পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতের বীজ হইতে ভাল কাপাস পাওয়ার আশা করা যায় । সময় থাকিতে ঐ বীজ থাদি প্রতিষ্ঠানে রাখা হুইবে । বাংলায় ক্ষেত কাপাসের গাছ ক্ষেত কাপাসের গাছ বাহা বৎসর বৎসর ফল দেওয়ার পর উপড়াইয়া ফেলা হয় অথবা ক্ষেতেই পোড়াইয় দেওয়া হয়, তাহাঁই বাংলায় গাছ কাপাস হইয়া যায়। একবার আশ্বিন মাসে ফুল দিয়া ও পৌঁষে ফসল দিয়া চৈত্রে পুনরায় ফুল দিতে থাকে। কাপসের জন্মই ভারতবর্ষে আমেরিকা এখন তুলার চাবে জগতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করিয়াছে, কিন্তু কাপাসের জন্ম হইয়াছিল প্রথমে এই ভারতবর্ষে । আমেরিকার তুলার আঁশ যতই লম্ব এবং স্বগ্ন হউক না কেন, ভারতবর্ষের মাটির সঙ্গে কাপাসের যে একটি জন্মগত সম্বখ আছে, এই কথা মেডলিকট সাহেব বেশ স্পষ্ট ভাষায় তাহার “কটন স্থাও বুক” নামক পুস্তকের ৬১ পৃষ্ঠার লিখিয়া গিয়াছেন— “আমেরিকার মাটিতে কাপাস জন্মে বটে, কিন্তু সেই মাটি যে কাপাসের নিজের মাটি নয়, ইহা ত কাপাসের জীবনীশক্তি দেখিলেই পষ্টই বোঝা যার । কিন্তু ভারতবর্ষের মাটিতে যখন সেই কাপাসের জন্ম হয়, তখন তাহার আয়ু বাড়িয়া যায়, কারণ ভারতবর্ষের মাটিই কাপাসের প্রথম জন্মভূমি। আমেরিকার যে কাপাসগুলি এক বৎসর ফল দিয়াই শুকাইয়া বায়, ভারতবর্ষের মাটিতে সেইসকল কাপাস কখনও দুই বৎসর তিন বৎসর আবার কখনও বা ৪৫ বৎসর পর্যন্ত ফল দিয়া থাকে ; প্রথম বৎসর অপেক্ষা দ্বিতীয় বৎসরেই আরও বেশী এবং ভাল ফসল দিয়া থাকে। তবে বর্ষার প্রাপ্লন্তে প্রতি বৎসর একবার করিয়া গাছগুলিকে ছাটিয়া দিতে হয়। গাছের গোড়া হইতে সমস্ত আগাছা তুলিয়া ফেলা এবং খ্ৰীষ্মকালে মধ্যে মধ্যে জলসেচন করা আবগুক ।" লীসতীশচন্দ্র দাসগুপ্ত, কৰ্ম্মী, খাদি প্রতিষ্ঠান, ৪ ১, চড়কড়াঙ্গী রোড, 珍 বেলেঘাটী. কলিকাতা । --নীহার কৃষ্ঠরোগীর চিকিৎসার্থ দাম ভিক্ষণ— বাকুড়া জেলায় এই ভীষণ রোগের প্রাচুর্ভাব যে অত্যন্ত অধিক তাহ কাহাকেও বলিতে হইবে না। লেপার মিশন টষ্ট এসোসিরেসনের দ্বার এখানে একটি কুষ্ঠাশ্রম স্থাপিত হয়। সেই আশ্রমে রোগগ্ৰস্ত বই লোকের স্থান আছে ; কিন্তু সকল রোগীই সেখানে যায় না। অনেকেই লোকালয়ে বাস করিয়া জলবায়ু দূষিত