পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(గిరి কত টাকা জমা দেন, তাহার রসিদ রাখেন না । পালন করা অবগু কৰ্ত্তব্য । ২। মন্দির-রক্ষক ভলাণ্টিয়ার। ইহঁদের অধিকাংশই ময়মনসিংহ ও মাদারীপুরের ভলাণ্টিয়ার। ইহাদের সবুজ রংএর সৈনিক পোষাক । হাফপ্যান্ট, কোট ও টুপি সবই সৈনিকধরণের। পাছে হুগলী জজ আদালতের রিসৗভার মন্দির দখল করেন, তাই এই ভলাষ্টিয়ারগণ মন্দিরের দ্বারে দিনরাত পালা করিয়৷ পাহারা দিয়া থাকেন। ৩। চাপদানি সেবা-সমিতি । সত্যাগ্ৰহীদিগকে লইয়৷ মোহন্তের বাড়ী দখল করিতে যাওয়া, ধৃত সত্যগ্রহীর সহিত থানীয় যাওয়া এবং খানা হইতে বন্দীদিগকে লইয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে গমন করা ও সন্থর পরিস্কার রাখা ইহাদের কার্য্য। এই ভলণ্টিয়ারদের অনেকেই অল্পবয়স্ক। তাহাজের অনেকেই বাঙ্গালী স্কুল বা ইংরেজী স্কুলের নিয় শ্রেণী পৰ্যন্ত পড়িয়া পাঠ সাঙ্গ করিয়াছে। ইহাদের মধ্যে একটি মুসলমান বালক আছে। সে পিতা-মাতার অমুমতি না লইয়া ভলাণ্টিয়ার হইয়াছে। ৪ । সত্যাগ্রহী। মোহস্তের বাড়ী দখল করিতে যাইয়া জেলে গমন করাই ইহাদের কার্য্য। ইহাদের মধ্যে ভাল লোকের একান্ত অভাব। ইহাঙ্গের অধিকাংশ বালক ও অল্পবয়স্ক যুবক । ইহাদের অনেকের গাত্রেই খদর দেখা যায় না । সত্যাগ্রহী অথচ খদ্দরধারী নহে । ৫ । স্ত্রীলোক ভলাটিয়ার। সংবাদপত্রে লেখা হয় মহিলা ভলাটিয়ার। প্রকৃতপক্ষে কতকগুলি বেগু, ও বাগী ডোম প্রভৃতি নিয়শ্রেণীর স্ত্রীলোকদ্বারা এই দল গঠিত। মন্দিরের স্বারে দিনরাত বসিয়া থাক ইহাদের কার্য্য। পাছে রিসৗভার আসিয়া মন্দিরে প্রবেশ এবং মন্দির দখল করেন, তাই ইহারা দ্বারদেশে বসিয়া থাকে। স্ত্রীলোকদিগের গায়ের উপর দিয়া ধাইতে রিসৗভার সাহসী হইবেন না, खाई हैंशंब्रां नल बैंiथिब्रां मांब्रि मॉब्रि वांदब्र वनिग्न थांटक ।। ७झे গ্রীলোকদের সন্মুখে প্রথম দলের কতিপয় ভলান্টিয়ার দাড়াইয়া থাকে। বেঙ্গ ও অপর শ্রেণীর স্ত্রীলোকদিগের ভলান্টিয়ার করা ভাল হয় নাই । ङ्मिांद-मश्वटक निब्रभ ஆ সৎকাজ । আগে মন্দিরসংলগ্ন দুধপুকুরে স্ত্রী-পুরুষ যাত্রীরা একই ঘাটে, একত্র স্নান করিত। ভলাটিয়ারগণ লম্বী বঁাশ দিয়া ঘাট দুই ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন। স্ত্রীলোকেরা উত্তরাংশে ও পুরুষের দক্ষিণাংশে স্নান করেন, কিন্তু পরস্পরকে বেশ দেখিতে পান । চেটাইএর বেড়া দ্বারা ঘাট দুই ভাগে এমন করিয়া পৃথক্ করা উচিত, যে, স্ত্রী পুরুষ পরস্পরকে যাহাতে স্নানের সময় দেখিতে না পান । মোহস্তকে দূর করিবার উপায় কি ? মোহভকে মন্দির হইতে দূৰ করির তীর্থযাত্রীদের লাঞ্ছনা অপসারণ ও তীর্থ6ক্ষত্রের পবিত্রত রক্ষা করার জঙ্ক প্রথমতঃ চেষ্টা করা হয় । তার পর মোহন্তের বাড়ী দখল করার চেষ্ট হইতেছে। ঐযুক্ত জটাধারী সিংহ রায় প্রভৃতি মোহস্তকে জমিদারি দেবোত্তর সম্পত্তি ও মন্দির হইতে চু্যত করিবার জন্ত হুগলী জজ আদালতে নালিশ করিয়াছেন । নালিশের চুড়াও মীমাংসা অনুন ৭৮ বৎসরের