পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q & o ( ১৯৪ ) শাহ সুজ। স্বজা শাহ জাহানের দ্বিতীয় ছেলে । তিনি স্বর্থী লোক ছিলেন। তিনি যুদ্ধ-বিগ্রহ ভালবাসিতেন না—আমোদ-প্রমোদ করিয়া দিন কাটান; সাদা কথায় দুনিয়ায় ফুৰ্ত্তি লুটিবার আগ্রহট তার খুবই ছিল ; এবং ১৭ বৎসর কাল তিনি বাংলাদশের জল-বায়ুর মধ্যে অবস্থান করিয়া নিতান্ত আলস্তপ্রিয়, দুর্বল, এবং কৰ্ত্তব্য-কর্থে বিমুখ হইয়া উঠেন। তিনি শাসনকার্য্যে দক্ষ ছিলেন না, উপরওয়ালার এরূপ অপদার্থতার দরুনূ স্বজার সৈন্যদলও একেবারে নিস্তেজ ও “বিলাসী বাবু” হইয় উঠে । কাজেই, রাজপুত্র স্বজা ৪১ বৎসর বয়সেই বাৰ্দ্ধক্য লাভ করেন। শাহ জাহানের যখন অসুখ, তখন স্বজা সে-সময়কার বাংলার রাজধানী রাজমহলে ছিলেন। শাহজাহানের অস্বথ-এই সংবাদ পাওয়া মাত্রই তিনি নিজকে ‘ভারত-সম্রাট বলিয়া ঘোষণা করেন এবং নিজ নামের পিছনে কতকগুলি বিশেষণ লাগাইয়া, মুদ্র ছাপাইতে থাকেন। ১৬৫৭ খৃঃ স্বজা এই নাম ধারণ করেন—“আবুল ফায়াজ, নাসিরুদ্দিন মহম্মদ, ৩য় তৈমুর, ২য় আলেক্জাওর, শাহ, স্বজা বাহাদুর গাজী ।” দিল্লী দখল করিবার উদ্দেষ্ঠে বাংলাদেশ হইতে “লাওওড়া" নামক বিখ্যাত নৌ-বাহিনী সংগ্ৰহ করিয়া যুবরাজ স্বজা ১৬৫৮ খৃষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসের শেষে কালীতে পৌঁছেন। জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা স্বজার দিল্লী-অভিযানের খবর পাইয়া স্বীয় পুত্র স্বলেমান শেখ, এবং রাজা জয়সিংহকে বিপুল বাহিনীসহ কনিষ্ঠ ভাইয়ের বিরুদ্ধে পাঠাইয়া দিলেন। কাশীর ৫ মাইল উত্তর-পূর্বদিকে বাহাদুরপুর নামক স্থানে সুজা যুদ্ধে হারিয়া যান ( ১৪ই ফেব্রুয়ারী, ১৬৫৮ খৃঃ) । এই যুদ্ধ উপলক্ষে সুজার ২ কোটি টাকা লোক্সান হয়। স্বজ প্রথমতঃ পাটনা, তার পর মুঙ্গেরে পলায়ন করেন—সুলেমান শেখ এখানেও প্তাহাঁকে অনুসরণ করেন,~~মুজা সুলেমানের সহিত সন্ধি-সুত্রে আবদ্ধ হন (মে মাসের প্রথম ভাগ ১৬৫৮ খৃঃ) । অধ্যাপক যদুনাথ সরকারের আওরঙ্গজীব নাম বিখ্যাত ইংরেজী গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডে সুজার বিস্তৃত ইতিহাস আছে। কাজেই এস্থানে আলোচ্য বিষয় খুবই সংক্ষেপে লিখিয়া গেলাম। - ১৬৫৯ খৃষ্টাব্দের এই জাষ্ট্রয়ার স্বজ আওরঙ্গীব কর্তৃক “খাজওয়াতে" সম্পূর্ণরূপে পর্যন্ত হন। তিনি বাংলাদেশে ফিরিতে বাধ্য হন এবং নিজেকে পুনঃ প্রতিষ্ঠা করিবার জন্ত ২ বৎসর আওরঙ্গজীবের বিরুদ্ধে চেষ্টা করেন। ভাগ্যলক্ষ্মী কিছুতেই প্রসন্না হইলেন না । হতভাগ্য স্বজা ১৬৬০ খৃঃ ১২ই মে সপরিবারে আরাকানে পলায়ন করেন। আরাকানবাসী “মঘেরা যে কিরূপ লোক—তাহা আর তখনকার দিনে অবিদিত ছিল না । পুৰ্ব্ব-বাংলা তাহদের হস্তগত ছিল বলিলেই হয়। স্থাত, নরহত্য, নিষ্ঠ বতা এবং নানাবিধ পৈশাচিক লীলায় ‘মঘেরা ছিল সকলের সেরা । কুজার তখনকার অবস্থা, “জলে কুমীর, ডাঙ্গায় বাঘ” ইহার মধ্যস্থিত শেকের মত। একদিকে আওরঙ্গঙ্গীবের হাতে নিষ্ঠরভাবে মৃত্যু অপেক্ষা করিতেছে অপর দিকে ‘মঘদের আশ্রয় লওয়া আর সাক্ষাৎ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা একই কথা । আওরঙ্গজীবের হাতে ধরা দেওয়ার চেয়ে তিনি *মঘদিগের আশ্রয় লওয়াটা ভাল মনে করিলেন । ৪০ বৎসর পৰ্য্যন্ত হিন্দুস্থানে মুখে লালিত-পালিত হইয়া—ভাগ্যলক্ষ্মীর নিষ্ঠুর পরিবর্তনে ভারত-সম্রাটের