করে প্রকাশ করে। নানা পথ আছে। যদি কোন সমাজে দেখি সে প্রকাশ আর-সমস্তকে ছাপিয়ে উঠে সে, সমাজে অল্প বঙ্গের শুিজবস্থা জালুতে চাইনে, আমি বলব ধন্ত হয়েছে সে সমাজ, সে সমাজ সভ্যতার চরম শিখরে উন্নীত হয়েছে-জাজকার দিনে এই কথাটি মনে করিয়ে দিলে আমাদের ঐ গলির বাণী। অামি হয়ত অাজকে বলতে বেতুম ছন্দ বতে কি বুঝি, কোনূ ছন্দ কিরকম, সাহিত্যে ছন্দের স্থান কি, কি করলে সে ছদ আঘাত গুায়, কি কৱলে