করে, কাজেই এই ভীষণ পীড়া এ-জেল হইতে দূর করা বা কুষ্ঠরোগীর সংখ্যা হ্রাস করা দুরূহ ব্যাপার। এই রোগ নিবারণ করিতে হইলে, ক্ষতযুক্ত রোগীগণকে কুষ্ঠাশ্রমে আটকাইয়া রাখা এবং এই রোগ যাহাদিগকে সবেমাত্র স্পর্শ করিয়াছে তাহাদিগকে ইনজেকসন দ্বারা আরোগ্য করা ভিন্ন জনসমাজের প্রকৃত হিতসাধন হইতে পারে না । ক্রমেই ইহা দেশময় বিস্তুত হইয়। পড়িতেছে। বাঁকুড়া কুষ্ঠাশ্রমের রোগীদের দৈনিক আহারের ব্যয়ভার গবর্ণমেণ্ট, বহন করেন। এই কুষ্ঠাশ্রমের কার্য্য পরিচালনের ভার এক কমিটীর উপর অর্পিত আছে। এই কমিটীর দ্বাৰ্মাই ঐ আশ্রমের কার্য্য হুচারুরূপে নিৰ্ব্বাহ হইয়া আদিতেছে । বাঁকুড়ার রেভারেও জে. ডব্লিউ. সার্জেণ্ট, এই কমিটীর সম্পাদক। সমিতির সভ্যগণ গত অধিবেশনে স্থির করিয়াছেন, যে কুষ্ঠাশ্রমের বাহিরে রাস্তার ধারে কুষ্ঠরোগীদের জন্ত একটি আউটডোর ডিসপেনসারী বা চিকিৎসালয় নিৰ্ম্মাণার্থ অর্থ সংগ্ৰহ দেশ-বিদেশের কথা—বাংলা & 83) করা হউক। ঐ গৃহটি নিৰ্ম্মাণের জন্ত ১৫•• < পনর শত টাকা মাত্র ব্যয় হইবে । যাহাঁদের গায়ে সবে ঐ রোগের চিহ্নাদি প্রকাশ পাইতেছে তাহারা কিছুতেই কুষ্ঠাশ্রমে যাইতে প্রস্তুত নহে। তাই লোক-সমাজে এই রোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাইতেছে। কুষ্ঠাশ্রমের সন্নিকটে একটি ডিসপেনসারী পোলা হইয়াছে। সেখানে বাহির হইতে অনেকগুলি রোগী গিয়া ইনজেকুসৰু লইয়া আসিতেছেন । কিন্তু সেই গৃহটি নিতান্ত ক্ষুদ্র, তাহাতে সকল রোগীর স্থান হইতেছে না। সেইজষ্ঠ ১৫•• < টাকা ব্যয়ে ঐ নুতন গৃহ নিৰ্ম্মাণের প্রস্তাব হইয়াছে। এরূপ মহৎ কাৰ্য্য সম্পাদনার্থে সহৃদয় বাঁকুড়া-ঞ্জেলাবাসী ভদ্রমহোদয়গণ স্বতঃই অগ্রসর হইবেন বলিয়া আমাদের বিশ্বাস। তাই আমরা এই দেশ-হিতকর কার্য্যে উহাদের দান ভিক্ষা করিতেছি । যিনি যাহা দিবেন, তাহা তিনি কুষ্ঠাশ্রমের সেক্রেটারী রেভারেও, জে. ডব্লিউ. সার্জেণ্ট মহোদয়ের নিকট পাঠাইবেন । —ীকুড়া-দর্পণ বঙ্গীয় পল্লী শ্রীসঙ্খ-— বঙ্গীয় পল্পী শ্ৰীসভব কলেরা, ম্যালেরিয়া, বসন্ত, কালাজ্বর, শিশুমঙ্গল ও পল্লী সংস্কার প্রভৃতি বিষয়ে গ্রামে গ্রামে আলোক-চিত্রের সাহায্যে শিক্ষা ও আনন্দ প্রদ বক্ততা প্রদান করিবার ব্যবস্থা