পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবাজীর সমাধি—রায়গড় রায়গড় যেতে হ’লে এই মাহীদের পথই একমাত্র জানা পথ । বোম্বাই থেকে ষ্টিমাংে প্রায় ১২ ঘণ্টা চলে’ ভার পর মোটরকারে মাহাদে যেতে হয়। মাহদি হ’তে হয় পা-যান না হয় গো-ধান—এই দুটো যান ছাড়া আবে কোনরকমের যান নেই। সমুদ্র-উপকূল থেকে রায়গড়ের উচ্চতা প্রায় ২৮৫১ ফুট । পরিষ্কার দিনে এই গড় থেকে ৪ মাইল দূরের সমুদ্র-বেলাও বেশ স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যায়। একটা প্রকাণ্ড পাহাড়ের উপর রায়গড় প্রতিষ্ঠিত। এই পাহাড়টি সহাদ্রি গিরি মালা থেকে দূরে ছটুকে পড়েছে। চারিদিকের পাহাড়গুলোর চেয়ে এর উচ্চতা ৮ম বলে রায়গড়কে অনেক দূর থেকে নজরে পড়ে না গড়ের উপরে চড় বার . একটি মাত্র পথ আছে । আর সে-পথ খুবই দুরারোহ, কারণ পথটি সটান সোজা উঠে যায়নি, একে বেঁকে উঠে নেমে ঘুরে ফিরে’ সে-পথ চূড়োয় গিয়ে পৌছেচে । পাহাড়টির উচ্চভ। ভৌগোলিক হিসাবে মাত্র ৩০০০ ফুট, কিন্তু এই উচ্চভাটাকে পাড়ি দিতে যে পথটা অতিক্রম করতে হয়, তার দূরত্ব ৮ মাইলের কম হবে না । কিন্তু এই দুর্গম পথের প্রাকৃতিক শোভা যা তা অপূৰ্ব্ব । প্রকৃতি র্তার সৌন্দর্ঘ্যের ভাণ্ডার এর চারিদিকে এমন করে’ সাজিয়ে রেখে দিয়েছেন যে, তার দিকে চোখ পড়লে চোখ জুড়িয়ে যায়। এখানে ঝরণার জল পাহাড়ের গ৷ বেয়ে ঝরঝর করে নেমে চলেছে। ওখানে গিরির মৃদু কল্লোল বীণfব ধ্বনির মত বাতাসের বুকে স্বর-তরঙ্গ সৃষ্টি করছে। পথের ধারে কোথাও পাহাড়ের গায়ে গুহা খোদাই করা, কোথা ও বা জলাশয়, স্থানে স্থানে পাহারওয়ালাদের আস্তানার ভগ্নাবশেষ। ধ্বংসপ্রাপ্ত পুরোনো দোকানের দুই-চারিটি দেওয়ালও মাঝে মাঝে চোখে পড়ে । তিনশটি ধাপ পেরিয়ে তবে গড়ের প্রধান দরজার সাম্নে পৌছান যায়। এই দরজাটি এখনও একেবারে ভেঙে পড়েনি—দৃঢ় এবং সবল হ’য়েই মাটির উপর দাড়িয়ে আছে । সমস্ত কাজের শুভাশুভ এই দরজার উপরেই বিশেষভাবে নির্ভর করে বলে’ই একে ষে অতিমাত্রায় মজবুং করে’ই গড়ে তোলা হয়েছিল—এই ভাবে টিকে থেকে এ তারি প্রমাণ নিঃসংশয়ে প্রদান করছে। দরজার দুপাশে গোটা বারো ঘর আছে। প্রত্যেকটি দুটো করে