পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ম্পর্শমণি রসায়ন-শাস্ত্রের পরিচয় আজকাল কাহারো কাছে অবিদিত নহে। পথে-ঘাটে ঔষধালয়, সাময়িক পত্রদিতে বিজ্ঞাপন এবং চিকিৎসক-দত্ত তিক্ত ঔষধ রসায়নশাস্ত্রের মহিমা সৰ্ব্বক্ষণই প্রচার করিতেছে। কিন্তু ইহার উৎপত্তি কোথা হইতে, তাহা সৰ্ব্বজনবিদিত নহে। রসায়নের আদি শাস্ত্রকার প্রাচীন চিকিৎসকবৰ্গ । এদেশে চরক, স্বশ্ৰুত, নাগাৰ্জুন, গ্রীসে এস্কিউলেপিয়স গ্যালেন, হিপ্পক্রেটিস, মধ্যযুগের ইয়োরোপে পারাসেলসস, গেব ইত্যাদি বৈষ্ঠ ও চিকিৎসকগণ এই শাস্ত্রের স্বচনা করিয়া গিয়াছেন। এই প্রাচীন মনীষিগণের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল মানবদেহের রোগ-সকলের প্রতিকার। রোগের নিমিত্ত ঔষধের অন্বেষণ এবং ঔযধের উপাদান-সকলের ংগ্রহ ও পরীক্ষাই ইহাদের জীবনের প্রধান কাৰ্য্য ছিল । যে-কোন পদার্থ কিছুমাত্র অসাধারণ-গুণযুক্ত বলিয়া মনে হইত, তাহা হইতেই তাহারা উপাদান-সংগ্রহের চেষ্টা করিতেন। কখনও বা পদার্থটি স্বাভাবিক অবস্থায় ব্যবহৃত হইত, কখনও বা তাহার সার বস্তু পৃথক্ করিয়া বা তাহার সহিত অন্য কোন পদার্থ যোগ করিয়া ব্যবহার করা হইত। এইরূপে ঔষধ-প্রস্তুত-করণেচ্ছা হইতেই, পুটপাক, তিৰ্য্যকৃ-পাতন, উৰ্দ্ধপাতন, মারণ, জারণ ইত্যাদি রাসায়নিক ক্রিয়া-প্রক্রিয়া জন্মলাভ করিয়াছে ; এবং এইরূপ অন্বেষণ, গবেষণা ও তত্ত্বানুসন্ধান হইতেই যুগে যুগে রসায়ন-শাস্ত্রের বহু নূতন তথ্য ও বহু নূতন পদার্থ আবিষ্কৃত হইয়াছে। সাধারণ মনুষ্যমাত্রেরই জীবনের প্রধান লক্ষ্য—মুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য। ইহার জন্য মানুষ যে কত পরিশ্রম, কত কষ্ট স্বীকার করে, তাহার ইয়ত্তা নাই। অনন্ত মুখ ও অনন্ত কাল ধরিয়া তাহার ভোগ, এই ইচ্ছা প্রত্যেকেরই জীবনে কোনও না কোনও সময় প্রবল থাকে। জ্ঞানলাভের সহিত এই ইচ্ছায় সফলকাম হওয়া সম্বন্ধে নিরাশাও আসে। সেইজন্যই এত দিন পরে, বিদ্বান ও জ্ঞানী ব্যক্তিগণ ইহাকে দ্বরাশা বলিয়া ত্যাগ করিতে উপদেশ ৪৯==১২ - দিয়াছেন । কিন্তু এমন সময় ছিল, যখন বিজ্ঞতম পণ্ডিতওঁ বিশ্বাস করিতেন, যে, অনন্ত ধৌবন এবং অনন্ত স্থখ দুষ্প্রাপ্য হইলেও পাওয়া অসম্ভব নহে। এমন কি তাহা দের মধ্যে অনেকে এরূপ বলিয়া গিয়াছেন, যে, ইহা উপায় তাহাদের নিকট জ্ঞাত । অনন্ত ধোবন বা জীবন লাভের উপায় অমৃত। অন স্বখের উপায় অসীম ঐশ্বৰ্য্য। ঐশ্বৰ্য্য যে সুখের আক সে-সম্বন্ধে বহুদৰ্শী ঋষি ও দার্শনিক ভিন্ন আর কাহার সন্দেহ ছিল না এবং এখনও নাই। তবে প্রশ্ন এই, ে অসীম ঐশ্বৰ্য্যলাভের সহজ উপায় কি ? বহু পুরাকাল হইতে স্বর্ণই ঐশ্বর্ঘ্যের প্রধান নিদর্শ রূপে গৃহীত হইয়া আসিতেছে। ব্যবসায়-বাণিজ্য ক্র বিক্রয় সকলই সুবর্ণ-খণ্ডের পরিমাপে চালিত হয় সুতরাং ঐশ্বৰ্য্য বলিতে স্নবর্ণ বলিলে তাহাতে বি.ে কিছু ভুল হয় না । অতএব যদি কেহ সাধারণের অজ্ঞাত কোনও স! উপায়ে অপৰ্য্যাপ্তপরিমাণে সুবর্ণ লাভ করিতে পা তাহা হইলে তাহার ঐশ্বৰ্য্য অসীম ও অনন্ত বলিয়া ধ যায়। এই উপায়ের আবিক্রিয়ার জন্য বহুকাল যা অনেক জ্ঞানী ও বিদ্বান রাসায়নিক আজীবন কাল পরি ও চেষ্টা করিয়াছেন। র্তাহাদের চেষ্টা ও গবেষণার ফ রসায়ন-শাস্ত্রের অনেক অমূল্য নূতন তথ্য এবং অে নূতন পদার্থ মানবের জ্ঞানগোচর হইয়াছে। ইয়োরোপীয় এবং ঈজিপ্টের প্রাচীন পণ্ডিতদের ম স্বর্ণই একমাত্র শুদ্ধ ধাতু। র্তাহাদের বিশ্বাস ছিল, যে-কোন ধাতুকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় শোধন কা স্বর্ণে পরিণত করা যায়। এই শোধন-ক্রিয়ায় অt উপাদান আবশ্যক। তন্মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান একটি বি গুণযুক্ত ও অতীব দুপ্রাপ্য পদার্থ। তাহার নাম স্পর্শঃ এই স্পর্শমণি যে কিপ্রকার বস্তু, সে-সম্বন্ধে নান মত প্রচলিত ছিল। কাহারো মতে ইহার অলৌকিক ধাতুশোধনগ্ন \Obog 酸