পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] -- معه عم -- -- ص -.-.-......-......-.-....-....-....-....--------- গ্রাহ মূৰ্ত্তিতে প্রকাশিত হয়। আর্ট ধর্শ্ব ও দর্শনের সঙ্গে সঙ্গে কলা ও সাহিত্যের মধ্যে এই ভাবকে মূৰ্ত্ত করিয়া তোলে এবং মানব-জীবনের গভীরতম সমস্ত ও পরমাত্মার সম্বন্ধে মহোচ্চ সত্য লইয়া কারবার করে । তিনিও Keatsএর মতন বলেন, সত্য ও স্বন্দর এক। ডারউইন, স্পেনসার প্রভৃতি বলিয়াছেন যে, পশুদিগের মধ্যেও আর্ট বৰ্ত্তমান । স্ত্রীপুরুষের মিলনেচ্ছা ও ক্রীড়ার মধ্যে আর্টের জন্ম—ইহাতে স্নায়ুমণ্ডলীর মধ্যে একরকম মুখপ্রদ চঞ্চলত আসে। টলষ্টয়ের মতে তাহাই আর্ট যাহা মানব-হৃদয়ের ভাবনিচয় প্রকাশ করির অপরের মধ্যে সংক্রামিত হয় এবং হৃদয়ে হৃদয়ে যোগ-সাধন করে। তিনি আর্টকে বিষয়ভেদে উচ্চ-নীচ সঙ্কীর্ণ ও বিশ্বজনীন বলিয়াছেন। যে আর্ট কোন যুগের মানব-জীবনের সৰ্ব্বোচ্চ আদশ ও অনুভূতি (যাহাকে সেই যুগের ধৰ্ম্ম বলা হয়) সাহিত্যে বা কলায় প্রকাশ করে তাহাই প্রকৃত আর্ট, বলিয়: পরিচিত হয় । প্রকৃত আটের ভাষা সরল ও তাহ। বিশ্বের উপভোগের সামগ্রী। তাই ধনীর প্রাসাদ হইতে দরিদ্র কৃষকের কুটার পর্য্যৰ সমাদৃত হয়। রবীন্দ্রনাথ আর্টের কোন সংজ্ঞা দিতে অস্বীকৃত হইয়াছেন । তিনি আর্টকে মানব-হৃদয়ের স্বতঃস্ফৰ্ত্ত প্রকাশ বলিয়াছেন। তাহার মতে মানবের ব্যক্তিত্ব আর্টে প্রকাশিত হয়। সেইজন্য তিনি আটের কি সামগ্ৰী, কোন আট উচ্চ বা নীচ তাহ। বলিবার কোনো চেষ্টা না করিয়া সেই আট যাহার হৃদয়-ভাবের প্রকাশ সেই ব্যক্তির মধ্যে কি সম্পদ আমরা আশা করিব তাহার সম্বন্ধেই বলিয়াছেন । এতদ্ব্যতীত এক-শ্রেণীর কলাবিদেরা–তাহাদের অধিকাংশই ইংলওবাসী—আর্ট কি বুঝাইতে যাইয়া, আর্টের সামগ্রীর নাম করিয়াছেন । যথা—বিশ্বপ্রেম বা বিশ্বজনীনতা, শৃঙ্খলা, পৌৰ্ব্বাপেীৰ্য্য, সমপ্রাণতা, বৃহতের জন্য ক্ষুদ্রের স্বার্থনাশ, সমগ্রের সঙ্গে খণ্ডের ঐক্য, শাশ্বত বস্তু, ইত্যাদি । আমরা এখানে শুধু প্রধান মতগুলিরই বিচার করিব । Attēnstrổt=G (Baumgarten) R-73 শুধু আনন্দদানই করে না তfহা কামনার স্বষ্টি করে। ইহা ইন্দ্রিয়-গ্রাহ বস্তু। র্তাহার এই সিদ্ধান্ত ইম্প্রেশনিষ্ট (impressionist) আর্টের আদর্শ S AASAASAA AAASA SAASAAAS 8సి) আর্টের স্বষ্টির সহায়তা করিয়াছে। তিনি বলিয়াছেন যে, বিশ্বপ্রকৃতিতে আমরা সৰ্ব্বোচ্চ সৌন্দৰ্য্য দেখি— সুতরাং প্রকৃতিকে কপি করাই আর্টের চরম উদ্দেশ্য। ềzta Frost vatnai (impressionist) ইম্প্রেশনিই আর্টের মধ্যে খুব রংঙের ছোপ দেখিতে পাই । নীতির অভাব ৭ রঙের প্রাচুর্য্যবশতঃ পারীর সালতে এই দলের একজন প্রধান শিল্পী, ম্যানেটের “অলিম্পিয়া” নামক চিত্রপানি আনন্দ দান দূরে থাকুক, ঘৃণার সঞ্চার করিয়াছিল । তা ছাড়া সৌন্দৰ্য্যকে কামনার বস্তু বলায় বিপদের সম্ভাবন আছে। যেখানে সৌন্দর্য্য উচ্চ অঙ্গের— যেখানে তাহা অতীন্দ্রিয় সেখানে নয়, কিন্তু যেখানে তাহা ইন্দ্রিয়-গ্রাহ সেখানে । কাণ্টের অনুসরণ করিয়াই সালি (Sully) আর্টকে শুধু শিল্পী, শ্রোতা বা ভ্ৰষ্টার যুগপৎ আনন্দ দানে নিযুক্ত করিয়াছেন । তাহারা যে অর্থে এই কথাগুলি ব্যবহার করিয়াছিলেন তাহা তাহীদের পরে লোকে ভুলিয়া গিয়াছে। এখন আনন্দ আমোদে পৰিণত হইয়াছে । জীবস্ত প্রাণের সঙ্গে যোগ হারাইয়া আনন্দ অনেক সময় হাতীর নাচ অপেক্ষাও বীভৎস হয় । হেগেলের মতে যাহা পারমাত্মিক বা যাহা পরমাত্মার প্রকাশ তাহাই আর্টের বিষয়ীভূত, কেননা তাহাই স্বন্দর এবং তাহাদের মতে স্বন্দরের প্রকাশই আট। এখানে ধৰ্ম্মের সহিত সাহিত্যের এক যোগস্থত্র বাধা হইয়াছে। এই মতকে টলষ্টয় ভিত্তিহীন ধোয়াটে প্রভৃতি বলিয়া উড়াইয়া দিয়াছেন । তিনি বলিয়াছেন যে, এই মতের দ্বারা সৌন্দৰ্য্য, যাহার স্বরূপ একেই বোঝা কঠিন, তাহাকে অধিকতর অবোধ্য করিয়া তোলা হইয়াছে। রাস্বাদকে ব্ৰহ্মাস্বাদের সঙ্গে তুলনা করিয়া বুঝাইতে গেলে যেমন কোনটাই পরিষ্কার হয় না সেইরূপ সুন্দরকে পরমাত্মার সঙ্গে যুক্ত করায় সাধারণ লোকের বুঝিবার ক্ষমতার কিছু সহায়ত হয় নাই। এই মতের দ্বারা আর্টের কার্য অনিশ্চিত করা হয়। যাহাতে আর্ট কি তাহা সকলের স্ববোধ্য হয় সেইহেতু টলষ্টয় বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে আটের স্বরূপ বিশ্লেষণ করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন যে, সকল প্রকার হৃদয়ভাবের সচেতন প্রকাশই আট । বাক্যদ্বারা আমরা চিন্তা প্রকাশ করি,