পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] এবং রংবেরঙের ফুলের আওতা। ঘরে বসিয়াই ফুলের গৃদ্ধ শুকিতেছি। তাহা ছাড়া চাদের আলো, রোদের ঝাজ আর নীল হ্রদের হাওয়া ত আছেই। ( ১৭ ) নৈশ ভোজনের সময় সপ্তাহে দুইতিনবার করিয়া ভিন্ন-ভিন্ন গায়কের দল আসিয়া গান গাহিয়া পয়সা রোজগার করিতেছে। ইতালীয়ান, রুশ, জাৰ্ম্মান, ফরাসী, সকলপ্রকার ওস্তাদের গানই শুনা যাইতেছে। কাষ্টাঞোলার এক অন্ধ যুব হ্যাদি, রাখ মানিনফ, গোদার ইত্যাদির তৈয়ারী গং পিয়ানোয় বাজাইলেন। “য়োডল"-নামক স্বর বা রাগিণী আল্পস্পাহাড়ের খাস আবিষ্কার। টিরোলে, বাহেবরিয়ায়, সুইটসল্যাণ্ডের সর্বত্র পাহাড়ের “তাল ”বা উপত্যকাগুলা এই সঙ্গীত-ধ্বনিতে মুখরিত হয়। ভিন্ন-ভিন্ন তালের পোষাকও বিভিন্ন। উপভাষা এবং উচ্চারণ, বিভিন্ন বটেই। এই সঙ্গীতের প্রধান যন্ত্র হইতেছে “গিথার” । ত্রিশ-চল্লিশটা তারে এই যন্ত্ৰ তৈয়ারী। যন্ত্রটা কাঠের পাতবিশেষ। টেবিলে শোয়াইয়া অথবা কোলে রাখিয়া দুই হাতের আঙ্গুলে বাজাইতে হয়। to ( ساج ) ব্য অঞ্চলের এক চাষী সপত্নীক য়োড়ল গাহিয়া গেল। লুংসান তালের যোডলও শুনিলাম। বসন্তের গান, হ্রদের গান, বরফের গান, গরুবাছুরের গান, ছাগলের খান, গোয়াল-গোয়ালিনীর গান,—এইসবই য়োডলের "মুদা” । প্রকৃতি এইসকল গানের কথাবস্তু মাত্র নয়। সঙ্গীতের স্বরগুলা সবই প্রকৃতির বিভিন্ন ধ্বনি বিশেষ । এক গানে বুঝিলাম-fন্ধ্যার সময়ে রাখালের মাঠ হইতে গরুর পাল বা ছাগলের পাল ঘরে ফিরাইতেছে। কিন্তু যে ব্যক্তি ভাষা বুঝিবে না, সেও আওয়াজের লহরেই বুঝিবে যে, গরুগুল হাটিতেছে, গোয়ালা-গোয়ালিনীর গরুগুলাকে ডাকিতেছে, ইত্যাদি গোধূলির আব-হাওয়ায় হইল নর-নারীর ধরণ-ধারণ やこ)> টেসিনের কিষাণ-নারী য-কিছু কল্পনা করা সম্ভব সবই য়োড়লের স্বরে পাইতেছি । ইহাও প্রকৃতি-পূজা সন্দেহ নাই । য়োড়লের রাগিনীতে প্রতিধ্বনির ঠাই অনেক। পাeাড়ীরা পোলা মাঠে আকাশ ফাটাইয়! গাহিতে কাজেই হ্রদের, পৰ্ব্বতের, বনের এক তাল তইতে অপর ভালে ধ্বনিগুল লীফালাফি করিয়া থাকে । সেই লাফালাফিট স্বরের রূপে ধরিতে পারা যায় । অভ্যস্ত । ( > ) পাশ্চাত্য সঙ্গীতের স্বররচয়িতার নিজ-নিজ হষ্টির ভিতর প্রকৃতির বহু ধ্বনি ধরিয়া রাখিয়াছেন । কি শীত, কি গ্রীষ্ম, কি ঝোর, কি দরিয়া, কি নিশীথ, কি মধ্যাহ্ন, কি কীট-পতঙ্গ, কি বিহঙ্গকুল, দুনিয়ার আবহাওয়ায় যাহা কিছু দেখা যায়, শুনা যায়, সবই পাশ্চাত্য