পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—সরকারী ও বে-সরকারী লোকদের কনফারেন্স, &咀> ধার্ঘ্য হয়। তদনুসারে কাজ হইলে দেশের উপকার হইবে, স্বীকাৰ্য্য। কিন্তু আমাদের বে-সরকারী অনেক সভাসমিতির প্রস্তাবের মত, সরকারী কনফারেন্সের প্রস্তাবসকলও অনেক সময় ফলদায়ক হয় নাণ প্রস্তাব করিতে কিছু বাক্য, সময় ও কাগজ-কালী ব্যয় হয় ; তাহ খরচ করা কঠিন নক্ষ্ম। কিন্তু কাজ করিতে হইলে অনেক টাকার দরকার হয়। টাকার কথা উঠিলেই গবর্ণমেণ্ট বলেন, রাজকোষ শূন্ত, তোমরা নূতন ট্যাক্স, বা চাদ দ্বারা টাকা তুলিয়া কাজ চালাও । সাম্রাজ্য-বৃদ্ধি বা অন্ত কোন মখলবে যুদ্ধ করিতে হইলে টাকার অভাব হয় না ; পুলিশের জন্তও টাকার অকুলান হয় না ! কনফারেন্সের দুটি প্রস্তাবের আমরা কিছু আলোচনা করিব । - একটি এই— “এই কনফারেন্সের মতে, বিশেষরকমের সমবায়সমিতি সকলের বিকাশ ও শ্ৰীবৃদ্ধি সাধনের জন্য সরকারী ঋণদান সম্বন্ধে উদার ও মুক্তহস্ত নীতি অবলম্বন, একান্ত অবশ্যক।” আর-একটি এই— *কৃষির উন্নতির জন্ত জলসেচনের আবশ্যকতা, বিশেষতঃ পশ্চিম বঙ্গে, এই কনফারেন্স নিৰ্ব্বন্ধ-সহকারে গবর্ণমেন্টের গোচর করিতেছেন ; এবং পশ্চিম বঙ্গে জলসেচনার্থ ক্ষুত্র ক্ষুদ্র অনুষ্ঠানের বিকাশ হওয়ায়, সমবায়কর্মচারীর সংখ্যাবৃদ্ধির, এবং যে-সব জেলায় এইরূপ বিকাশ হইতেছে বা হওয়া সম্ভবপর তথায় যোগ্য জলসেচনএঞ্জিনীয়ার-নিয়োগের সমীচীনতাও এই কনফারেন্স, গৱৰ্ণমেণ্ট কে বিশেষভাবে জানাইতেছেন।” প্রথম প্রস্তাবটিতে যে-সকল বিশেষ রকমের সমবায়সমিতির কথা বলা হইয়াছে, তাহার মধ্যে চাষের জমিতে জলসেচনের জন্ত এবং স্নানপানাদির নিমিত্ত জল সরবরাহের জন্ত পশ্চিম বঙ্গে (যেমন বাকুড়ায় ) পুরাতন পুকুরের পক্ষোদ্ধার করিবার ও ছোট নদীতে বাধ দিবার উদ্দেশ্যে যেসকল জলসেচন সমবায় সমিতি গঠিত হইয়াছে ও হইতেছে, তৎসমুদয় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এইরূপ কোন কাজ করিতে হইলে কতকগুলি লোক অল্প অল্প চাদ দিয়া একটি সমিতি গঠন করেন ও তাঁহা রেজিষ্টারী-করেন । তাহার পর তাহার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের নিকট হইতে টাকা ধার পান । এইপ্রকারে পুকুরের পঙ্কোদ্ধার এবং নদীতে বাধ দেওয়া হয়। গত বৈশাখের প্রবাসীতে আমরা চিত্রসহ জল সরবরাহের এই সকল চেষ্টার কিছু বৃত্তান্ত দিয়াছি, এবং তাহাদের প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা