পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Վ)Գ8 প্রবাসী—অষাঢ়, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড গোমাংস-ভক্ষক আদি জাতীয় হিন্দু ৪২॥• হাত ( ২১ গজ ১২ ইঞ্চি) দূরে থাকিয়াও ব্রাহ্মণাদি লোকদিগকে অপবিত্র করিতে পারে। আমাদের স্বদেশেই যখন আমরা আমাদের নিজের লোকদিগকে এতটা অস্পৃশ্ব মনে করি তখন ইংরেজের উপনিবেশ বিশেষে জামাদিগকে নিম্নতর লোক বলিয়া কোণঠেসা হইয়া অবমানিত হইতে হইবে তাহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ! এই অস্পৃশ্যতামূলক সামাজিক সমস্তার মীমাংসার একমাত্র পথ—মিউনিসিপ্যালিটি, জেলাবোর্ড ও স্কুল প্রভৃতি যে-সকল প্রতিষ্ঠান জনসাধারণের অর্থদ্বারা পরিচালিত তাহাতে সকল শ্রেণীর লোকের অবাধ প্রবেশাধিকার দেওয়া। এরূপে লোক পরস্পরের সহিত মিশিতে অভ্যস্ত হইয়া পড়িলে অস্ত্যজ ও উচ্চতর শ্রেণীর হিন্দুদের মধ্যে এরূপ সংস্পৰ্শজ দোষের বিভীষিক অনেকটা কমিয়া যাইতে পারে। সভানেত্রী মহাশয় উপসংহারে বলেন যে, সমস্তাটি অংশতঃ রাজনৈতিক বলিয়া হিন্দু মুসলমানের একতাসাধনের প্রকৃষ্ট উপায়ের আলোচনা তিনি করেন নাই । কিন্তু তাহার মনে হয় ‘কলিকাতা ক্লাবের মত মিশ্রিত ক্লাব ও ক্রীড়া-ভূমি প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান দ্বারা এবং যেখানে যেখানে হিন্দু-মুসলমান বাস করে সে-সকল স্থানে পরম্পরের মিলন ও হিতকল্পে সম্মিলনী প্রভৃতি কৃষ্টি করিয়া হিন্দুমুসলমানের মধ্যে পরস্পরের প্রতি যে বিদ্বেষভাব আছে তাহা ক্রমশঃ দূর করা যাইতে পারে। সভানেত্রী মহাশয়ার শেষ কথা এই —সভা-সমিতিতে প্রস্তাবনা করিয়াই সমাজসংস্কারদের সন্তুষ্ট থাকিবার উপায় নাই। মূচ্ছিতা ললনার স্থায় সভায় স্বীকৃত প্রস্তাবসমূহকে সঙ্গে-সঙ্গে আপন গৃহে লইয়া যাইতে হুইবে ; এবং তৎসমূহকে কার্ঘ্যে পরিণত করিতে হইবে। জাতীয় মহাসভা বা কংগ্রেসের সভ্যদিগের দ্যায় সমাজ-সংস্কারকদের জঙ্ক কোন বিশেষ ধৰ্ম্ম বা অঙ্কুশাসন নাই একথা সত্য। কিন্তু ধৰ্ম্ম বা অনুশাসনবিশেষ অপেক্ষ কাৰ্য্যসিদ্ধির পক্ষে প্রকৃত ইচ্ছা ও একনিষ্ঠ আগ্রহকেই তিনি শ্ৰেয়ঃ মনে করেন। বস্তুতঃ সমাজ-সংস্কারকদের কোনরূপ অমুশাসনের বাধাবাধি নিয়ম নাই বলিয়া আনুষ্ঠানিক হিন্দুরা তাহাতে অবাধে যোগ দিতে পারে। অতুশাসনবিশেষের কোন প্রয়োজনও নাই। একমাত্র প্রয়োজন স্থানে স্থানে কাৰ্য্য-নিৰ্ব্বাহক সমিতি হষ্টি করা, যাচার দ্বারা অনুমোদিত প্রস্তাবসমূহ কার্ধ্যে পরিণত করা যাইতে পাবে । সভানেত্ৰী শ্ৰীযুক্ত পূর্ণিমা দেবীর অভিভাষণেব সমালোচনা পূৰ্ব্বেই সংবাদ-পত্রে প্রকাশিত হইয়াছিল। প্রাচীন হিন্দুদের আদর্শস্থানীয়া মহিলার ন্যায় তিনি সাধারণ পাঠকপাঠিকার নিকট সম্পূর্ণ পরিচিত নহেন। র্তাহার স্বামী স্বৰ্গীয় জালাপ্রসাদ শঙ্খধর জেলার মজিষ্ট্রেট এবং শাহ জাহানপুর জেলার একজন হিন্দুস্তানী ব্রাহ্মণ জমিদার ছিলেন । স্ত্রীযুক্ত পূর্ণিমা দেবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের ভ্রাতুষ্পুত্রী। উত্তরভারতীয় সামাজিক মন্ত্রণা-সভার গত অধিবেশনে তাহার সম্বন্ধে আগ্ৰা-অযোধ্যা প্রদেশের ভূতপূৰ্ব্ব মন্ত্রী এবং লীডারের সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত চিত্বরাভরী যজ্ঞেশ্বর চিস্তামণি যাহা বলেন নীচে তাহার তাৎপর্য্য দেওয়া গেল – “১৮৭৭ খৃষ্টাব্দে এদেশে সামাজিক মন্ত্রণাসভার অধিবেশন আরম্ভ ह७ब्रांब्र नब्र इहैष्ठ शहै यथभ 4कखन हिन्नू भहिणां छैहांब्र श्रृंग्निष्ठांजक হইয়াছেন। ১৯ৰৎসর পূর্ধ্বে উহার প্রথিতমামা স্বামী বারাণসীতে এইরূপ সভার সভাপতি হইয়াছিলেন। হীৰুদ্ৰণ জালাপ্রসাদ শঙ্খধর ভবিষ্যৎ কালের শীতল নি মিলিল জাতীয় জীবনের নানা ক্ষেত্রে মুক্তি ও স্বাধীনতা লাভের সহায় হইবেন । ] ঐী শক্তি দেবী