পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্য। ] উৎকণ্ঠ উংস্থক ব্যগ্র প্রেমে! তুমি এবিশ্বের যতখানি ততখানি তুমি এ-চিত্তের । তুমি মম স্বষ্টি-রাণী মুগ্ধ অন্তরের। তুমি মোর বাসনার পরিমাণ । নিভৃত সাধনা মোর যুগে যুগে নিশি-দিনমান তোমারে দিয়েছে কায়, অন্তর-বৃত্তের পুপ তুমি, তোমারে চেনে এ মম জীবনের শু্যাম-তটভূমি আপনার রসের আভাসে। বিশ্ব অণু অণু করি’ দিল তার বর্ণ-গন্ধ-গীতি, তারে অতুরাগে গড়ি আপন মনের মতো আমি,--লয়ে পুপিত বনের ভালবাস। শু্যাম-প্রাস্তরের ঘন তুণাঞ্চিত রোমাঞ্চের ভাষা, উষার তরল মেঘ-জ্যোতি, দূর নীলিমার রহস্য-বিস্ময়, গোধূলির স্তন্ধ শাস্তি, বহু নরনারীর প্রণয়, কত স্নেহ-বিগলিত পূত প্লত মাতৃহিয়া-মুধা, কত যুগ-যুগাস্তের বুক ভর সৌন্দর্য্যের ক্ষুধা । আর কেহ । গড়িতে পারিত কছু মনোরম ঐ প্রিয় দেই, কমনীয় ঐ মন, এমন একান্ত করি’ মোর আপন আশার ছাদে ? হে সুন্দর চোর, বে তোমারে দিল বলি’ এণ্ডিয়ার গোপন সন্ধান, এর অন্ধিসন্ধি যত ? তুচ্চতম তোমার যা দান, তোমার প্রতিটি বাণী, অধরকুঞ্চন, বিশিষ্টতা, মুঞ্জরে সবারে লয়ে অনাদি কালের কল্পলতা, মোর চিরতপস্তার নির্বাক্ সাধন। কিছু নাহি কোথ। তব যারে আমি চাঙ্গি নাই, ধাতারে করি না অনুভব চির পরিচিত সম, সুকঠোর তপলব্ধ ধন, যার মাঝে নাহি মম যুগাস্তের অশ্রান্ত ক্ৰন্দন ! আমি গড়িয়ছি তোমা,”—আপনার হাতে তিলে তিলে; আমি জানিয়াছি তব কোথায় কি রঙ খানি দিলে সুন্দর মানায়। মম মোঙ্গলস তুলিকার টানে আঁকা ঐ ভুরুরেখা, মম চিত্ত জানে কি আবেশে গড়েছি ঢলঢল তাখির পল্লব ! আজিকে ভুলিব সব । আজিকে ক্ষণেক তরে চাহিব দিগন্ত-সামানায়, স্পন্দিত আঁধার যেথা অসীমের বেদন জানায় অনাদ্যন্ত 8Jeఏ S AMASAMA ASASASA AAA AAAA AAASA SAASAMMAMAMMASAMAAAS নিয়ত আহবানে। জানি, জানি আমি রবে না এ বাধা, এই মম স্থষ্টির বন্ধন, এই আধ। পরিচয় আশী-সাধ-কামনার মোহে ; তোমারে লভিতে হবে তিলে ৩িলে নিবিড় বিরহে আশার অতীত করি । জানি আমি দিনে দিনে তোমা’ হারাব বিশ্বের মাঝে জ্যোতিঃস্রোতে, শুগে প্রিয়তমা ! ঠিয়ার বাহিরে যারে এনেছিছু হৃদয়ের ধন, তারে বাধিবে না মোর এই ব্যগ্ৰ হিয়ার বন্ধন ; শতেক বন্ধলে বেঁধে তেসে কেঁদে শতবার করি’ হাসায়ে কাদণয়ে তোমা’ নেবে ধরা আমি ত’তে শুরি, নেবে তার সমুদায় পথ পরে, যেই পথ চলে তোমার আপন আশা পানে। জানি আমি আঁথিজলে পথ তব রুধিবে না । জানি মম হৃদয়-শোণিতে আক তাহে হবে আলিপন । জানি জানি হবে দিতে এবক্ষ চিরিয়। তব পথ করি’। ভালোবাসাটিরে পথের পাথেয় করি ক্ষণকাল লবে কিম্ব নাহি লবে ফিরে’ তার পর চাহিবে না । যদি কভু চলি সাথে সাথে, নীরবে ঘে সিয়৷ কাছে হাতখানি রাখি তব হাতে, শিহরি চাহিয়া মম মুখপানে একদিন মোরে তুমি আর চিনিবে না –তোমারে ও চিনিব ন। -- সেইদিন স্বপনের ঘোরে সহসা লাগিবে রুদ্র চেতনার আলো ; তোমারে বাসিব ভালে; সেদিন নূতন করি । হৃদয়ের ধনে হৃদয় অতীত করি’। অশান্ত ক্ৰন্দনে ঘারে লভেছিঠু নিজ বাসনার পরিমাণ-মাঝে, তাহারে সহসা হেরি মহীয়সী রাজরাণী সাজে আমার বাসনা হ’তে বহু গুণ বড় । অজানার বিচিত্ৰত তোমারে করিবে প্রিয়তর । সেদিন লভিব আমি হৃদয়ের সমাধির পরে যত আশা যত সাধ এই ক্ষুদ্র হৃদয়ে ন ধরে, আছে যারা এবিশ্বের অন্তরে অন্তরে । হৃদয়ের সাম৷ হ’তে যতদূরে যাবে তুমি প্রিয়া, পায়ে পায়ে রবে জাগি মোর কোটি স্পন্দমান হিয়া, তোমারে লভিব তব সৰ্ব্বমাঝে । পরিচয়ে ঘারে লভেছিকু, এতদিন পরিচয়-পারে তাহারে লভিব পুনঃ সৰ্ব্বব্যাপী করি । দিক-শৰ্বল্পী অনাদির অশ্র দিয়ে লভি ধারে এজীবনে হায়, অনন্তের অশ্রুপাতে তাঙ্গরে লভিব পুনরায় ।