পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাই যদি বা এলে তুমি বিরহ মোর হোক না আবুল , এড়িয়ে যাবে তাই বলে’ ?” সেই বিরহের সরোবরে - “ অন্তরেতে নাই কি তুমি মিলন-কমল ঐ ত দোদুল সাম্নে আমার নাই বলে ? অঙ্গজলের ঢেউয়ের পরে । মন যে আছে তোমায় মিশে, * ऊबू छ्षांश्च भदब्र ॐांथि, . আমায় তবে ছাড়বে কিসে ? তোমার লাগি চেয়ে থাকি, প্রেম কি আমার হারায় দিশে ' বুকের পরে পাব না কি অভিমানে যাই বলে’ ? চোখের পরে নাই বলে’ ?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোতমের সাধনা ও সিদ্ধি - মহেশচন্দ্র ঘোষ গোতম ধন-ঐশ্বর্ধ্যের মধ্যে প্রতিপালিত হইয়াছিলেন। আলাড় কালাম কিন্তু গুভাগবিলাস র্তাহাকে বিপথগামী করিতে পারে নাই। বাল্যকাল হইতেই তিনি ধৰ্ম্মপিপাস্থ ছিলেন। যখন তিনি গৃহস্থ্য অবস্থাতে ছিলেন, তখনও তিনি ফুলেৰ সময়ে ধ্যানে নিমগ্ন হই থাকিতেন ( মজৰিম, মাগচ্চক)। সংসারে থাকিয়াই তিনি বুঝিতে পারিয়াসুছিলেন–এই সংসার অনিত্য, এবং দুঃখ ও পাপে 'পূর্ণ। তিনি ইহাও বুঝিয়াছিলেন, যে, পাপতাপের অতীত এক নিরাপদ অচ্যুত পরম অবস্থা আছে। তিনি সঙ্কল্প করিয়াছিলেন, এই অনিত্য ও দুঃখময় জগতের অতীত হইতে হইবে এবং সেই নিত্য পরমাবস্থা লাভ করিতে হইবে। পরমপদ লাভ করিবার উপায় কি ? ईश लां७ झब्रां शाञ्च “न, इंश्। उिनि निख चौबदनहे প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন। গৃহত্যাগ করিলে হয়ত બ অবস্থা লাভ কুইতে পারে, এই ভাবিয়া তিনি গৃহস্থাশ্রম ভ্যাগ করিলেন ; - - - কিন্তু এই ভোগ-বিলাসে গৃহস্থাশ্রম ত্যাগ করিয়া তিনি আলাড় কালাম-নামক একজন সাধকের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন । আলাড় কালাম একজন পরম যোগী ছিলেন। তিনি ধ্যানে এমন গভীরভাবে মগ্ন হইয়া থাকিতে পারিতেন, যে, সে-সময়ে তিনি বান্ধজগৎকে অতিক্রম করিতেন। মহা-পরিনিকান স্বত্তে লিখিত আছে যে, এক সময়ে ৫০• শকট র্তাহার গাত্র স্পর্শ করিয়া চলিয়া গিয়াছিল, তবুও তিনি যোগবিচ্যুত হন নাই । তিনি ইহা বুঝিতেই পারেন নাই, যে, শকট র্তাহার গাত্র স্পর্শ করিয়া চলিয়া গিয়াছিল। গোতম এইপ্রকার সাধকের শিষ্যত্ব গ্রহণ করিয়া যোগাভ্যাস করিতে লাগিলেন। যোগ-সাধনে কালাম যতদূর অগ্রসর হইয়াছিলেন, গোতমও ততদূর অগ্রসর হইলেন। এই সময়ে তাহার মনে হইল, এখানে এই যে ধৰ্ম্ম সাধন করিলাম, ইহা দ্বারা নিৰ্ব্বেদ, বৈরাগ্য, নিরোধ, উপশম, অভিজ্ঞ ও নিৰ্ব্বাণ লাভ করা যায় না; ইহা কেবল অকিঞ্চস্থ-জাতনের অবস্থা।