পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&& R সম্ভবপর। কিন্তু স্থানীয় কিংবদন্তী একেবারে অবিশ্বাস করা চলে না । এক্ষেত্রে মুতীর কবর আজও বিদ্যমান রহিয়াছে । মুর্শিদাবাদ নবাবের দরগারেও ফৈজি (Faizultilissn) নামে একটি হন্দী নর্তৃক নবাবের প্রিয়পাত্ৰী হয়। পরে ঐরূপ সন্দেহহেতু তাঁহাকেও জী1স্ত সমাহিত করা হয় । একথা কিন্তু কোনও ইতিহাসে বা ইউরোপীয়েব ভ্রমণ বৃত্তাস্তে পাওয়া যায় না। সম্মানভাঙ্গন ঐতিহাসিক নিখিলনাথ রায় মহাশয় ভাঙ্গার পুস্তকে এই ঘটনার কথা উল্লেখ মাত্র করিয়ছেন । স্থানীয় লোক একথা জানে ও বিশ্বাস করে। এইসকল বিষয বিশ্বাস করিবার জন্তু সমুদ্রপরের প্রমাণ অবিশ্বক করে না। সমুদ্রপরেও ভারত ইতিহাসের সব মাল-মসূল' নাই, তাহ প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড এদেশেই চারিদিকে প্রক্ষিপ্ত রহিয়াছে। আমরা যে ইতিহাস দেখিতে পাই তাঁহা ভারত ইতিহাসের কবন্ধ মাত্র। ঐদ্বিজেন্দ্রনাথ রায় চৌধুরী জিঞ্জিয় কর ঞ্জিজিয়া কর প্রবর্তন সম্বন্ধে ন'নমিত দৃষ্ট হয়। শ্রদ্ধের স্ত্রীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় বলেন,– “মহম্মদ হোগলকই জিজিয়া-কর প্রথম স্থাপন করেন।” তাহীর মত সমীচীন বলিয়া বোধ হয়। কারণ মহম্মদ তোগলকের অবাবস্থিততায় রাজ্যের অবস্থা কিরূপ হইয়াছিল, তাহা ইতিহাসপাঠকমাত্রেই অবগত আছেন। ঐরমেশচন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্তী কাজরী শ্ৰী শৈলেন্দ্রনাথ রায় “জল-ছল-ছল শঙন-মেঘের তাথির কোণ, বল বল সৃষ্ট কিসের ব্যথায়ীভবুল মন । হুম্ হুম্ জুম্ বর্ষাধারার মুথর গান কবুলে আজিকে করলে প্ৰাণ!” ---“বৰ্মাধারার বর্ষণে,— অকারণেই উতল হ’লি বলবে কি লো সব জনে ?" খুন ওলো খুন কাজের কথা থাকুনা সই ; মৰ্ম্ম-ব্যথা শোন না কই । শাওন-ধারার ঝরছে জল -- পরাণ কেন হয় উতল ?” —“শাঙল-মেঘের বর্ষণে,— হঠাৎ ধে তুই এমন হ’লি, বলবে কি লো সব জনে ?” “থাক থাকু থাক - শোন ওলো শোন ঝর ঝর ঝর বল বল সই দোলায় পরাণ সমীরণ ; সরের কথা ভোল এখন । শেন শোন ওই বিনয় করে যায় সেধে— সই ওলো সই সোহাগ-কঁাদন ওই কেঁদে !” ---"মেঘ লা হা ওয়ার কম্পনে— তুই যেন এ কেমন হ’লি, বসবে কি লো সব জনে ?” “দোল দোল্‌ দোল ভোল ভোল ভোল “শন শন শন শোন শোন সই গাছের শাখায় হাওয়ার ভিড় ; পরাণ কেন রয় না থির । ওই ওই সই ছিড়ছে পাত ফুলের সাজ,— এই পাক্ থক্ থাকল পড়ে ঘরের কাজ।” —“বাদল-বায়ুর নর্তনে— ঘর ছেড়ে তুষ্ট কোথায় যাবি, বলবে কি লে। সব জনে ?" “কড় কড় কড় গর্জে’ উঠে দেয়ার ডাক,— মুহুমুক্ত কে দেয় প্রাণে কে দেয় হঁকি ! ঝম ঝম্ ঝম্‌ মেঘেব নৃপুর বাঙ্গছে ওই ; বাই যাই যাই ঘর করা এই রইল সই ।” —“দেয়ার অধীর গর্জনে— ঘরের বধূ বাউরী হবি, বলবে কি লো সব জনে ?” “রুন ঝুম্ রুন নৃপুর-ধ্বনি বাজুকু সই ; মেঘূলা-সাঝে পরাণ-পিতম এল যে ওই ! ঝুম্ ঝুম চুম্ বর্ষণে আজ হুই বিভোর – রিন ঝিন্‌ রিন শিউরে উঠক অঙ্গ মোর !" —“ভর সাঝে তুই ক্ৰন্দনে— বুকের কাপড় ভিজিয়ে দিলি, লাজ তোর কি নেইমনে?” * * পূৰ্ব্বে প্রকাশিত একটি কবিতার ভাব-অনুসরণে কাজী নৃত্যের ছনে রচিত ।