পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাসিক গণপ-সাহিত্য শ্ৰী মঙ্গলচন্দ্ৰ শৰ্ম্মা বাংলা দেশে মাসিক পত্রের সংখ্যা প্রতিবৎসরই বেশ দ্রুতবেগে বেড়ে চলেছে ; সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, দ্বৈ-মাসিক, ত্রৈমাসিক ইত্যাদি পত্রও দেখা দিচ্ছে । এগুলি সংবাদ-পত্র নয় ; এদের অধিকাংশেরই উদ্দেশ্য চলতি সাহিত্য ও সহজ বোধ্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রচার । কিন্তু সাহিত্যিক রচনা বলতে প্রধানতঃ যা বোঝায়, সেই কাব্য, গল্প ও অন্যান্য রস-রচনার উপরই প্রকাশকদের ঝেণক বেশী । টাটক গল্প, কবিতা,উপন্যাস, ভ্রমণ-কথা ও অন্যান্ত রসনিবন্ধ প্রচার করবার জন্য যখন আমাদের দেশে নিত্য এত নূতন নূতন সাময়িক পত্রের আবির্ভাব হচ্ছে, তখন মাতৃযের মনে স্বতঃই এই কথা উদয় হয়, যে, বাংলাদেশে বুঝি রস-সাহিত্য ছড়াছড়ি যাচ্ছে ; এই স্বষ্টির ভার পাছে অপচয় হয় তাই বুঝি রস-গ্রাহীর দ্বারে দ্বারে নিত্য নব নব ডালি এসে উপস্থিত হয় । কিন্তু এইসমস্ত সাহিত্যিক প সরায় কি আমরা সত্যই নব নব সম্পদের দেথা পাই, আধুনিক দশ-বারে। কি পনের থানা কাগজ খুলে দেখুন। সবার আগেই চোখে পড়বে তাদের এক ছাঁচের চেহারা । পমের-কুড়ি বৎসরেরও আগে যে-সব পত্র জন্মগ্রহণ করেছিল, তাদের আকার-প্রকার, সাজ-সজ্জা, বিষয়বিভাগ সব-কিছুর হুবহু অষ্টকরণ করে নূতনগুলিও আবির্ভূত হচ্ছে । কোথাও নূতনত্বের কি বিশেষত্বের চিহ্ন বেশীক্ষণ দেপ। মায় না । যদি নামজাদা একখানা কাগজে নুতন কোনো একটা বৈচিত্র্য একবার দেপ। দিলে, পরের মাসে দেখা যাবে অাব পাচখানা কাগজেও আলিবাবার মজিয়ানার মত কে ঠিক সেই চিঙ্গ এ কে দিয়ে গিয়েছে । এতে মনে হয় অধিকাংশ সাময়িক পত্রের নিজস্ব কোন একটা আদর্শ নেই । অন্তগুলির মতই তারাও যে হ’তে পারে, বড়জোর এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার আদশ টুকু আছে । মানুষের সৰ্ব্বাঙ্গীণ উন্নতি ও সকলপ্রকার আনন্দের দিকে দৃষ্টি রাখতে গেলে আজকার দিনে শ্রম বিভাগের কথা মনে রাখা দরকার। বাংলা মাসিক পত্র কিন্তু সে কথা মনে রাখেন না। যে-যুগে মাসিক পত্রের বিশেষ বাহুল্য ছিল না, সে-যুগের মাসিক পত্রকে একলাই জুতা সেলাই হতে চণ্ডীপাঠ পর্য্যন্ত সমস্ত কাজ করতে হয়েছে । কিন্তু যেহেতু তারা এই আদর্শ নিয়ে দাড়িয়েছে, অতএব সকলকেই সেই আদর্শে চলতে হবে এখন এযুক্তি বোধ হয় আর মানায় না । ছোট কোন সহরে যখন প্রথম একটা দোকান বসে, তখন এক দোকানীকেই সব সওদা জোগাতে হয় । দোকান দাড়িয়ে গেলে তারা স্বনাম রাখবার ইচ্ছায় কি অভ্যাসের বশে কি নিজ পুরাতন ধারা বজায় রাখার জন্য দোকানের ছাচ না বদলাতে পারে ; কিন্তু তা বলে সহর বাড়ীর সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী সমস্ত দোকানগুলিতেই কি চাল-চিড়া থেকে সোনা-দান সব বিকোবে, না ময়র-সেকুরার ভিন্ন ব্যবসায় হবে ? বাংলা মাসিক পত্রের ইতিহাসে এখনও শ্রম বিভাগের আদর্শ কেন দাড়াল না বলতে পারিনে। মাসিক পত্র জাতিগত, সম্প্রদায়গত, ব্যবসায়ুগত যাই হোক না কেন সকলকারই একরূপ । দশম, ইতিহাস, ভ্রমণ-কথা, বিজ্ঞান, রাজনীতি, সমালোচনা, আবিস্কার, গল্প, কবিতা, স্বরলিপি ইত্যাদি সব বিষয় ত সকল কাগজে বাহির গুবেই ; তা সে ক্লষক, বণিক, ঘটক কি শিক্ষক যারই মার্কা-মারা কাগজ হোক না কেন ; তাব উপর আবার সবগুলিতে একই লেখকের লেখা বাহিক করতে পারলে আরোই সুন্দর হ’ল মনে করা হবে । বাংলা দেশের এক মোড় থেকে আর-এক মোড় পর্য্যন্ম সকল প্রকাশক যদি রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস (একই উপন্যাস পেলেও আপত্তি নেই ) ও জগদীশচন্দ্রের বৈজ্ঞানিক নিবঃ 80.8 উপন্যাস,