পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

واسG:b স্থির ও অবিচলিত অবস্থা প্রাপ্ত হয় (দীঘ ২৮৩ ; মজ ঝিম, ৪ ; অঙ্গুত্তর, ৫।৭৫৷১২, ৫।৭৬৷১২ ইত্যাদি ) । চিত্ত এসময়ে নিশ্চেষ্ট থাকে না, কৰ্ম্মণ্যই থাকে। চতুর্থ ধ্যানের পরও চিত্ত আরও উচ্চতর সোপানে আরোহণ করিবার জন্ত চেষ্টা করে । অরূপ ধ্যান বৌদ্ধ-গ্রন্থে সচরাচর চারিটি ধ্যানের কথা বলা হয় ; কিন্তু ইহা অপেক্ষাও পাচটি উচ্চতর অবস্থা আছে ; এসমুদায়কেও কোন-কোন স্থলে ধ্যান বলা হইয়াছে। পঞ্চম ধ্যান প্রথম চারিটি ধ্যান রূপ-মূলক ; কিন্তু শেষ চারিটি ধ্যান অরূপ ধ্যান । পঞ্চম ধ্যানে সাধক রূপ-মূলক সমুদ্রায় জ্ঞান, ইন্দ্রিয়ের সমুদায় বিষয়, এবং নানাত্ব বোধ—এসমুদায়ই অতিক্রম করেন। কেবল এই জ্ঞান প্রকাশিত হয় যে ‘আকাশ অনস্ত' এবং তখন সাধক আকাশের দিকে অনন্ত আয়তনে বিহার করেন । वर्छ श्रुTांन এই ধ্যানে সাধক ‘আকাশের অনন্ত আয়তন’ এজানও অতিক্রম করেন। কেবল এই জ্ঞান প্রকাশিত হয় যে “বিজ্ঞান অনন্ত’ এবং তখন তিনি বিজ্ঞানের অনন্ত আয়তনে বিহার করেন । সপ্তম ধ্যান এই অবস্থায় সাধক ‘বিজ্ঞানের অনস্ত আয়তন’ এজ্ঞানও অতিক্রম করেন । কেবল এই জ্ঞান প্রকাশিত হয় যে, “কিছুই নাই” এবং তখন তিনি আকিঞ্চন্যের ( অর্থাৎ “কিছুই নাই’ ইহার ) অনন্ত আয়তনে বিহার করেন । অষ্টম ধ্যান - এই অবস্থায় সাধক “অকিঞ্চন্যের অনন্ত আয়তন” * এ-জ্ঞানও অতিক্রম করেন । তখন কেবল এই জ্ঞান প্রকাশিত হয়, যে, সংজ্ঞা (perception) এবং অসংজ্ঞা কিছুই নাই এবং তখন তিনি ‘সংজ্ঞা বা অসংজ্ঞা কিছুই নাই’ ইহার অনস্ত আয়তনে বিহার করেন। প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩১ t [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড নবম ধ্যান অষ্টম ধ্যানে যে আয়তনের কথা বলা হইল—তাহার বিষয়ে এই বলা যায়. যে, “ইহা সংজ্ঞাও নয়—অসংজ্ঞাও নয়।” নবম ধ্যানে সাধক এজ্ঞানও অতিক্রম করেন। তখন তিনি এমন অবস্থাতে বিহার করেন যে অবস্থাতে cqRRI (sensation) Ti NRGi (perception) কিছুই থাকে না। প্রজ্ঞা-দৃষ্টিতে তাহার সমুদায় পাপ বিনষ্ট হইয়া যায়। এই সাধকের বিষয়ে গোতম আরও বলিয়াছেন— “তিনি নিশ্চিন্তভাবে গমন করেন, নিশ্চিন্তভাবে দণ্ডায়মান হন, নিশ্চিন্তভাবে উপবেশন করেন এবং নিশ্চিন্তভাবে শয়ন করেন ।” গোতম আলাড় কালামের নিকট সপ্তম ধ্যান এবং রামপুত্র উদ্ধকের নিকট অষ্টম ধ্যান শিক্ষা করিয়াছিলেন। নবম ধ্যান কাহারও নিকট শিক্ষা করেন নাই, নিজেই সাধনবলে এই অবস্থায় প্রবেশ করিতেন। ( মজ ঝিম-নিকায়, অরিয়-পরিয়েসন-মৃত্ত )। মৈত্রী, করুণা, মুদিত, উপেক্ষ মিত্রের প্রতি যে ভাব, সেই ভাবের নাম মৈত্রী ; বৰ্ত্তমান যুগে আমরা প্রেম, ভালবাসা (love), ইত্যাদি শব্দ দ্বারা ইহার ব্যাখ্যা করিয়া থাকি । প্রাণের ঘে অবস্থায় অপরের দুঃখে দুঃখ উপস্থিত হয়, অপরের দুঃখ ও অহিত দূর করিবার বাসন গুয়, সেই অবস্থার নাম করুণা। প্রাণের ধে অবস্থায় অপরের মথে মুখ উপস্থিত হয়, সেই অবস্থার নাম মুদিত । এই তিন অবস্থা অতিক্রম করিয়া যখন মানুষ দুঃখে অমুদ্বিগ্নমনা এবং মুখে বিগতস্পৃহ হয় এবং নিত্যই শাস্তভাবে অবস্থিতি করে, সেই অবস্থাকে উপেক্ষা বলা হয়। মৈত্রী-ভাবনা, করুণা-ভাবনা, মুদি তা-ভাবনা ও উপেক্ষা-ভাবনা, বৌদ্ধ-ধর্মের এক বিশেষ সাধন । বৌদ্ধশাঙ্গের বন্ধস্থলে এই বিষয়ে উপদেশ দেণ্ড হইয়াছে। গোতম নিজেও এই প্রকার সাধন করিতেন । স্থলে এইপ্রকার বলিয়াছেন –

  • আমি তৃণপত্রাদি সংগ্ৰহ করিয়া তাহার উপরে

এক