পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ሰ8 চন্দ্রগর্ভনম প্রদান করিয়াছিলেন । তিনি প্রথম বয়সে জেতরি নামক পণ্ডিতের নিকট শিক্ষালাভ করেন। ক্রমে বয়োগুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হীনযান শাবকের তিনটি পিটক, বৈশেষিক দর্শন, মহাযান মতের ত্রিপিটক, মাধ্যমিক মতবাদের দর্শনশাস্ত্র, যোগাচাৰ্য্য মতবাদ ও চারিপ্রকার তন্ত্রশস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তৎকালে দিগ্বিজয়ী পণ্ডিতকে পরাভব করিতে না পারিলে পাণ্ডিত্যের সম্যক্ প্রতিষ্ঠা হইত না। অতীশ একজন দিগ্বিজয়ীকেও পরাভূত করেন। কিন্তু ধর্কের জন্য যাহাদের অস্থর ব্যাকুল হয়, তাহার শুষ্ক বিদ্যার ভার বহন করিয়া বা প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজয় করির শান্তি লাভ করিতে পারেন না । অতীশ ধৰ্ম্মলাভের আকাঙ্ক্ষর কৃষ্ণগিরির রাহুল গুপ্তের নিকট উপস্থিত হইলেন। রাহুল গুপ্ত তাহকে ত্ৰিশিক্ষা প্রদান করিলেন। ১৯ বৎসর বয়সে তিনি ওদপ্তপুরীর বিহারে ভিক্ষুধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন । পরে ৩১ বৎসর বয়ঃক্রমকালে শেঠ ভিক্ষুর আসনে উন্নীত হন। কিন্তু ইহাতেও ঠাহীর অস্তরের ধৰ্ম্ম-পিপাস মিটিল না। ভারতবর্ষের মধ্যে কেহই এই নবীন সাধকের সমস্তার সমাধান করিতে পারিলেন না ; তান্ত তিনি সুবর্ণদ্বীপে গমন করিলেন । পণ্ডিতগণ বলেন, এই সুবর্ণদ্বীপ বৰ্ম্মাদেশেরই নমস্তের। সুপর্ণদ্বীপে তিনি অশেষ বিদ্যালভ করিয়া যথন দেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন, তথন পাল-সাম্রাজ্যের অধীশ্বর স্বয়ং তাঙ্গকে বিক্রমশিলা মহাবিহারের অধ্যক্ষ হইবার জন্ত অনুরোধ করিলেন । অতীশ রাজাকুরোধক্রমে সেই মহাসন্মানজনক পদ গ্রহণ করিলেন । দেশ-দেশাস্তুর হইতে বহু ছাত্র অসিয়া ক্ষষ্ঠীশের নিকট শিক্ষালাভ করিতেন । এইরূপ একদল তিব্বতীয় ছাত্র অতীশের নিকট শিক্ষা লাভ করিয়া দেশে যাইয় তাহীর গুণ-কীৰ্ত্তন করিলেন । এদিকে তিব্বতের রাজা যোশী বৌদ্ধধর্মের সংস্কার করিবার জন্য কি উপায় অবলম্বন করী বায়, তাহীর বিষয় চিস্ত করিতেছিলেন । তিনি ভারত-প্রত্যাগত ছাত্ৰগণেব মুগে অতীশের কীৰ্শ্বিকাহিনী শুনিয়া, তাহকে তিব্বতে আনয়ন করিবার জন্ত অয়োজন করিতে লাগিলেন । প্রথম বাবে যে চীনদেশীয় পরিব্রাজক-দল উহাকে লক্টতে আসিল, তাহারা শুনিল যে, অতীশকে সাধারণতঃ দ্বিতীয় সৰ্ব্বজ্ঞ বলা হইয় থাকে। তাহীকে লইয়। বাইবার পস্তাবকে লোকে উপহাস করিয়া উড়াইয় দিলে—তিনি কি কখনও সর্বারাম ছাড়ির বিদেশে যান ? এই কথা শুনিয়া উচিারী নিবুক্ত হইয়া দেশে চলিয়া যান। দ্বিতীয় বারেও প্লাঙ্গ বহু অর্থ দিয়া LLLLSLLLLgSttLLLLSSLLLgBB SBBSBBSK SBBB S BBBB BBBB BBS BBBB BBBB BBBB BK BSBBB BBBS BBBS BSBB অষ্ট্ৰীশকে বহু অর্থ উপটৌকন দিয়া নিজেদের প্রস্তাব বিনীতভাবে ওপেন করিলেন। যিনি পৃথিবীর সমস্ত ঐশ্বৰ্য্য ও বিলাসকে পদাঘাত করিয়া পবিত্র ধৰ্ম্মণপণ গ্রহণ করিয়াছেন, তিনি কি আর সামান্ত অর্থ লেন্তে মুগ্ধ হন ? অতীশ তাহাদিগকে সমস্ত অর্থ ফেরত দিলেন, কিছুই গ্রহণ করিলেন না ; আর, দেশ ছাড়িয় যাইতেও সুস্বীকার করিলেন। ইহাতে উহাদের নেত কঁাদিয়া ফেলিলেন। তথন অতীশ উহাকে এই বলিয়া সাশ্বন দিলেন যে, তাহাদিগকে অপমান করিবার জন্ত তিনি অর্থ গ্রহণে অস্বীকৃত হন নাই ; তবে তিনি তিব্বতে যাইতে পরিবেন না । ইহারা ব্যর্থমনোরথ হইয়া দেশে প্রত্যাগমন করিলে পর, রাঙ্গ৷ যোণীহড পুনরায় অতীশকে আনিবার জন্য অর্থ সংগ্ৰহ করিতে লাগিলেন। উহার মুনের সঙ্কল্প অচল অটল—অধ্যবসায় অনন্তসাধারণ। কিন্তু এবার যখন তিনি কোন স্ববর্ণখনি হইতে