পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Qや শ্রেণীর গল্প বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছিলেন। এখনও তাদের লেখার মধ্যে প্রথম শ্রেণীর উপাদান অনেক মিলছে, কিন্তু সকল দিক্ দিয়ে বিচার করলে দেখি তাদের পুরাতন খ্যাতির কাছে আর তারা পৌছতে পারছেন না ; এবং ওই দুটো-চারটে খুতের জন্য গল্পগুলি দ্বিতীয় কখন বা তৃতীয় শ্রেণীতে গিয়ে পৌছচ্ছে। প্রবীণ ও নবীন লেখকদের মধ্যে র্যারা ছোট গল্প লেখার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন মাসিক পত্রের সম্পাদকদের মধ্যে অনেকে তাদের লেখা পেলে নিৰ্ব্বিচারে ছাপিয়ে দেন অনেকে নিজেরাই অনুরোধ করে লেখকদের কাছ থেকে ফরমাসী গল্প আদায় করেন। ফরমাসী গল্পের মধ্যে যেগুলো লেখকের মস্তিষ্কে ইতিপূৰ্বোই অক্ষরিত হচ্ছিল, কেবল আলস্ত্যের জন্য বিকশিত হয়ে প্রকাশ্যে দেখা দিতে পারেনি, সেগুলি এই বাহিরের উত্তেজনার আঘাতে বাহিরে প্রকাশ পেয়ে মাষ্টমকে আনন্দ দেয় । কিন্তু ফরমাসী গল্পের মধ্যে এইজাতীয় গল্প কমই থাকে । লেখকের শূন্ত মস্তিষ্কে সম্পাদকের অন্তরোধ ও পাঠকদের বাহব। এক জাতীয় উত্তেজনার সঞ্চার করে । অধিকাংশ ফরমার্সী শল্ল তারঙ্গ পরিণতি। প্রায়ই দেপ। ধায় লেখক সে গল্প লিখে একবার বাঙ্গলা পেয়েছেন এইসব ফরমাস গল্পে তাকেই নুতন পোষাক পরিয়ে এনে দাড় করান । যাকে ভাল বলা হয়েছে, লেপকের সেই মানস-সন্তানের প্রতি র্তার এমন একটা মোহ এসে পড়ে, মে, তিনি পাণিৰ বাস্তব'পিতামাতার মতই বাংসলে ছদ্ধ হয়ে পড়েন। জীবনের বিশেষ একটা স্ট্রর কি অনুভূঃি লেখকের কাছে পূব বড় হ'তে পারে, কিন্তু তাই বলে’ পাঠক সাধারণের কাছে সেই একই শুরেব একই কথা দিনেব পর দিন সমান মূল্যবান বলে ঠেক্‌বে, এরকম ভ্রান্ত পারণ বাঙালী লেখকদের কেন হয় বঝি না। একটি মাত্র সম্পদ যার দেবার আছে সে যদি শুধু সেইটি দিয়েই দানের লেভি সম্বরণ করে, তবে তার সে দানটি সাহিত্য জগতে সম্পদরুপে চিরস্থারী হয়ে থাকে | মাচুর্য বৰ্ত্তমানকে সব থেকে বড় করে দেখে বলে খ্যাতিটা অতীত কি ভবিষ্যতের গহ্বরে ফেলে, রাধা তার পক্ষে দুরূহ হয় । কি স্তু তাই সে প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড

  • সাহিত্য-রসিককে নিত্য নূতন ডালি দিয়ে খ্যাতিটাকে

চির বর্তমানে রাখতে ব্যস্ত হ’য়ে ওঠে। ফলে নিত্যুট হয় বটে কিন্তু নূতনটা কম মামুষের হাত দিয়েই বেরোয় । প্রথম দর্শনে রচনার যে-রূপটা রসজ্ঞের কাছে মনোহর লেগেছিল, লেখক ফিরে ফিরে সকল রচনায় সেই রূপটিই দেখাতে ব্যস্ত হ’য়ে পড়েন । যে দান একবার দেওয়া হ’য়ে গিয়েছে, তা যে আর ফিরে দেওয়া যায় না, এই কথাটা যে লেখক ঠিক ভুলে যান, তা নয় ; অস্তরেবাইরে ওই রূপটির বন্দনা করে’ ও শুনে শুনে মন এমনি মোহাবিষ্ট হ’য়ে থাকে, যে, নুতন উপহার মনে করে'ও ওই পুরাতনকেই এনে আবার হাজির করেন । কি নবীন কি প্রবীণ সকল লেখকেরই এবিষয়ে একটু সজাগ থাকা দরকার । “আমায় হয়ত করতে হবে আমার লেখাই সমালোচন," এটা সৰ্ব্বত্রই দুভাগ্যের কথা নয়। নিজের সমালোচনা করতে শিখলে অনেক সময় অনেক দুভাগ্যেব হাত এড়িয়ে যাওয়া যায়। সাহিত্য-জগতে হাস্য-রসের চেয়ে করুণ রসের স্থান অনেক উপরে সন্দেহ নেই । কিন্তু এই করুণরসাত্মক সাহিত্যের পপ বড় পিচ্ছিল। হাস্য-রস কষ্টি করুবার ও ন্যই মাহুষ যেখানে হাস্তবসের স্বষ্টি করতে পারে, সেখানে সে বাস্তবিক আর্টের পরিচয় দেয় ; যেখানে হাস্য-রস-স্থষ্টির চেষ্টাটাষ্ট হাস্যকর হয়ে ওঠে, সেখানে লেপক বিফল হ’লেও এই বিফলতা হাসির খোরাকই জোগায় ; সুতরাং তার ভাগ্য অতি মন বলা যায় না . কিন্তু করুণ রসের উদ্রেক করতে গিয়ে ধদি লেখক হাস্যরসের সৃষ্টি করেন তবে তার ভাগ্য অতি মন্দই বলতে হবে । আমাদের বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের অনেককেই সেই রোগে ধরেছে। ট্রাজেডির অবতারণা করে মাইযের মনের তন্ত্রীতে বেদনার স্বর জাগিয়ে তোলার খুব নিপুণতার দরকার আছে । মাথায় লোহার ডাণ্ডা মেরে নায়ক-নায়িকাকে নির্দয় খুন্যের মত হত্যা করে দিলেই যে পাঠক সব সময় তাদের সমবেদনায় মুচ্ছৰ্ণ ধান, এমন বলা চলে না ; হ’তে পারে, যে, এই বীভৎস রক্তারক্তির ফলে তার সৌন্দৰ্য্যপ্রিয় মনে যে বিরক্তি ও বিতৃষ্ণার উদয় হবে, তার ফলে তিনি চিরকালেব মত ঐ লেখকের