পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] জিনিলে সবারে তুমি পরীক্ষায় করি’ সবে মান, আমি প্রতিদ্বন্দ্বী তব গেছ সেথ, বীৰ্য্য-অভিমান ফোলে বক্ষে ; অধিরথ-স্থত জেনে দিলা সবে গ্লানি, দুৰ্য্যোধন নিজগুণে হীন কর্ণে করি দিলা মানী ; অগ্রসরি’ গেম্বু আমি দেখাইতে অস্ত্রের কৌশল, *বাৰ্ত্ত এল --কুন্তী-পীড়া, সঙ্গে ভঙ্গ হ’ল সভাস্থল ! ব্যর্থ শিক্ষা অভিলাষ, ব্যর্থ আশা, পেতু বড় ক্ষোভ ! বড় ব্যথা, আজো বাজে সমাজের অবিচার-কোপ ! 輸 অর্জন পামে ভাই, থামো, থামে, গত দুঃখ গত হ’য়ে দাক । কর্ণ ব্যথা তার থাক ভাই থাক, করুণার তরে নয়,-—কেবল কর্ণেব পরিচয়— ভাগ্য-সলে দ্বন্দ্ব তার, ব্যর্থতারে দিতে পরাজয় । আরো আছে –আরে! ব্যথা, শোনো পার্থ, অস্তুর-যাতন, দ্ৰৌপদীর স্বয়ম্বরে হাসি পেল হেরি বীরপন বীর্যাহীন ক্ষত্রিয়ের, লক্ষ্যভেদে শুকু অগ্রসর, দ্রৌপদী লাঞ্ছিল মোরে, অধিরথ-স্বতে মাতি বর বরিবে সে কহু,--ব্যর্থকাম, ব্যর্থশক্তি ব্যর্থ-আশ, অপমানে অবজ্ঞায় পুড়ে ম’ল উচ্চ অভিলাষ — পিঞ্জরে আবদ্ধ ব্যাঘ্ৰ নিফুল আক্রোশে স্থা মরে সম্মুখে হেরিয়া তার মুক্তিনাশী অতিক্ষুদ্র নরে ! গত দুঃখ গত হবে । অর্জন সে দুঃখের ভাবে, ভাই, বাড়ায়ে ন৷ আজিকার ভার ; মানুষ ভাগ্যের শিশু, ক্রীড়নক তুঃখ-যাতনার । © কর্ণ তাজি প্রাতে, শোনো ভাই, তপনে বন্দিয়া প্রাণ ভরি’ প্রতিজ্ঞ করিচু দৃঢ়—দৃঢ় বলে আজ মারি অরি দপী পার্থে, নিষ্কণ্টক করি পথ ; কর্ণ-জয়-গান ধ্বনিয়া রণিয়া আজ দিকে-দিকে বাজাই বিষাণ ! সহসা কুন্তীরে হেরি নতমুখী, মুখে মাথা ব্যথা, স্নেহশীলা ধীরে ধীরে জানাইল সে বজ-বারত وف-سا-بر۹۲ কর্ণ や)● আমি কর্ণ পুত্র তার ?--নিমেষে টুটিল অন্ধকার ! চিত্তে মোর একসাথে বেজে গেল হর্ষ, হাহাকার ! দুর্জয় জয়ের বহি স্নান হ’ল, নিবে নিবে যায়, * এ নব বিচিত্র মুখে, জননীর মেহের বাত্যায় o দুৰ্দ্দম বাসনা মোর অরিন্দম প্রতিজ্ঞ দুৰ্ব্বার মন্ত্রবদ্ধ সপ-সম ব্যর্থ রোমে ফোলে অনিবার । চলে’ আসি রণাঙ্গনে –-ভিক্ষা-আশে আসিল ব্রাহ্মণ, মাগিল কঠোর ভিক্ষা, মাগিল সে জীবনের ধন – শেষের সঙ্গয় মোর আত্মরক্ষী কবচ-কুণ্ডল, দিল্প ভাঙ্গ ; আশা শেষ, দিল্প ভাই জীবন-সম্বল ! তবু ষ্টেরিয়াছ, ভাই, এ কর্ণেব অক্লাস্ত প্রতাপ, প্রচণ্ড প্রবল শক্তি - - হায়, হায়, মৃত্তিকার চাপ গ্রাসিল রথের চক্রে, অনিয়ে পড়িল সিংহ বাধা ! সনাতন সেই দুঃখ, সনাতন ব্যর্থতার বাধা পদে পদে এল কাছে, পদে পদে পরা’ল শুঙ্খল ; আমি বিপাতার শাপ, কীৰ্বিহীন, জীবন নিস্ফল ! জননী ভাসায়ে দিল অবজ্ঞায়,--ভেসে ভেসে আসি অবজ্ঞা-উপলে পিষ্ট, স্নেহৰ্তীন, ব্যর্থ উচ্চ-আশী । পুত্ৰ হ’য়ে মাতৃত্যক্ত, বীব ক’য়ে স্বনিৰ্ম্মল প্যাতি লভিনিক, চিত্ত-অশি। চিত্তে লয়, গৰ্ব্ব আত্মঘাতী । আমি এই ধূমকেতু প্রয়োজনহীন আলো লয়ে আকাশের ব্যর্থ সষ্ট তপনে চন্দ্রেতে যবে বহুে অজস্র আলোর শ্ৰোত তারায় তারায় । তুমি ভাই, বীব বটে বংশগৰ্ব্বী, শুভ্ৰ-খ্যাতি, কোনো গ্লানি নাই । জয়ী তুমি, তৃপ্ত তুমি, বীরত্বের দেপালে ব্যঞ্জন, আমি পেহু অনাদর, অভিশাপ, ব্যর্থত, গঞ্জনা ! হীনতা, দীনতা, লজ্জ উচ্চ শির করিয়াছে নত ; জ্যেষ্ঠ বটে শ্রেষ্ঠ নই, কীৰ্ত্তি নাই বলিবার মত । কর্ণ নাম মুছে স্বাক্, খেদ নাই —শুধু অনুরোধ, তুমি মনে রেখে মোর এ লাঞ্ছন, তাপমান-বোপ । শত্রু নয়, দ্বন্দ্বী নয়, ভ্রাত। বলে মনে দিও ঠাই ; ধরণীতে যা হ’ল ন স্বর্গে হবে,--রব ভাই ভাই । আর নয়, বড় ব্যথা, ঘাই ভাই, ভেঙে যায় বুক ! পার্থ ভাই, আশীৰ্ব্বাদ করি তুমি লভ চিরস্থখ ।