স্বর্ণ আহরণ করিতেছিলেন, তখন তাহার শত্রু এক রাজা আসিয়া উহাকে ধরিয়া লইয়া যায়। শক্রর কারাগারে রাজা যোশীহড, প্রাণ ত্যাগ করিলেন, প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড কিন্তু মৃত্যুর শেষ নিঃশ্বাসের সহিত তাহার ভ্রাতুষ্পত্রকে অনুরোধ করিয়া গেলেন যে, অতীশকে যেন পুনরায় তাহার নাম করিয়া আহবান করা হয়—যেমন করিয়া হউক, অতীশের দ্বারা যেন তিব্বতীয় ধর্গের সংস্কার করান হয় । এবারে Nag-frho (নাগ-চো ) নামে একজন তিব্বতীয় পণ্ডিত অতীশকে লইতে আসিলেন। ইনি একখানি গ্রন্থে অতীশের জীবনচরিত লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। সেখানিকেই উপজীব্য করিয়া উল্লিখিত ও নিম্নলিখিত বিবরণ প্রদত্ত হইল। নাগ-চো বিক্রমশীল মহাবিহারে উপস্থিত হইয়া তিব্বতীয়গণের জন্য যে ভাগ নির্দিষ্ট ছিল, তাহাতে গমন করিলেন। সেখানে তাহর স্বদেশীয় এক পণ্ডিতের সঙ্গিত যুক্তি করিয়া স্থির করিলেন যে, যুদ্ধ স্থবির আচাৰ্য্য রত্নাকরের মনস্তুষ্টি যদি নাগ-চো সাধন করিতে পারেন, তবে তাহার দ্বার অতীশকে তিব্বত গমনের জন্য আদেশ করা যাইতে পারে। নাগ চে৷ রত্নীকরের শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করিয়া বহুদিন পরে তাহাকে মনের অভিলাষ জ্ঞাপণ করিলেন। রত্নীকব অতীশকে তিব্বত যাইতে আদেশ দিলেন। অতীশকে ঐ সময়ে পুনবার নাগ চো প্রচুর অর্থ উপটৌকন দিলেন —অতীশ পূর্ববারের হার এবারও তাহার এক কপর্দক গ্রহণ করিলেন না। তিনি গুরীর আদেশ ও তিব্বতবাসীদের একান্ত আগ্রহ অবহেলা করিতে না পরিয়া, এবার ভথায় গমন করিতে স্বীকৃত হইলেন। তবে তখন র্তাহার হস্তে বহু বিহারের ভার ছিল বলিয়, তংক্ষণাৎই যাইতে পারিলেন না । কিছু বিলম্ব হইল। অতীশকে যেরূপ সমারোহের সহিত তিব্বতবাসিগণ আহবান করিয়া লইয়াছিল, তাহারও উজ্জ্বল চিত্র নাগ চো এবং—তাহার গ্রন্থের ভাব asol foifo “ludin l'anilils in the lound of Snow.” নামক গ্রন্থে পাঠকগণ দেখিতে পাইবেন । তিব্বতের রাজা অতীশকে জোভোজী বা প্রভু, স্বামী বলিয়া সম্বোধন করিঙেন—সম্বমভরে কদাচ নাম গ্রহণ করিতেন না । অতীশ পঞ্চদশ বর্ষকীল তিব্বতে বাস করিয়া সেথানকার ধৰ্ম্মকে স্বসংস্কৃত করিলেন। সেখানে আজীর নুতন সংস্করণ করিলেন ও লোকের নৈতিক চরিত্রের সংশোধনের চেষ্টা করিলেন । তিনি তিব্বতের যে-সকল বিহারে পদপিণ করিয়াছিলেন, আজও তিব্বতবাদীরা, তাহার স্মৃতি সবত্বে সেইসকল স্থানে রক্ষা করিয়াছে । তিব্বতীয় লীমাধৰ্ম্মের গুরু ব্রাসটন তাহার শিষ্য ছিলেন। তিনি তিব্বতে বহু গ্ৰন্থ রচনা করেন—তন্মধ্যে “বোধি-পথপ্রদীপের” আলোকে অীজও তথাকার লোক ধৰ্ম্ম-পথ নিরূপণ করিতেছে । র্তাহীর ধৰ্ম্মমতের প্রভাব সম্বন্ধে পণ্ডিতগণের মধ্যে কিছু মতভেদ দেথা qfg i Sir (“fiarles Eliot štąją RR zref>RS ilinduism and |Buddhism slog fifsson— “It may soom it is “t to “till fln' touching of Afisit :u rı·Îıyıtıı. fwr liu • I •r sftosswd tlıı~ 1\al;u·lı:ıkra. łłio tatest and most corrupt form of Indian Ruddhism : Inui it was donlitless superior în discipline and culu'rolley to the liative superstițiolis united with delistol '!'.inli’ism which it replaced.” কিন্তু মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় বলেন—“তিনি তিব্বতে মহাযান মতেরই প্রচার করেন । তিনি বেশ বুঝিয়াছিলেন যে, তিববতীর বিশুদ্ধ মহাযান ধৰ্ম্মের অধিকারী নয় ; কেননা, তখনও তাঁহার দৈত্যদানবের পুজা করিত : তাই তিনি অনেক বজ্রযান ও কালচক্র্যানের গ্রন্থ তর্জমা করিয়াছিলেন ও অনেক পুজাপদ্ধতি ও স্তোত্রাদি লিখিয়াझिालन !”