করিয়াছেন। এই সঙ্ঘ বাঙ্গালীর প্রতি পল্লী হইতে আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করিবেন। র্যাহারা আহবান করিবেন, তাহাদের নিকট উক্ত সঙ্ঘ একজন কৰ্ম্মীর কেবলমাত্র যাতায়াত ও তথায় থাকিবার ব্যবস্থার প্রত্যাশ করেন। ইচ্ছা করিলে উহার উক্ত প্রতিনিধিকে এক সময়ে এক সপ্তাহের জঙ্ক জনসাধারণের সেবার নিয়োজিত রাখিতে পরিবেন । নিকটবৰ্ত্তী কয়েকটি গ্রামের অধিবাসিগণ সমবেত হইয় অনায়াসে ইহার ব্যবস্থা করিতে পারেন। র্যাহারা শ্ৰীসঙেবর কৰ্ম্মীগণের সহায়তা কামনা করেন উহার ৩নং রমানাথ মজুমদার ট্রটে, পল্লী শ্ৰীসঙ্ঘের সম্পাদক শ্ৰীযুত জ্ঞানীপ্লন নিয়োগী অথবা খ্ৰীযুত রাজেন্দ্রচরণ ঘোষ মহাশয়কে জানাইয়| অমুগৃহীত করিবেন। —২৪ পরগণা বাৰ্ত্তাবহ এই অনুষ্ঠানটি প্রসার লাভ করিলে দেশের প্রকৃত হিতসাধন হইবে। বাংলা দেশ বলিতে বাংলার পল্লীসমূহকেই বোঝায়। সেই পল্লীর উন্নতি সাধিত হইলেই সমগ্র দেশের উন্নতি ঘটিবে। দারিয়ো ও অস্বাস্থ্যে আজ বাংলার পল্লী ধ্বংসের মুখে । এই দাবিদ্র্য ও অস্বাস্থা দূর করিতে হইলে, পল্লীবাসীকে শিক্ষিত করার প্রয়োজন সৰ্ব্বাগ্রে। সেই শিক্ষার ভার র্যাহার হাতে লইয়াছেন তাহাদিগকে সাহায্য করা এবং উহাদিগের সাহায্য লওয়া দেশহিতেচ্ছ, সকলেরই কৰ্ত্তব্য। পল্লী-সংস্কার— আষাঢ় ( ১৩৪১ ) সংখ্যায় ৪-৫ পৃষ্ঠায় “কুসক” হইতে যে-অংশ উদ্ধৃত করা হইয়াছে তাহাতে কয়েকটি ভুল আছে। প্রথমতঃ, কেন্দ্রীয় ম্যালেরিয়া নিবারণী সমবায় সমিতির ঠিকান ১•১ নং কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রট না হইয়৷ ১২এ প্রেমচাঁদ বড়াল ষ্ট্ৰীট হইবে । দ্বিতীয়তঃ, বিভিন্ন রোগে মৃত্যুর ষে হিসাব দেওর হইয়াছে, উহা ঐ4প না হইয়া নিম্নলিখিত রূপ হইবে ।--"প্রতি ১ মিনিট অন্তর-...ম্যালেরিয়ায়, ও মিনিট অন্তর ১ জুন নিউমোনিয়ার, ৪ মিনিট অস্তুর ১ জন ওলাউঠার ও ১ জন আমাশয়ে, ৫ মিনিট অন্তর ১ জন ক্ষয়রোগে, ৬ মিনিট অন্তর ১ জন টাইফয়েডে, ৮ মিনিট অন্তর ১ জন স্বতিকায় ( ১২ মিনিট অন্তর ১ জন পেটের অসুখে ), ১৫ মিনিট অস্তুর ১ জন ধমুষ্টঙ্কারে এবং ৩• মিনিট অস্তব ১ জন কালাজ্বরে মরিতেছে।” ইহার সঙ্গে যোগ দিতে পারেন “মোটের উপর প্রতি ঘণ্টায়ু ১৬২ জন অর্থাৎ