প্রদর্শন করিয়াছি । গত চৈত্রের প্রবাসীতে আমরা দেখাইয়াছি, যে, পশ্চিম বঙ্গের বাকুড়া, নদীয়া, মেদিনীপুর, প্রভৃতি কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি খুব কম হয়, ও ফসলও সেইজন্য কম হয়। এইজন্য জলসেচনের বন্দোবস্তের খুব দরকার আছে । বৈশাখের প্রবাসীতে “বাঁকুড়ার উন্নতি’-নামক প্রবন্ধে আমরা লিখিয়াছিলাম — গবর্ণমেণ্ট, একজন হযোগ্য কৃষি ও জলসেচন এঞ্জিনীয়ার এবং তাহার অধীনে একজন সার্ভেয়ার নিযুক্ত করিয়াছেন বটে। কিন্তু আরও অনেক কৰ্ম্মচারী ও টাকা চাই। গ্রামে গ্রামে গিয়া সমিতি গঠন করিতে লোকদিগের প্রবৃত্তি উৎপাদন ও তাঁহাদের দ্বারা সমিতি গঠন করাও দরকার। তাহার জন্ত অনেক লোক চাই। যতগুলি ছোট নদীতে সম্বৎসর জল বহে, তাহার নিকটবৰ্ত্তী স্থান জরিপ করিয়া বাধের নক্সআদি প্রস্তুত করিবার জন্ত আরো সার্ভেয়ার চাই। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক গুলি যাহাতে সমবায়ুসমিতিগুলিকে ঋণ দিবার জন্য যথেষ্ট টাকা পায়, তাহার বন্দোবস্তও চাই।-••••••••露露 ইহা হইতে দৃষ্ট হইবে, ষে, কনফারেন্সে যে-দুটি প্রস্তাব গৃহীত হইয়াছে, তাহার প্রয়োজনীয়তা আমরা অাগেই দেখাইয়াছিলাম। বাকুড়ার লোকেরা যে স্বাবলম্বন দ্বার কিছু করিয়াছে, তাহা লর্ড লিটনও স্বীকার করিয়াছেন। আমরা বৈশাখের প্রবাসীতে লিথিয়াছিলাম — “গত জানুয়ারী মাসে লাটু লিটন বাঁকুড়া দেখিবার পর তথাকার মাজিষ্ট্রেট স্ত্রীযুক্ত ব্ৰজদুল্লভ হাজরা মহাশয়কে চিঠি লিখিয়া স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছেন, যে, জল সরবরাহ-সমবায়-সমিতির কাজগুলি উৎসাহজনক । এই সকল সমিতির সভ্যেরা দেখাইয়াছেন, যে, দরিদ্র জনসমষ্টিদ্বারাও কিপ্রকারে ধন উৎপন্ন হইতে পারে, এবং আমি আশা করি, যে, তাহাদের দৃষ্টাস্ত ব্যাপকভাবে অমুস্থত হইবে । আমি পূৰ্ব্বে কোন কোন উপলক্ষ্যে বলিয়াছি, যে, স্থানীয় লোকের বে-পশ্লিমাণ চেষ্টা করে, গবর্ণমেণ্টের সাহায্য সেই অকুপাতে হওয়া উচিত: এই নীতি-অনুসারে বাঁকুড়ার লোকের গবর্ণমেন্ট সাহায্যের উপর বলবৎ দাবী স্থাপন করিয়াছেন। আমি এই প্রশংসনীয় চেষ্টা ভুলিৰ না, এবং দেখিব, যে, ইহা যথাযোগ্য উৎসাহ লাভ করে।” এই ম্যাজিষ্ট্রেটুকে লিখিত লর্ড লিটনের চিঠির আংশিক অনুবাদ ছাপিয়া আমরা বৈশাখে লিখিয়াছিলাম, “লৰ্ড লিটন তাহার অঙ্গীকার-অনুসারেয়াকুড়াকে সরকারী