পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] সাহিত্য এবং বিজ্ঞান অনুশীলনের জন্ত বিখ্যাত ছিল। তার পর আলেকজান্দারের ভারত অভিযান হইতে আরম্ভ করিয়া, তক্ষশিলার ধাটি ইতিহাস আছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি কে স্থাপিত করেন, স্থির হয় নাই । - ঐনগেন্দ্রচন্দ্র ভট্টশালী ( هه لا ) "ঢোল সহরত* শোহরাত, অর্থ, ঘোষণা ! কেশোয়ারী নামক বিখ্যাত অভিধানে ইহা আরবী শব্দ ঘালয় উল্লেখ আছে। সহরত এই শোহরাত শব্দেরই অপভ্রংশ। মোছলমান বাদশাহগণের সময়ে সহরত বা সহরত, শব্দের স্কার দলিল, নকিব প্রভৃতি অনেক আরবী এবং পার্শী শব্দ বাংলাভাষায় প্রবেশ লাভ করিয়াছে । মোহাম্মদ সেকেন্দর আলি ( ه ه ج ) খন্দরের পাড়ের রং ফরিদপুর জেলায় মাদারীপুর-সহরে খন্দরের পাড়ের রং করিবার কারথানা আছে । আমি নিজে তথা হইতে পাড়ের রং করিয়া আনিয়াছি। প্রতি ১০ হাতী কাপড়ের এক পার্থে ছাপ দিতে w• আনা করিয়া লাগে। পাড়ের দুই পার্শ্বে ছাপ দিতে হইলে, J• আনা করিয়া দিতে হয়। খন্দরের পাড়ের রং কিরূপে প্রস্তুত করিতে হয়, নিয়ে উহার প্রক্রিয়। প্রদত্ত হইল । জলের সহিত হরীতকী চুর্ণ মিশ্রিত করিয়া উহা সিদ্ধ করতঃ কথ প্রস্তুত করিয়া লইতে হইবে। উহার সহিত লোহার জল (গুড়-জলের সহিত গুলিয়া মাটির পাত্রে রাখিয় তাহাতে লোহার চাদর বা পেরেক দিয়া ২/৩ সপ্তাহ রাখিলেই লোহার জল ব্যবহারের উপযোগী হইবে ) মিশাইতে হইবে। এই প্রণালীতে হরিতকীর কাথের সহিত লোহার জল ৫৭ বার মিশ্রিত করিলেই পাকা কাল রং প্রস্তুত হইবে। এই পাক কালী-দ্বারা পাড় অনায়াসে ছোপান হইতে পারে। নগেন্দ্রনাথ সেন-প্রণীত "বৃহৎ কেশরঞ্জন পঞ্জিকাতে” বিবিধ কালী প্রস্তুত করিবার প্রণালী লিখিত আছে। প্রশ্নকৰ্ত্তা উক্ত বহিখানি একবার দেখিয়া লইতে পারেন । শ্ৰী রমেশচন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্তী শ্ৰীমতী কমলকামিনী দেবী ( ২৪৩ ) পাটের পোকা পাট-গাছে পোকা ধরিলে, কেরোসিনমিশ্ৰিত জল, চুনের জল, তামাক-ভিজান জল, হকার বাসী জল, ফটুকির বা কপূরঙ্গল অথবা তুতে ভিজান জল—উহাদের যে কোনটি জমিতে বা গাছের উপর ছিটাইয়া দিলে গ্ৰেীক নিৰ্ব্বংশ হইয়া যায়। এক সঙ্গে ২৩-রকমের জল ছিটাইলে অধিক ফল দর্শে। ইহা পরীক্ষিত। পাটপাতায় তামাকের গুলভিজন জলের সহিত একটু কপূর ও সাবানের জল মিশ্রিত করিয়া লাগাইলে পোকার আর কোন ভয় থাকে न1 ।। শ্ৰী রমেশচন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্তী ( 3 ) झिल्लेौ - इंडिशंदन बांभब्रां cमथिष्ठ *३ि. मिल्लौद्र थोप्लेौन नांभ-श्लथइ । झूठेপূৰ্ব্ব প্রথম শতাব্দীর মধ্যভাগে “দিল্লী”–এই নাম সৰ্ব্ব-প্রথম ইতিহাসে বেতালের বৈঠক—মীমাংসা Ꮹ© Ꮌ দৃষ্ট হয়। দিল্লী নামের উৎপত্তি হইতে জানা যায় যে, মৌর্য্যবংশীয় শেষ নরপতি দিলু স্বীয় নামানুসারেই এই নগরীর প্রতিষ্ঠা করেন। কালক্রমে প্রথম অনঙ্গপাল ৭৩৬ খৃষ্টাব্দে সিংহাসন অধিকার করিয়া নগর-সংস্কার পূর্বক ঐ দিল্লীতেই রাজধানী স্থাপিত করেন। তৎপূর্বে এখানে রাজ ধ্রুব রাজত্ব