পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

θυν একই মৌলিক পদার্থ (ভূত ) হইতে বিভিন্নরূপ প্রকৃতির পদার্থ-সকলের উৎপত্তি হইয়াছে, এই মত প্রমাণ করা বিশেষ দুরূহ হইয় পড়ে। এক মৌলিক উপাদান হইতে তাহার প্রকৃতির বিরুদ্ধগুণযুক্ত পদার্থের স্বষ্টি কিপ্রকারে হইতে পারে, এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ক্রমে দার্শনিকগণ একমৌলিক মত ত্যাগ করিয়া বহু লিক মত গ্রহণ করিতে বাধ্য হন । বৈজ্ঞানিক হিসাবে, এই দার্শনিকদিগের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ এবং মহত্তম, আরিষ্টটুল নামে এক গ্রীকৃ মহাপুরুষ। ইহার মতে জগতের যাবতীয় পদার্থের জন্মদাতা চারিটি মৌলিক পদার্থ, যথা –অগ্নি, বায়ু, জল এবং মৃত্তিকা। এই মত র্তাহার পূর্ববৰ্ত্তী দার্শনিকেরাও কেহ কেহ প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন, f শেষে এম্পিডোক্লিস নামে একজন গ্রীকৃ পণ্ডিত সম্বন্ধে এই খ্যাতি আছে। আরিষ্টটুলের মতেব বিশেষত্ব এই, যে, তিনি বলিয়াছেন, যে, এই চারি মৌলিক পদার্থ পরস্পরের প্রভাবে এক হইতে অঙ্কের রূপে পরিবত্তিত হইতে পারে। প্রত্যেক মৌলিক পদার্থের দুইটি বিশেষ গুণ আছে, এই বিশ্বাস র্তাহার ছিল, যথা –অগ্নি, উত্তপ্ত এবং শুষ্ক ; বায়ু, উত্তপ্ত এবং সিক্ত ; জল, শীতল এবং সিক্ত ; মৃত্তিকা ( বা ক্ষিতি) শীতল এবং শুষ্ক। এক মৌলিক পদার্থ অন্যের উপর প্রভাব বিস্তার করিলে যে তৃতীয় পদার্থ উৎপন্ন হয়, তাহার প্রমাণ-স্বরূপ এই দার্শনিক নানা উদাহরণ প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩১ পঞ্চ তন্মাত্র হইতে । [ २8° उांश, sञ १७ S AASAASAA AAAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS S AAAAAA SAAAA AAAASAAAAS SSAAAASA SAASAASSAAAMMMAAASAAAA AAAA AAAA AAAAMAMASAM MASAMMMAMMAAAA দিয়া গিয়াছেন। যেমন—অগ্নির উত্তাপ জলের সিক্ততা দ্বারা পরাজিত হইলে ফলে নায়ু উৎপন্ন হয় ; বায়ুর উত্তাপ ক্ষিতির শীতলতা দ্বারা পরাজিত হইলে জল উৎপন্ন হয়, ইত্যাদি । উপরোক্ত মত অবশ্ব নির্ভল নহে;কিন্তু এই প্রখরবুদ্ধি মহাপুরুষই প্রারম্ভকালে বিজ্ঞানকে দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপিত করিয়া গিয়াছেন। পদার্থবিজ্ঞান এবং ভৌতিক দর্শনের সত্যাসত্যের নিরূপণ কিপ্রকারে হইতে পারে, তালু পথ নির্দেশ ইনিই করিয়া গিয়াছেন। প্রত্যক্ষপ্রমাণ ভিন্ন কোনও যুক্তির অবতারণা নিষেধ করিয়া তিনি বিজ্ঞানের পথ পরিষ্কার করিয়া গিয়াছেন । আরিষ্টটুলের মতবাদ বাইজান্টাইন লেখকগণের দ্বারা ঈজিপ্টে প্রচারিত হয় । খ্ৰীঃ ৭ম শতাব্দীতে আরব জাতি এই দেশ জয় করিয়া তাহা গ্রহণ করেন। পরে যে দেশে আরবগণ গিয়াছেন, সেইখনেই এই বিদ্যার প্রচার তাহাদিগের দ্বারাই হইয়াছে। আমাদের দেশে রসায়নের বিকাশ অতি প্রাচীন কালেই হয়। দুঃখের বিষয়, প্রামাণিক গ্রন্থাবলী বা পুথি এবিষয়ে এতই কম পাওয়া যায় এবং যাহা পাওয়া যায়, তাহা এতই ছিন্নভিন্ন অবস্থায় আছে, যে, যাহার কোনও অংশ কল্পিত বা আমুমানিক নহে, এরূপ কোনও ধারাবাহিক ইতিহাস লেখা অসম্ভব । তিব্বতীয় এবং চীনদেশীয় পুস্তকাগারে প্রাপ্ত তর্জমা হইতে এইসকল প্রাচীন ভারতীয় রাসায়নিক পুস্তকাদির পুনরুদ্ধারের চেষ্টা হইতেছে ; কিন্তু বিশেষ কিছু পাওয়া যাইবে কি না, তাহা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। পদার্থের উৎপত্তি সম্বন্ধে সাস্থ্যদর্শনের সিদ্ধান্তই বোধ হয় আধুনিক পরমাণুবাদের সর্বাপেক্ষ পুরাতন ব্যাখ্যা । এই সিদ্ধান্ত কপিল মুনির বলিয়া প্রথিত । র্তাহার মতে পদার্থের উৎপত্তি পঞ্চভূত—যথা ক্ষিতি, অপ (জল), তেজ ( আলোক, অগ্নি, বিদ্যুৎ ), মরুৎ ( বায়ু), এবং ব্যোম (আধুনিক ঈথার –এবং পঞ্চভূতের উৎপত্তি তন্মাত্র বা পরমাণুকে তিনি স্বল্পতম গতিশীল অণু বলিয়াছেন। ইহা স্থূলদেহ জীবের চক্ষুর অগোচর।