পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«ፃ: সাহায্য দিতে বাধ্য।’ এখন আবার সেই কথা বলিতেছি।. গবর্ণমেণ্ট কে ভিক্ষণ দিতে বলিতেছি না ; কনফারেন্সে গৃহীত প্রস্তাব-অনুসারে সরকারী ঋণ যথেষ্টপরিমাণে দিতে বলিতেছি। সেই ঋণ লোকেরা স্বদসহ শোধ করিবে ; এ পর্য্যস্ত করিয়াছেও। দুর্ভিক্ষ হইবার পর ভিক্ষায় ও ঋণদানে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করা অপেক্ষা আগে হইতে দুর্ভিক্ষ-নিবারণের জন্য জলসেচনার্থ অর্থব্যয় যে শ্রেয়, তাহাও আমরা বৈশাখের কাগজে দেখাইয়াছি। যথা— “গত দশ বৎসরে বাঁকুড়ায় দুইবার দুর্ভিক্ষে সরকারকে সাড়ে তের লক্ষ টাকা খরচ করিতে হইয়াছে। ইহা কেবল অন্নদান-ত্যাদির ধ্যয় । এ-টাক আর সরকারী তহবিলে ফিরিয়া আসিবে না। ত ছাড়া দু বারে ষোল লক্ষ টাকা কৃষি-ঋণ দিতে হইয়াছে ; ঋ:ার কথা ছাড়িয়া দিয়া আমরা কেবল দানের টাকাটার বিষয়েই ক৷ তেছি । কয়েক BBBB BBB BBB BSBBD BB DDS KK SBBBB BB দুইবারে সরকারী তহবিল হইতে যে সাড়ে তের লক্ষ টাকা ব্যয় করিতে হইয়াছে, তাহার একটি পয়সাও ফিরিয়া আসিবে না। কিন্তু যদি, ঐ সাড়ে তের লক্ষ বা দশ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কে মজুদ রাখিলে তাহার যত মুদ হইত, বৎসর বৎসর সেইপরিমাণ টাকা জল-সৰ্ববরাহ-সমিতি স্থাপন ও তাঁহাদের সাহায্যাৰ্থ গবর্ণমেণ্ট, ব্যয় করেন, তাহা হইলে মূলধনটাও বজায় থাকে, এবং বাঁকুড়া জেলায় দুর্ভিক্ষও আর হয় না। লর্ড লিটন্‌ তাহার অঙ্গীকার অনুসারে বাঁকুড়াকে সরকারী সাহায্য দিতে বাধ্য। সাহায্য করিবার যে উপায় আমরা নির্দিষ্ট করিলাম, তাহ! তিনি বিবেচনা করিয়া দেখুন।” জলসেচন-সমিতি-গঠন-সম্পর্কে গবৰ্ণমেণ্টের সহিত যতটুকু সম্বন্ধ রাখা দরকার, তাঙ্গ যে অসহযোগীদেরও রাখা উচিত, এবং তাহার নিজ-নিজ অন্য প্রয়োজনবশতঃ সেরূপ সম্বন্ধ যে রাখেন, তাহাও আমরা বৈশাখের প্রবাসীতে দেখাইয়াছিলাম । দুঃখের বিষয়, জলসেচন সম্পর্কে, আমরা যত দূর জানি, কংগ্রেস-নেতারা বাকুড়ার লোকদিগকে উপদেশ দান, প্রবৃত্তি জন্মান, কিম্বা তদপেক্ষা বেশী কোন সাহায্য করেন নাই । . আমাদের বৈশাখের লেথার কোন প্রতিবাদও হয় নাই। তাহার পর তস্বরাজ্যদল দস্তুর মতগবর্ণমেণ্টের সহযোগিতা করিয়াছেন । সম্প্রতি দেখিলাম, বাকুড়ার স্বরাজ্য-নেতা শ্ৰীযুক্ত অনিলবরণ রায় মহাশয় ১৯শে আষাঢ়ের “সারথি’তে লিখিয়াছেন – “নিজে গ্রামে গ্রামে ঘুরিয়া