পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওর সংখ্যা } সমাজসংস্কার সম্বন্ধে কয়েকটি কথা woао ফলে অপরিপুষ্ট বালিকার সন্তান বলিয়া হীন-বীৰ্য্য ক্ষীণতেজ ও শীর্ণদেহ দুৰ্ব্বল জাতি হইয়া পড়িয়াছি। বস্তুতঃ ইহাই আমাদের শারীরিক দুর্বলতার প্রধান কারণ। बउ नैज ७३ क्रूयथा गयाख छहेरङ मूत्रैौफूड इग्न उउद्दे আমাদের জাতীয় জীবনুের পক্ষে মঙ্গল। ইহার কুফল সৰ্ব্বসাধারণের বিদিত থাকা সত্বেও এই প্রথা দুইটি কারণবশতঃ সমাজে প্রচলিত হইয়া আসিতেছে। এক কারণ— শান্ত্রিক ব্যবস্থা, অর্থাৎ কন্যার কোন-এক নির্দিষ্ট বয়সের পূৰ্ব্বেই বিবাহ দেওয়া প্রত্যেক হিন্দুর পক্ষে কৰ্ত্তব্য। আর-এক কারণ—জনসাধারণের আর্থিক অবস্থা । ধনীরা প্রাচীন প্রথা অনুসরণ করিয়া এবং স্থল-বিশেষে সখ করিয়া অপ্রাপ্ত-বয়স্ক পুত্র-কন্যার বিবাহ দিয়া থাকেন। দরিদ্রের কস্তার ভরণপোষণের দায়িত্ব হইতে নিস্কৃতি-লাভের জন্ত যত শীঘ্র সম্ভব কন্যাকে পাত্রস্থ করে । এই শ্রেণীর কোটি কোটি লোকের আর্থিক অবস্থা যত দিন উন্নত না হয়, তত দিন সমাজ হইতে বাল্য-বিবাহের প্রথা কিছুতেই উঠিয়া যাইতে পারিবে না। বাল্য-বিবাহ হইতেই বাল-বৈধব্যের স্বষ্টি । বাল্যবিবাহ সমাজ হইতে উঠিয়া গেলে সমাজে বাল-বিধবা দেখা যাইতে পারে না এবং তাহার সঙ্গে সঙ্গে সমাজে পতিতা স্ত্রীলোকের সংখ্যাও কমিয়া যাইতে পারে । কিন্তু ভ্ৰষ্ট ও অমৃতপ্ত স্ত্রীলোক সমাজে যখন রহিয়াছে, তাহাদের উদ্ধার ও সংশোধনের উপায় সমাজকে করিতে হইবে । বাল্য-বিবাহের ফলে বা অন্ত কারণে সমাজে যে-সকল নিরাশ্রয় বিধবা রহিয়াছে, সদভাবে তাহাদের জীবিকা-নির্বাহের জন্ত স্থানে স্থানে কৰ্ম্মক্ষেত্র প্রস্তুত কর; কওঁব্য। নিরাশ্রয় স্ত্রীলোকের শোচনীয় অবস্থার উন্নতি-সাধন, স্ত্রীলোকের সচ্চরিত্রতার উপর জাতীয় গৌরব-বোধ এবং আইন-পরিবর্তন দ্বারাই সমাজ হইতে স্ত্রীলোকের দেহ-বিক্রয়ক্কপ ব্যবসায় বন্ধ কৰা যাইতে পারে। জীবিত বা মৃত স্বামীর প্রতি কায়মনোবাক্যে একনিষ্ঠতা সম্রান্ত হিন্দু-স্ত্রীলোকের অস্তিত্বের নিদর্শন-স্বরূপ। সেইজন্তই হিন্দু সমাজে বিধবা-বিবাহ একটা স্থণার বিষয় হইয়া পড়িয়াছে। যে আইনের সহায়তায় বিধবা-বিবাহ হইতে পারে, তাহার দ্বারাই বিধবা-বিবাহের প্রলোভন অনেকটা কমিয়া গিয়াছে, কেননা পুনৰ্ব্বার বিবাহ করিতে গেলেই মৃত স্বামীর উত্তরাধিকার ও সম্পত্তি হইতে বিধবাকে বঞ্চিত হইতে হয় । স্বতরাং বিধবার পক্ষে পুনৰ্ব্বার বিবাহ করা একটা শাস্তি-বিশেষ । এই বিষয়ে আইনকারকদের মনোযোগ আকর্ষণ করা যাইতে পারে । যে-সকল স্ত্রীলোক কলকারখানায় বা খনিতে কাজ করিয়া জীবিকা উপার্জন করে তাহাদের দুরবস্থার উল্লেখ মাত্র এখানে করা যাইতেছে। অস্বাস্থ্যকর পারিপার্থিক অবস্থা ও অকুচিত পরিশ্রম ও আহারাদি যে কেবল এইসকল স্ত্রীলোকদের পক্ষেই অনিষ্টকর তাহা নহে, তাহাতে তাহাদের সস্তানসস্ততিরও অনিষ্ট ঘটিতেছে । ইহার প্রতিকার আইনকারকদের হাতে, সমাজ-সংস্কার স্বারা ইহার কোন ব্যবস্থা হইতে পারে না । e সভানেত্রী মহাশয়া বলেন যে, তাহার নিজের অভিজ্ঞতার অভাববশতঃই মদ্যপান প্রভৃতি বিশেষভাবে পুরুষ সম্বন্ধীয় সমস্যার আলোচনা করা হয় নাই। কিন্তু একটি কথার উল্লেখ না করিয়া তিনি তাহার অভিভাষণ শেষ করিতে পারেন নাই। অস্ত্যজ লোক ব্রাহ্মণাদি উচ্চশ্রেণীর লোকদের অস্পৃশু এই কথা সকলেই জানেন। আপাততঃ ত্রিবাঙ্কুরে অস্পৃশ্যতামূলক যে-সকল ঘটনা ঘটিতেছে তাহা সকলে সংবাদ-পত্ৰ হইতে অবগত আছেন । দেবমন্দির, রাজপথ, "ধ্বসাধারণের জন্ত নিৰ্ম্মিত জলাশয় প্রভৃতিতেও অস্ত্যজ লোকেরা প্রবেশ করিতে পারে না। বড়ই লজ্জা ও ক্ষোভের বিষয় এই যে, একই রক্তমাংসে গঠিত মাহুষ মামুষের এতটা স্থণার পাত্র হইতে পারে। সিডনি লো তাহার ‘ভিশন অব ইণ্ডিয়া' নামক পুস্তকে কোন অস্ত্যজ লোক কতদূর হইতে দক্ষিণ ভারতের কোন কোন অঞ্চলে ব্রাহ্মণাদি উচ্চতর শ্রেণীর লোকদিগকে স্পৰ্শ-দোষে কলুষিত করিতে পারে, তাহার একটা তালিকা প্রস্তুত করিয়াছেন । সেই তালিকা অনুসারে কৰ্শ্বকার চর্শ্বকার সূত্রধর ও রাজমিস্ত্রী ১৬ হাত ( ২৪ ফুট ) দূরে থাকিয়, তাড়ি-প্রস্তুতকারক ২৪ হাতু (৩৬ ফুট) দূরে থাকিয়া, কৃষক ৩২ হাত (৪৮ ফুট) দূরে থাকিয়া এবং