পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাঙনের ধারা শ্ৰী রামেন্দু দত্ত আজি, শাঙনের ধারা ঝর ঝরঝর লারিছে বিপুল নিঝ রে ; ত্ৰিলোক-পালিনী জননীর কোটি স্তনমুখ হ’তে ক্ষীর ঝরে ; চলিছে ছুটিয়া কল কল কল করতালি দিয়ে হেসে খলখল কালে জল-ধারা পাগলের পার" জাগাইয়। যত জীব-জড়ে । হৈমবরণ ঐ কে চরণ বাড়াইল বাকা বিদ্যুতে ! বজ-নৃপুরে নাচন জুড়িয়া তাড়াইয়া ফিরে নিদ-দূতে ! মল্লাবে তান ধরেছে বাদল, বাজে মৃত্ন মধু মৃদঙ-মাদল, গগনে শু্যামল নবমেঘদল সে গান শুনিতে ভীড় করে । আঁধার মেঘের কঁাচলিতে কার সুধার উৎস রয় ঢাকা । কfব ছলছল নয়নে সজল স্বদূর দিম্বলয় আঁকা ! ঝলসে বিজুলী উতল উজ্জ্বল, তরাসে তিমির তোলে অঞ্চল ! ত্রস্ত ধরার বস্ত্র তিতিয়া ভীতি-ভরে বুঝি স্বেদ ঝরে ! কারাগারে শ্ৰী ভূপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এক রাত্রি দ্বিপ্রহর । কারাগারের মধ্যে গভীর নিন্তব্ধত বিরাজ করিতেছিল । মাঝে মাঝে দুই একজন পাহারাওয়ালার পদ-শব্দ শোনা যাইতেছিল । বন্দী-গৃহের শিখরদেশের ছিদ্রগুলি নিকটবৰ্ত্তী অক্ষশস্ত স্থানের তুলনায় অধিক অন্ধকারময়, মৃত্যুর চক্ষুর মতই ভয়ঙ্কর। জেলের স্বপারিনটেণ্ডেন্টের ঘরে একটা আলো জ্বলিতেছিল। একটি টেবিলের পার্থে ছুটি লোক মুখোমুখি হইয়া বসিয়াছিল। একজন স্বপারিস্টণ্ডেণ্ট, অপরটি তাহার সাহায্যকারী। তাহার একটি পেন্সিলু দিয়া সেইসব কয়েদীদের নামের পার্থে দাগ দিতেছিলেন যাহারা কাল প্রাতে বিচারের জস্ত প্রেরিত হইবে। ঝন ঝন ঝন্‌-ঝনন।-- “আবার সেই ।” পেন্সিল ফেলিয়া দিয়া সুপারিনটেণ্ডেণ্ট চীৎকার করিয়া উঠিলেন। সঙ্গীটি জিজ্ঞাসা করিলেন, “ব্যাপার কি ?” “একটি নুতন কয়েদী, শিকলের শব্দে দিনরাত আমাকে এমুনি করে স্বালাতন করে " “(ಫಾ 47 #ರ್}ಡ ?" "কেন তা কি করে জানব ? অনবরত ঐ কুকুরটা ইটাহঁাটি করে— একদওও আমাকে বিশ্রাম করতে দেয় না। যত বছর আমি এখানে আছি তার মাঝে এমনটি আর দেখিনি। কি অদ্ভুত শব্দ।" ঝনন! ঝন্‌-ঝনন— এবার শব্দটি আরও বিকট । “অসহ !” সুপারিনটেণ্ডেণ্ট গর্জন করিয়| উঠিলেন। আর সঙ্ক করা যায় না। কাল রাত্রে এর জঙ্ক আমি এক মিনিটের জন্য চোখ বুজতে পারিনি।" সাহায্যকারীটি হাসিয়া উঠিলেন । “কি, হাসছেন যে ?” "কেন হাস্ছি, বাঘ মেষের ভয়ে কাতর একথা শুনলে সিদ্ধ মুরগীটি পয্যন্ত হেসে উঠে। আপনার রাগ বা অসস্তোধের কারণ কি ? ওকে চপ করিয়ে দিন না।” “চুপ করিয়ে দেব ? বলা খুবই সোজা ।" “ওকে ঘুমুতে বলুন।" “যদি ও না ঘুমোয় তা হ’লে ?” * “ঘুমোতে বাধ্য করুন। তাৰ জন্ত ভাল ওষুধ নেই কি ?” বলিয়া তিনি দেওয়ালের গায়ে ঝুলান চাবুকের সারির দিকে ইঙ্গিত করিলেন। তাহার ছোট-ছোট চোখ-দুটি নিষ্ঠরতার আগুনে জ্বল্‌ জ্বল করিয়া উঠিল । ঝন ঝন-বন!—আবার সেই জীর্ণ লৌহের ভয়ঙ্কর শব্দ। সুপারিনটেণ্ডেণ্ট, চিন্তান্বিত হইলেন ও দীতে ওষ্ঠ চাপিয়া ক্রোধভরে ঘব হইতে বাহির হইলেন। তিনি যে সেল হইতে শব্দ আসিতেছিল সেই সেলের দিকে অগ্রসর হইলেন, গোলাকার জানালাটি খুলিয়া গৰ্জ্জন করিয়া উঠিলেন,— 翰 o aوا