পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] স্পর্শমণি ©ሡፃ ক্রমবিকাশ, ও পরে আয়ুৰ্ব্বেদ এবং তন্ত্রে পূর্ণ পরিচয় *ांeग्नां शांग्न । এদেশের অতি পুরাতন যুগে রসায়ন-শাস্ত্র চিকিৎসাশাস্ত্রের বা আয়ুৰ্ব্বেদের অঙ্গমাত্র ছিল। পূর্বেই বলিয়াছি ভৈষজ্যানির এবং আয়ুস্বানির ( দীর্ঘজীবন লাভের ঔষধ ) অন্বেষণ এবং তন্নিমিত্ত নানান্দ্রব্যের পদার্থগুণ পরীক্ষা, ইহা হইতেই রসায়নের বিকাশ । সুশ্রতের মতে স্বয়ং ব্ৰহ্মা এই আয়ুৰ্ব্বেদ অথর্ববেদের উপাঙ্গরূপে প্রকাশ করেন। তন্ত্রে হরগৌরী-সংবাদে বোঝা যায়, যে, স্বয়ং মহাদেব এই শাস্ত্র ব্যাখ্যা করেন। চরকের মতে অঙ্ক দেবতাগণ ইহার প্রকাশ করেন। রসেশ্বর সিদ্ধান্তে বহু দেবতা, দৈত্য, মুনি ও মানবের নাম পাওয়া যায়, র্যাহারা “রস” দ্বারা জীবন্মুক্ত হইয়া যান। মহেশ, দৈত্যগুরু শুক্রাচাৰ্য্য, বালখিল্য মুনিগণ, নৃপতি সোমেশ্বর, গোবিন্দ ভাগবত, কপিল, ব্যালি ইত্যাদি অনেক নামই ইহার মধ্যে আছে । এই ত গেল পুরাণ আদির রসায়নের উৎপত্তির বিবরণ। ঐতিহাসিক সময়ের মধ্যে এবিষয়ে যাহা জানা যায়, তাহাও অতি বিচিত্র । এই প্রবন্ধের মধ্যে তাহার সম্পূর্ণ বর্ণন অসম্ভব। খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে কন্‌ষ্টাণ্টিনোপলে তখনকার সময়ে প্রচলিত রাসায়নিক গ্রন্থাবলী সংগৃহীত হয়। এই ংগ্রহ এখন ভেনিস নগরের সেণ্ট মার্ক যাদুঘরে রক্ষিত আছে । ইহার মধ্যে অধিকাংশই খৃষ্টীয় ৩য় বা ৪র্থ শতাব্দীতে লিখিত। এই পুথিগুলি কতক সুপরিচিত লেখকদিগের লিখিত, কতক কাল্পনিক লেখকের নামে প্রচলিত ছিল । সেই সময়কার রসায়ন-শাস্ত্র এবং তাহার বিষয়ে প্রচুর গবেষণার পরিচয় এই পুথিসংগ্রহে লিপিবদ্ধ আছে। লিডেন বিশ্ববিদ্যালয়ে এইরকম আর-একটি পুথি আছে। ইহা প্যাপিরসূ নামক উদ্ভিজ্জ পত্রে লিখিত, এবং খীবস নগরের এক সমাধিমণ্ডপে ইহা পাওয়া যায়। নানাপ্রকার নিয়শ্রেণীর ধাতুর মিশ্রণে কিপ্রকারে স্বর্ণের অমুকরণ করা যায়, সেই বিষয়ের অনেক স্বত্র এবং ংকেত ইহাতে লিখিত আছে। এইসকল পুথি হইতে বোঝা যায়, যে, অন্ততঃ খৃঃ ৭ম শতাব্দী পৰ্য্যস্ত রসায়ন অতিশয় গুপ্ত শাস্ত্র ছিল । তাহার পর ক্রমে ক্রমে, কৃত্রিম উপায়ে স্বর্ণ প্রস্তুত-করণ এবং সৰ্ব্বব্যাধি ও জরানাশক মহৌষধির আবিষ্কার এই দুই উদ্বেপ্তে রসায়ন-শাস্ত্রের চর্চা সাৰ্ব্বজনীন হইয়া পড়ে। অতি প্রাচীন কালের দার্শনিক মতবাদের মধ্যেও পদার্থ ও শক্তি এই দুইয়ের উৎপত্তি, প্রকৃতি এবং পরস্পরের সম্বন্ধ বিষয়ে নানাপ্রকার বিচার ও গবেষণা দেখা যায়। এইপ্রকার মতবাদ সৰ্ব্বস্থলেই যে রীতিমত পরীক্ষা এবং চাক্ষুষ দর্শনের উপর স্থাপিত ছিল, তাহ নহে ; কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যে, সাধারণ অভিজ্ঞতায় যতটা সম্ভব, ততদুর পর্য্যস্ত বিচারের ভিত্তি ন্যায়সঙ্গত ও যথাযথ করিবার চেষ্টা সৰ্ব্বকালেই ছিল । গ্রীকৃ দর্শনে দেখা যায়, যে, প্রথমে জলই সৰ্ব্ব পদার্থের মূল বলিয়া জ্ঞাত ছিল। খৃঃ পূঃ ৬ষ্ঠ শতাব্দীর এক গ্রীকৃ দার্শনিক, মাইলীটস্ নিবাসী থেলস, এই মতের জন্মদাতা বলিয়া পরিচিত। ইনি কিছু কাল ঈজিপ্টে যাপন করিয়াছিলেন এবং তথাকার ধীবস ও মেম্ফিল নগরের পুরোহিতগণের নিকট বিজ্ঞান শিক্ষা করেন। স্বতরাং তাহার মতামতে ঈজিপ্টের প্রভাব থাকা খুবই সম্ভব। পদার্থ ও ভৌতিক ঘটনাদি সম্বন্ধে যে-সকল দার্শনিক অনুসন্ধান ও বিচার করেন, র্তাহীদের মধ্যে ইনিই প্রথম বলিয়া ইয়োরোপে পরিচিত। ইহার মতামতের প্রভাব প্রায় আড়াই হাজার বংসর ধরিয়া পাশ্চাত্য জগতে অক্ষুণ্ণ ছিল। গুরুবাদ ও শাস্ত্রের উপর মামুষের যে কিপরিমাণ ভক্তি আছে, তাহার পরিচয় ইহা হইতেই পাওয়া যায় । সকল বস্তুর মূল উপাদান একই মৌলিক পদার্থবিশেয, এই মত প্রায় সকল প্রাচীন দার্শনিকই প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু সেই মৌলিক পদার্থ কি এবং তাহার স্বভাব কিরূপ, সে-সম্বন্ধে যথেষ্টই মতভেদ ছিল। থেলস বলেন, তাহা জল এবং জলের গুণাবলীযুক্ত ; এনাক্সিমিনিস ( খ্ৰীঃ পূঃ ৭ম শতাব্দী ) বলেন, তাহা বায়ু এবং বায়বীয় স্বভাবের ; তেরাল্পীটস বলেন, তাহা অগ্নি ; এবং ফেরিকুইডিস বলেন, যে, তাহ মৃত্তিকা | 藝