পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] অতিশয় খারাপ আকার ধারণ করিয়াছে। কিছুদিন পূৰ্ব্বে কে বা কাহারা ঐ কালীবাড়ীতে একখানি গরুর পা ঝুলাইয়া রাখিয়া যায়। ফলে ফরিদপুরে হিন্দু ও মুসলমান জন-সাধারণের মধ্যে একটা প্রবল বিদ্বেষের অগ্নি প্রধূমিত হইয় উঠতেছে এবং ব্যাপার আদালত পৰ্য্যন্ত "গড়াইয়াছে। 壽 ধিশনগরেও দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রবল গোলমাল বাধিয়াছে। গত রামনবমীর দিন বিশনগরের কতকগুলি হিন্দু চিরপ্রচলিত প্রথানুযায়ী ভজন গান করিতে করিতে মসজিদের সম্মুখ দিয়া যাইতেছিল। মুসলমানেরা উন্মুক্ত তরবারি হস্তে তাহদের মিছিলে বাধা দেয়। ফলে উভয় সম্প্রদায়ে ঘোরতর বিরোধ বাধে। এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে এখনও মিটমাট হয় নাই । স্বইক্স গান্ধী বিশনগরের এই ঘটনীয় মৰ্ম্মাহত হইয়। “নব জীবন" পত্রিকায় যে-সমস্ত কথা বলিয়াছেন, তাহ বাস্তবিকই ভারতের প্রত্যেক হিন্দু-মুসলমানের পক্ষে ভাবিয়া দেখা অবগুকৰ্ত্তব্য। তিনি বলিয়াছেন যে, “এক দিন আমরা আমলাতন্ত্রের সহিত অসহযোগ ঘোষণা করিয়াছিলাম, আর আজ আত্ম-কলহের ফলে শাস্তিরক্ষার্থ তাহীদেরই শরণাপন্ন হইতেছি। এর চেয়ে আর কি লজ্জা ও ঘূর্ণর কথা হইতে পারে ?” মুসলমানদিগকে লক্ষ্য করিয়া মহাত্মা বলিয়াছেন, “প্রত্যেক মুসলমানেরই নমাজ পড়া একস্ত কৰ্ত্তব্য ; কিন্তু নমাজের ব্যাঘাত হয় বলিয়া পশুবলে অস্ত ধৰ্ম্মাবলম্বীর কীৰ্ত্তন বা ভজনে বাধা দেওয়া কি তাহদের পক্ষে শাস্ত্রসঙ্গত ? এই তুচ্ছ ব্যাপার লইয়া সমগ্র হিন্দু-সমাজের সঙ্গে বিবাদ করা মুসলমানদের ধৰ্ম্মরক্ষার পক্ষে কি একান্ত প্রয়োজনীয় ? মুসলমানদের জানা উচিত, যে, তরবারি দ্বারা কখনই ধৰ্ম্মরক্ষী বা প্রচার হয় না, এক মাত্র প্রেমের বলেই তাহ সম্ভব ।" হিন্দুদিগকে লক্ষ্য করিয়া মহাত্মার্জী বলিয়াছেন, “তাহদের কীৰ্ত্তন ও ভজন গাহিৰার অধিকার আছে, কাহারও ভয়ে তাহ বন্ধ করাও অন্যায় এবং অধৰ্ম্ম । কিন্তু মুসলমান ভ্রাতাদের প্রতি ঔদার্য্যবশতঃ তাহারা কি মসজিদের সম্মুখে কীৰ্ত্তন বা ভজন কিয়ৎক্ষণের জন্য বন্ধ করিতে পারেন ? মুসলমানের না হয় হিন্দুদিগকে কাফের বা বিধৰ্ম্ম মনে করিতে পারে, কিন্তু উদার হিন্দুধৰ্ম্মে ত কোন ধৰ্ম্মের প্রতি বিদ্বেষের স্থান নাই ।” কাণপুরের “বর্তমান” নামক হিন্দী পত্রের প্রতিনিধির নিকট মৌলানা সোঁকৎ আলিও ঐরূপ কথা বলিয়াছেন। তিনি বলেন, রাস্তার টামুগাড়ী প্রভৃতির শব্দে বা লোকজনের গোলমালে.মুসলমানদের নমাজের ব্যাঘাত হয় না, অীর হিন্দুদের কীৰ্ত্তন ও ভজন গানেই যত বিপত্তি ঘটে এরূপ কলহপ্রিয় জাতিকে ভগবান কখনই ভালবাসেন না । ফরিদপুরের ও বিশনগরের হিন্দু-মুসলমান উভয় সমাজের মুখে কলঙ্ক লেপন করিয়াছে। উভয়েরই পরস্পরের প্রতি ক্ষম ও সহিষ্ণুতা অবলম্বন করিয়া এই লজ্জাকর গৃহ-বিবাদ মিটাইয় ফেলা উচিত। স্বামী ওঙ্কারানন্দের কারাদগু— বাঙ্গালী-সন্ন্যাসী ওঙ্কারানন্দ অমৃতসরে গিয়া অকালী আন্দোলনে যোগদান করিয়াছিলেন। তিনি সেখানে গিয়া “অনওয়ার্ড" পত্র সম্পাদন করিতেছিলেন। উহার বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিবার জন্ত এবং আকালী আন্দোলন সম্বন্ধে একখানি পুস্তিক প্রকাশ করিবার জন্য ১২৪ (ক) ধারামতে অভিযোগ আনয়ন করা হয়। বিচারে উহার দুই বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০০ টাকা অর্থদও হইয়াছে । এই বাঙ্গালীসন্ন্যাসী অকালীদের সহিত একত্রে উহাদের দুঃখ ভাগ করিয়া ভোগ করিবার জষ্ঠ কারাগারে গিয়া বাঙ্গালীর মুখ উজ্জ্বল করিয়োছেন । দেশ-বিদেশের কথা—ভারতবর্ষ రిసిd অধঃপতিত হিন্দুজাতি ও স্বামী শ্রদ্ধানন্দ— , সম্প্রতি বোম্বাইয়ে স্বামী শ্রদ্ধানন্দ “হিন্দু সংগঠন ও শুদ্ধি" সম্বর একটি বক্ততা করিয়াছেন। স্বামীজী বলেন যে, বেীপভাবে হিল দিগের জনসংখ্যা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাইতেছে তাহাতে আর ৪২৭ বৎস মধ্যে হিন্দু জাতির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হইবে। স্বামী শ্রদ্ধানন্দ এই প্রস০ হিন্দুদিগের অধঃপতনের কয়েকটি কারণ নির্দেশ করিয়াছেন। কি কারণে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাইতেছে স্বামীজি তাহ বলিয়াছেন। মুসলমানগণ অনেককেই ধৰ্ম্মাস্তুর গ্রহণ করাইয়৷ তাৰাদে সংখ্যা বৃদ্ধি করিতেছে এবং তাহদের সামাজিক রীতিনীতি হিন্দুজগে অপেক্ষী স্ববিধাজনক। মুসলমানদিগের মধ্যে বাল্যবিবাহের বহুল প্রচল নাই, অধিকন্তু তাহদের বিধবাগণের পুনরায় পতিগ্রহণের অধিক আছে । বাল্য-বিবাহই হিন্দুদিগের অধঃপতনের প্রধান কারণ। বাল বিবাহের ফলে জাতির জীবনী শক্তি হ্রাস পাইতেছে, শারীরিক শীি কম হইয়া আসিতেছে এবং জাতি হীনবীৰ্য্য হইয়া দিনের পর দি ধ্বংসের মুখে অগ্রসর হইতেছে। বিধবা-বিবাহের প্রচলন না থাকাতে হিন্দুদিগের পক্ষে ক্ষতির কারণ হইতেছে —ইহাও স্বামীজী বিে ভাবে বুঝাইয়া দিয়াছেন। শিখ উংসব— উৎপীড়িত শিগদিগের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করিবার জঙ্ক গত ১৮ই । ভারতের সকল প্রদেশের শিখগণ উপবাস ও প্রার্থনা করিয়াছেন স্বপ্তের বিষয় এই যে, সারা ভারতবর্ষের সকল সম্প্রদায়ের লোকেই এ উৎসবে যোগদান করিয়া নিগৃহীত শিখদের প্রতি সন্মান দেখাইয়াছেন। সুরমা উপত্যক ছাত্র-সন্মিলন— হরম উপতাকা ছাত্র-সম্মিলনের বর্তমান বার্ষিক সভায় স্থির হইয় যে, সম্মিলনের কৰ্ম্মীগণ গ্রামের নিরক্ষর লোকদের শিক্ষাবিষয়ক অর্থনৈতিক উন্নতির বিষয়ে মনোযোগী হইবেন । স্বাস্থ্য, কৃষি, সমব সন্মিলন প্রভৃতি বিষয়েও ঠাহারা পল্লীবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করাইকে আমরা সৰ্ব্বাস্তঃকরণে স্বরম উপত্যকর কৰ্ম্মীদের কাজের সাৰ কামনা করিতেছি । ভারতে শাসন-সংস্কার— সংস্কার আইন সম্বন্ধে আলোচনা করিবার জন্ত সিমলাতে যে কা ধসিয়াছে, তৎসম্বন্ধে ভারত-সরকার একটি ইস্তহার জারি কা জানাইয়াছেন যে, কমিটি নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সম্বন্ধে আলো করিয়াছেন—(১) সংস্কার আইনের কোনূ কোন স্থানে গলদ আ (২) উক্ত আইনের গঠন-প্রণালী, নীতি এবং উদ্দেশ্ব বজায় রাf উপরোক্ত গলদগুলির (ক) বৰ্ত্তমান আইনের আশ্রয়ে এবং (খ) বৰ্ত্ত আইনের কোন কোন ধারা সংশোধন করিয়া কিভাবে প্রতিকার : যায়। বৰ্ত্তমান আইনের নীতি এযং সার্থকতা সম্বন্ধে বিচার না কf কিভাবে বৰ্ত্তমান আইনের সহায়তা লইয়া শাসন-সংস্কার হইত্তে প তৎসম্বন্ধে আলোচনা করার জন্তই কমিটিকে উপদেশ দেওয়া হইaাখি কমিটি উহাদের রিপোর্ট, দাখিল করিয়াছেন এবং বর্তমানে ভা সরকার এই রিপোর্ট সম্বন্ধে আলোচনা করিতেছেন। এই কf সভ্য ছিলেন স্তাৱ আলেকজাণ্ডার মুডিম্যান (সভাপতি) স্তাৱ { মহম্মদ সফি, স্তর নরসিংহ শৰ্ম্ম, স্তার হেনরী মন্‌ক্রিক, "ি মিঃ জেমস ক্রেরার এবং মিঃ এ, সি, ম্যাকওয়াটাস । ভীল সেবা-মগুল— গুলবাষ্ট্রের বিখ্যাত কৰ্ম্ম যুক্ত অমৃতলুল ঠাকারের অধিনায় একদল কৰ্ম্মী ভৗলজাতির মধ্যে কার্ধ্য আরম্ভ করিয়াছেন । ।