আদরের পুত্র, মাত্র ৪০ জন বিশ্বস্ত অনুচরসহ সপরিবারে জন্মভূমি এবং কৰ্ম্মভূমির নিকট হইতে চিরবিদায় গ্রহণ করিলেন । আরাকানে যাইয়া মুজা কি করিলেন এবিষয়ে ঐতিহাসিক কামু ও কাফি খা নীরন্থ । অনেকদিন পর এক সংবাদ আসে যে হুজা প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড পারস্তদেশে চলিয়া গিয়াছেন এবং তাহার ছেলেবুলেন্দ আখত্তায় ভারতবর্ষে উপস্থিত। এই সঙ্গেহে ১৬৯৯ খৃঃ একজনকে এলাহাবাদের নিকট গ্রেপ্তায় করা হয় । ১৬৯৯ খৃঃ এবং ১৬৭৪ খৃষ্টাব্দে দুইজন লোক স্বজা বলিয়া নিজকে জাহির করিতে থাকে। এসব নানা কারণে খুৎ-খুতে আওরঙ্গ জীব বিষম মুস্কিলে পড়েন। তিনি মির্জুমল্লা এবং সায়েন্ত থাকে সুঙ্কার সংবাদ সংগ্ৰহ করিতে বলেন । কিন্তু তাহার! সুজার কোন খবরই পান নাই। য়ুরোপীয় ঐতিহাসিক বলেন, স্বজা আরাকানে যাইয় অনেক অনুচর প্রাপ্ত হন এবং অনুচরবৃন্দের সাহায্যে আরাকান-রাজৰে সিংহাসনচ্যুত করিবার জন্ত ষড়যন্ত্র করেন। একথা আরাকান-রাজ টের পান। সুজা পলায়ন করেন। কিন্তু ‘মঘেরা উহাকে খুজিয়া বাহির করিয়া হত্যা করে । শ্ৰীনগেন্দ্রচন্দ্র ভট্টশালী ( ઝહ ) অশোক অশোকের আক্রমণ-কালে কলিঙ্গের রাজ কে ছিলেন. তাহ ঐতিহাসিকের উল্লেখ করেন না । তখন ভারতে বৌদ্ধ-বিহার ছিল। রাধাকৃষ্ণ-নামক মন্ত্রীর সাহায্যে অশোক রাজা হুইয়াছিলেন । অশোকের দিগ্বিজয়ী সেনাপতির নাম পাওয়া যায় না । অশোকের তিন জন মহিষীর খবর মিলে—কারবকি, অসন্ধিমিত্রা ও তিয্যরক্ষিত । অসন্ধিমিত্র ও তিয্যরক্ষিতার ঐতিহাসিক মূল্য নাই। ইতিহাস আলোচনাকারীর কুণালের অস্তিত্বও স্বীকার করিতে চাহেন না । তাহার। তিস্বরক্ষিতা ও কুণাল-সম্বন্ধীয় ঘটনাকে গল্পের কোঠায় ফেলিয়া রাখিয়াছেন । শ্ৰীনগেন্দ্রচন্দ্র ভট্টশালী ( ) ನಿ!” ) প্রাচীন ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় *。 লাহোর হইতে পেশোয়ার যাইবার পথে সরাইকলা জংশন বলিয়া একটি রেলওয়ে ষ্টেশন আছে। সরাইকল রাওলপিণ্ডি হইতে ২• মাইল উত্তরপশ্চিমে। এই সরাইকল ঠিক পূৰ্ব্ব-উত্তর কোণেই প্রাচীন *food Roto orgiotă onto I (So. A Guide to Taxila Marshall, 1. 1 1!}. ভারতবর্ষ, কীৰ্ত্তিক—১৩২৬, ৬-৫ পৃঃ —৬১২ পৃঃ ) তফশিলার উৎপত্তি ও নামকরণ-সম্বন্ধে রামায়ণে এখবরটুকুও পাওয়া যায়। শ্রীরামচন্দ্র উহার রাজত্বের শেষ দিক্ দিয়া শ্ৰীমান ভরতকে সিন্ধু-তীরবত্তী পরম শোভন গন্ধৰ্ব্বদেশ জয় করিবার জন্ত কিছু সৈন্যসহ প্রেরণ করিলেন। ভরতের মাতুল কেকয় রাজ যুদ্ধাজিৎ সসৈন্ত ভরতের সঙ্গে, গন্ধৰ্ব্বদেশের নিকটবৰ্ত্তী এক স্থানে আসিরা যোগদান করেন ৷ তক্ষ ও পুঙ্কল নামে ভরতের দুই পুত্র ; তাহারাও এই যুদ্ধে উপস্থিত ছিলেন । গন্ধৰ্ব্বদের সৈদ্য-সংখ্যা ছিল তিন কোটি। সাত রাত ধরিয়া তুমুল যুদ্ধ চলে। গন্ধৰ্ব্বের যুদ্ধে হারেন। ভরত গন্ধৰ্ব্ব-রাজ্যে দুষ্ট পুত্রের নামে দুইটি নগর স্থাপন করিলেন। তক্ষের নাম হইতে তক্ষশিলা এবং পুষ্কলের নাম হইতে নগরের নাম হইল পুষ্কলাবত। ( রামায়ণ উত্তরকাগু: ১ • • সর্গ, ১৭ ও ১১ শ্লোক & * —১•১ সর্গ, ১০—১৫ শ্লোক দ্রষ্টব্য । ) মহাভারতে রাজা জনমেজয়ের সর্প-যজ্ঞ-সম্পর্কে তক্ষশিলার উল্লেখ আছে। বুদ্ধ জাতকগুলি হইতে জানা যায় যে, খৃঃ পুঃ ৪র্থ এবং ৫ম শতাব্দী হইতেই তক্ষশিলা বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন-শাস্ত্র, চিকিৎসা-শাস্ত্র,