কমে হইবে না । তাই মোহস্তকে মন্দির ও বাজার হইতে সরাইবার জন্ত রিসীভার নিযুক্ত করিতে বাদীগণ দরখাস্ত করেন। জজ সেই দরখাস্ত মধুর করিয়া একজন পোনপ্রাপ্ত প্রাচীন ব্রাহ্মণ সব জঙ্গকে রিপাবার নিযুক্ত করেন। র্কিওঁ মহাৰীয় দলের নামক স্বামী বিশ্বাশঙ্গ ঘোষণা করিলেন, খে, রিলীবর প্রবাসী-জাবণ, ১৩৩১ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড &कश्चन शृंहेन । ७३ चमूलक रूषाठ ठांब्रट्कचब्रवीनीब छरसंबिंख হইল । লোকে মনে করিল, রিসীভার মোহন্তেরই সহায়তা করিবে । স্বামী বিশ্বানন্দ মন্দির দখল করিয়া রাখিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়া রিসীভারকে স্ত্রীলোক ভলণ্টিয়ারের সহায়তায় বেদখল দিলেন । এখন মন্দির কংগ্রেসের দখলে আছে ৷ রিণী:ভার একটা গর্হিভ কাৰ্য্য করিয়াছেন । তিনি মোহস্তের একজন কৰ্ম্মচারীকে নিজের অধীনে কৰ্ম্ম দিয়াছেন । সুতরাং লোকে মনে করিতেছে, মোহস্তকে সহায়তা করাই রিসীভারের কার্য্য। এই ভ্রম শীঘ্র দূর করা উচিত। আদালত রিসৗভারকে মন্দির ও বাজার দখল করিতে আদেশ দিয়াছেন : রিসৗভার এপর্য্যস্ত তাহ দখল করিতে পারেন নাই। বাদী পক্ষ ইহাতে বিন্মিত হইয়া বলিতেছেন, আদালত কি উহাদের সহিত রহষ্ঠ করিতেছেন ? মোহস্তকে সরাইবার জঙ্ক নান লোক নানা পরামর্শ করিতেছেন। (ক) মোকদ্দম করিয়া সরাইতে বহু বৎসর লাগিবে। কিন্তু যদি জমিদারি, দেবোত্তর সম্পত্তি, মন্দির প্রভূতির কার্য্য পরিচালনার কোন একজন সৰ্ব্বসাধারণের বিশ্বাসভাজন ব্যক্তিকে রিসীধর নিযুক্ত করা হয়, তবে অবিলম্বে মোহস্তকে সব - দম্পত্তিচু্যত করা যাইতে পারে। (খ) কেহ কেহ বলিতেছেন, সত্যগ্রহ দীর্ঘকাল রাখিতে পারিলে মোহস্ত দূরে সরিয়া যাইবে। অনেকেই ইহা সম্ভব মনে করে না। সত্যগ্রহ দীর্ঘকাল তিষ্ঠিতে পরিবে না। দ্বিতীয়তঃ, গবর্ণমেণ্ট, তারকেশ্বরে পুলিশ ও স্পেশেল মাজিষ্ট্রেট রাখিয়াছেন ; সেই ভয়ে মোহও সত্যাগ্ৰহাদিগকে তাড়াইয়া দিতে পারিতেছে না। যদি গবর্ণমেন্ট, স্পেশেল পুলিশ ও মাজিষ্ট্রেটকে সরাইয়া নেন, তবে মোহন্তের দল ও সত্যাগ্ৰহী দলের মধ্যে রক্তারক্তি হইবে । তাহাতে বহু লোক মরিবে বটে, কিন্তু মোহস্তকে দূর করা যাইবে না। (গ) তৃতীয় উপায়, একথানি আইন করিয়া নিষ্ঠাবান হিন্দু কমিটি দ্বারা মন্দির ও জমিদারি পরিচালন করা । ৩।৪ মাসের মধ্যে ব্যবস্থাপক সভায় এইরূপ এক আইন প্রণয়ন করা সম্ভব। গবর্ণমেন্ট ও ইহা সমর্থন করিবেন । মন্দির ও জমিদারির উপর একজন স্থায়বাৰু হিন্দুকে অবিলম্বে রিসীভার নিয়োগ করা ও ৩/৪ মাসের মধ্যে আইন প্রণয়ন করিয়া মন্দির ও জমিদারি পরিচালনের জষ্ঠ কমিটি গঠন করা, মোহস্তকে সরাইবার ইহাই শ্রেষ্ঠ উপায় । সরকারী ও বে-সরকারী লোকদের কনফারেন্স গত ৪ঠা ও ৫ই জুলাই কলিকাতায় সরকারী কৃষি, শিল্প, সমবায় এবং পশুচিকিৎসা বিভাগের সম্মিলিত কনফারেন্স, বা আলোচনা- ও মন্ত্রণা-সভা হইয়াছিল। ইহাতে সরকারী কর্মচারী ছাড়া বে-সরকারী ভদ্রলোকও কয়েক্টজন যোগ দিয়াছিলেন । ইহাতে অনেকগুলি প্রস্তাব