করেন । দিল্লীর লৌহস্তম্ভগাত্রে যে লিপি খোদিত রহিয়াছে, তাহা হইতে স্পষ্টই জানা যায় যে, ধ্রুবরাজাই উহা প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি খৃষ্টীয় ৪র্থ শতাব্দীতে বৰ্ত্তমান ছিলেন । ইহ দ্বারা স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে যে, অনঙ্গপাল দিল্লী-নগরীর প্রথম স্থাপনকৰ্ত্ত নহেন। তৎপূর্বেই দিল্লী নগরী প্রতিষ্ট হয়। তিনি দিল্লী নগরীর সংস্কার করিয়াছেন মাত্র। বর্ধমান দিল্লীর চতুর্দিকে পুরাতন রাজধানী-সকলের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। মোগল সম্রাট সাজাহানই বর্তমান দিল্লীর প্রতিষ্ঠাতা , ইংরেজ-প্রতিষ্টিত নুতন রাজধানী সাজাহান-নিৰ্ম্মিত দিল্লী-সহরে অs arণ উত্তরে স্থাপিত হইয়াছে। ইহা দ্বারা স্পষ্টই প্রতীয়মান হইতেছে যে, বর্তমান দিল্লী ও অনঙ্গপালের দিল্লী এক নহে। (Vরমেশচন্দ্র দত্ত ও শ্ৰীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ইতিহাস হইতে এই প্রশ্নের উপকরণ সংগ্ৰহ করিয়াছি। ) শ্রীরমেশচন্দ্র চক্রবর্তী ( २ ) “আনারকুলী বাজার” লাহোরে আনারকুলী বাজার ও সেই নামে যে কবর আছে তাহার মুলে ঐতিহাসিক সত্য আছে। কথাটা আনারকুলী নয় : আনারকলি অর্থাৎ ডালিমের কলি । ইহা কোনও তন্ত্রী রূপসীর রাপব্যঞ্জক সংজ্ঞা মাত্র। আকবর বাসাহের জনৈক ইরানী বাদী তাহার প্রিয়পাত্রী ছিল, তাহার নাম শরীফউল্পীসা, পরে নাদীরা বেগম হয়। জনশ্রুতি যে যুবরাজ সেলিম তাহার সহিত হাসি-তামাসা করেন, সম্রাট তাহ জানিতে পারিয়া তাহাকে জীবস্তে সমাহিত করেন। সেলিম জাহাঙ্গীর বাদসাহ হইয়া ১৬০৫ খৃষ্টাকে উক্ত কবরের উপরে একটি মর্থর-প্রস্তরের সমাধি নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন, তাহ আজও বিদ্যমান আছে। ইংরেজ-আমলে ইহা গির্জাঘর-রূপে ব্যবহৃত হইত। এখন রাজদপ্তরখানা মহাফেজখানা হইয়াছে । এই সমাধির মধাস্থলে একখণ্ড শিলালিপিতে পারস্ত ভাষায় একটি কবিতা উৎকীর্ণ ছিল ; তাহার ইংরেজি অনুবাদ– Ah! would l lehold the face of Iuy beloved once more I would give thanks into my (iod into the day of resurrection. (Punjab (iazetteer–Lahore District by (i. 1'. Walker, l.('.S., P. 305. ) বিগত ১৯১৯ সালেও এই শিলালিপি স্থানান্তরিত হইয় পার্শ্ববৰ্ত্তা এক গৃহ-কোণে রক্ষিত ছিল দেখিয়াছিলাম। লব্ধপ্রতিষ্ঠ কবি সাহাদাৎ হোসেন গত ১৩২৬ সালে শ্রাবণ মাসের পল্লী-বাণী মাসিক পত্রিকায় “মরুর কুসুম” শীর্ষক এক কবিতায় এই বাথ প্রেমের করুণ কাহিণী কবি-কল্পনায় একটু পরিবর্ধিত আকারে প্রকাশ করিয়াছিলেন। শ্রদ্ধের ঐতিহাসিক শ্ৰীযুক্ত যদুনাথ সরকার মহাশয় সত্যই বলিয়াছেন যে কোনও ইতিহাসে বা ইউরোপীয়ের ভ্রমণ-বৃত্তান্তে তিনি একথার নিদর্শন পান নাই। ভারতবর্ষে যখন যাহা ঘটিয়াছে, তাহার সব কথা ইউরোপীরের ভ্রমণ-বৃত্তাস্তে নাই ; আবার তখন ধারাবাহিক ইতিহাস লিখিবরও নিয়ম ছিল না : বিশেষ তাহ রংমহল-সম্বন্ধীয় কোনও ব্যাপার হইলে সম্রাটের খাস দরবারের লিপিকরের লিখিয়া না রাখাই