পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা পদ্মপুর ও পদ্মাবতী যে একই স্থান—ইহাদের নামে সামঞ্জস্য আছে বলিয়াই তিনি এই মত প্রকাশ করিয়াছেন । আবার তিনি গঙ্গার ধারে অবস্থিত ভাগলপুরকে পদ্মাবতী বলিয়। ধার্যা করিলেন । র্তাহার পর আসলেন কানিংহাম্ সাহেব । পদ্মাবতীর মত কান্তীপুর ও মথুরা নাগ-রাজার অধীনে ছিল বলিয় তাহার ধারণা মথুরার নিকটই কোথাও পদ্মাবর্তী থাকা সম্ভব । সেই কারণে তিনি মথুরার দক্ষিণ দিকে ১৫০ মাইল অদূরবত্তী নরবর দুর্গকে পদ্মাবতী বলিয়া আবিষ্কাৰ করিলেন । সেই কারণে নিজের গ্রন্থে নরবর দুর্গের বর্ণনার সহিত পদ্মাবতীর তুলনা করিয়াছেন। তিনি ভবভূতির বর্ণনার নজির তুলিয়া দেখাইয়াছেন । যদিও র্তাহার অনুমান অনেকটা সত্য, তবুও যেসব বর্ণনা ভবভূতি দিয়াছেন—সেসব নরবর দুর্গ হইতে বহুদূরে। এখন কবি যাহা বর্ণনা করিয়াছেন, সেই স্থলটি কোথায় ? কবি বর্ণনা করিয়াছেন–পদ্মাবতীর চারটি নদী বহিয়া চলিয়াছে--সিন্ধু, পারা, লবণ এবং মধুমতী ।

গোয়ালিয়র-প্রান্তে প্রাচীন নগর

ছয়- "" :
  • . • s A عہ

8ፃ9 সিন্ধুনদীর তীরে ভুবনেশ্বর মন্দির, ভবভূতি-বতি স্বধর্ণ বিলু–পদ্মাবতী পূর্সের পদ্মাবতী নিজের কীৰ্ত্তির সহিত নিজের নামের অক্ষর ও তারাইয়া ফেলিয়াছে। প্রাচীন—বড় বড় গৃহ-শোভিত পদ্মাবতী এখন ক্ষুদ্র পবায়া গ্রাম। এখন ইহার চতুর্দিকে যে চারটি নদী আছে তাহাও পূৰ্ব্ব চারটি নদীর অপভ্রংশ। পূৰ্ব্বেকার সিন্ধু, পারা, লবণ ও মধুমতীর জায়গায় বৰ্ত্তমান সিন্ধ, পাৰ্ব্বতী, নেন ও মহুয়র নামের অনেক সামঞ্জস্ত আছে । সিন্ধু ও সিন্ধ, পারা ও পাৰ্ব্বতীতে কোন তফাৎ নাই ; লবণ ও নোন একই জিনিষ । মধুমতীর নামটা বিগড়াইয়া মহুয়র নাম ধারণ করিয়াছে। এই নবআবিষ্কৃত জায়গাটি দতিয়া ও গোয়|লিয়রের মধ্যস্থলে করডা মানব ষ্টেশন হইতে ১২ মাইল দূরে অবস্থিত। গোয়ালিয়র রাজ্যের প্রত্নতত্ত্ববিৎ গার্দে সাহেব অতি কষ্টে আবিষ্কার করিয়াছেন—মরবর হইতে উত্তরপূর্বে ২৫ মাইল অদূরবর্তী এই নগরটি অবস্থিত । বর্তমান পবায়া পল্লী সিন্ধ ও পপিলতীর সঙ্গমের উপর অবস্থিত । পল্লীর দক্ষিণ-পশ্চিমে দুই মাইল