পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] টেসিন-ক্যান্টনের "জাতীয়“ পেষাক ধূলা আমোদপ্রমোদের হযোগ পায় । শীতকালে বরফের উপর নাচাকুদা দৌড়লাফ করার জন্ত গণ্ডী-গণ্ডা খেলা আবিষ্কৃত হইয়াছে। "স্কি" চালানো এক-প্রকার মারাত্মক আমোদজনক খেলা । এই খেলা বহু দূরদেশ হইতে নরনারীদিগকে ডাহেবাস ইত্যাদি কেন্দ্রে টানিয়া আনে । অস্তান্ত ঋতুর জন্য ও সময়োপযোগী সকলপ্রকার স্বাস্থ্যকর খেলার আয়োজন স্থইট্সাল্যাণ্ডের সর্বত্রই আছে। টেনিস গলফ, ফুটবল ইত্যাদির ত কথাই নাই । তাহার উপর হ্রদে নৌকা বাওয়া, আর পাহাড়ে, বনে, জঙ্গলে শিকার করা ত অtাছেই । ঘরে বসিয়া থাকিবার জন্ত কেহই “কুরটে” যুগে না। ( & ) খেলা-ধূলায় যোগ দেওয়া পয়স-সাপেক্ষ, অধিকন্তু প্রত্যেক খেলার অক্ষরুপ পোষাক দরকার। তাহার جج کی সুইস নর-নারীর ধরণ-ধারণ ৬২৩ জন্তও অনেক খরচ করিতে হয়। কাজেই একমাত্র পয়সাওয়ালা লোকেরাই স্বাস্থ্যাম্বেষণের জন্য স্বইটুসাল্যাণ্ডের হোটেলে পাসিয়নে অতিথি হইয়া থাকে । বর্তমান যুগে শক্তি ও স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নানা-প্রকার অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান উদ্ভাবিত হইয়াছে। কিন্তু ট্যাকে টাকা না থাকিলে রোগীর পক্ষে চিকিৎসা চালানো সম্ভব নয়, অথবা স্বস্থ সবল হইবার জন্য খোলা মাঠে নানা-প্রকার দৌড়-ধাপের ব্যবস্থায় ভিড়িয়া সাজে না । যাওয়াও আজকালকার বাজার-দর দুনিয়ার সর্বত্রই চড় । সুইট্‌সাল্যাণ্ডে ত বটেই। সৰ্ব্বাপেক্ষা সস্তা হোটেলে কিম্বা পাসিয়নে বসবাস করিতে হইলে কোনো সুইস “কুরটে” ভারতীয় নয় টাকার কমে রোজ চলে না। ঘর-ভাড়া, এবং তিন-বেলা খাওয়ার খরচ ধরা হইল। মামুলি কাপড়চোপড় ধোলাইও ইহার সামিল । খেলিতে যাওয়া, বেড়াইতে যাওয়া, গান শুনিতে যাওয়া অথবা নৌকায়, ষ্টীমারে, অটোমবিলে প্রাকৃতিক দৃপ্ত দেখিতে যাওয়া ইত্যাদি সবই আলাদা খরচের আন্তর্গত । তাহার উপর, যদি ডাক্তার ডাকিয়া ওষুধ-পথ্য করিতে হয় সেকথা স্বতন্ত্র। তবে কোনো শহরে পৌছিয়া এইধরণের একট। সস্তা হোটেল টুড়িয়া বাহির করিতেও গলদঘর্শ্ব হইতে হয়। গরীবের জন্য ব্যবস্থা দুনিয়ার কুত্ৰাপি নাই । প্রত্যেক “কুরর্টে’ই ছেলে-পুলেদের জন্য ইস্কুল আছে । “অতিথিরা” স্বাস্থ্যাম্বেষী হইয়। আসিলে এইসকল বিদ্যাপীঠে সস্তান-সন্ততিদিগকে পাঠাইয়া নিশ্চিত থাকিতে পারে । ( . ) স্বইস নর-নারী সকল তরফ হইতেই তাহাদের পাহাড়, বন, হ্রদ, উপত্যকাগুলাকে মানব-জীবনের শক্তি, স্বাস্থ্য, আনন্দ ও সৌন্দর্ঘ্যের সেবায় লাগাইতে পারিয়াছে। ভারতে পাহাড়ের অভাব আছে কি ? স্বাস্থ্যকর বন,