অস্তুতঃ বাঁকুড়া জিলা সম্বন্ধে আমার অভিজ্ঞতা হুইয়াছে, যে, দেশের অধিকাংশ লোককে খদ্দর পরাইতে হইলে নিম্নলিখিত ব্যবস্থার একান্ত প্রয়োজন। (১) চাষের জন্ত প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩১ স্বাক্ষপ জলসেনের ব্যবস্থা করিতে হইবে (২) উন্নত প্রণালীতে \ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড -. S AASAASAAMSMAAA SAAAAAS কাপাস-চাব শিক্ষা দিতে হইবে, (৩) বিলাতী ও মিলের বন্ত্রের উপর অতিরিক্ত টেক্স বসাইতে হইবে।” যদি আনিলবরণ-বাবুর এই অভিজ্ঞতা আগে হইয়া থাকে, তাহা হইলে তিনি ও তার সহকৰ্ম্মীরা লোকদিগকে জলসেচন-সমিতি গঠন করিতে কেন উপদেশ দেন নাই, তাহা ভাবিয়া দেখিবেন । আর যদি অভিজ্ঞতা সম্প্রতি জন্মিয়া থাকে, তাহা হইলে আশা করি এখন তাহারা হয় সম্পূর্ণ বেসরকারী জলসেচনের ব্যবস্থা করিবেন, কিম্বা গবর্ণমেণ্টের ব্যবস্থার স্বযোগ ও সুবিধা লইয়া জলসেচন-সমিতি গঠন করিতে “গ্রামে গ্রামে ঘুরিয়া” লোকদিগকে উপদেশ দিবেন। নারীনির্য্যাতন বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সম্মিলনে নারীনিৰ্য্যাতন সম্বন্ধে নিম্নলিখিত প্রস্তাব ধার্য হইয়াছে – যেহেতু দেশের বিভিন্ন স্থানে দুৰ্ব্ব ত্তগণ-কর্তৃক নারীজাতি অবমানিত ও নিৰ্য্যাতিত হইতেছেন, সেই হেতু এই সম্মিলন বিভিন্ন জিলা সমিতি ও বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সমিতিকে অনতিবিলম্বে এরূপ উপায় অবলম্বন করিতে অনুরোধ করিতেছে, যাহাতে নারীজাতির উপর ভবিষ্যতে অত্যাচার ও অনাচার অনুষ্ঠিত না হইতে পারে। এখন যে-দল বাংলার কংগ্রেস প্রতিষ্ঠানগুলি দখল করিয়া আছেন, তাহারা এই প্রস্তাব অনুসারে কি কাজ করিয়াছেন, অবগত নহি । কাজটিতে হুজুক, হাততালি বাহবা ইত্যাদি নাই, এবং ইহার দ্বারা দলের ভাণ্ডারে অর্থাগমেরও সম্ভাবনা নাই। স্বতরাং ইহা অবহেলিত হওয়া আশ্চর্য্যের বিষয় নহে। অবশ্য ইহা ঠিকৃ, যে, কোন একটি প্রতিষ্ঠান দ্বারা নারীর উপর অত্যাচারের সম্পূর্ণ প্রতিকার হইবে না কিন্তু অনেকটা হইতে পারে। নারীকে পুরুষ যে-চোখে সাধারণতঃ দেখে, তাহার পরিবর্তন আবশ্যক। নারীদেরও এরূপ শিক্ষা ও সাহসবুদ্ধি চাই, যাহাতে র্তাহারা পুরুষদের শ্রদ্ধা আদায় করিতে এবং আত্মরক্ষা করিতে সমর্থ হন । পুরুষদের মধ্যে অনেকে নিজে ত নারীনির্ষ্যাতন করিতে চানই না, বরং অত্যাচার দমন করিতেই ইচ্ছুক। কিন্তু তাহাদের এবিষয়ে যথেষ্ট মনো