পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ૭8ર স্বাময়, ফুচে, নিংপো ও সাংহাই এই কটু বম্বরে ভারতীয় অহিফেন আসিবার অনুমতি চীনকে দিতে হইল। ইহার পরে ১৫ বৎসর ধরিয়া ইংরেজ এই কয়ট বন্দরের মধ্য দিয়া চীনে অহিফেন চালাইতে লাগিল। চীন-সৰ্বকারের শত প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করিয়া ইংরেজ-ব্যবসায়ীর সহায়তায় চীনে অহিফেন বিক্ৰী চলিতে লাগিল। আবার যুদ্ধ বাধিল"। ইংরেজ আবার জিতিল । এবারও ৩০ লক্ষ ডলার খেসারৎ ও কতিপয় বন্দরে অহিফেন-আমদানির অনুমতি ইংরেজ পাইল । পরে ১৮৫৮ সালে সন্ধি-সৰ্বে চীনে ভারতীয় অহিফেন আমদানি আইনামমোদিত হইল। এমন করিয়াই খৃষ্টীয় ইংরেজ-সৰ্বকার চীনকে পাশ্চাত্য সভ্যতার অমৃত ফল খাওয়াইতেছে ! তাহার পর চীন বাধ্য হইয়া নিজেই অহিফেন উৎপন্ন করিতেছে—বৃথা কেন বিদেশীকে টাকা তাহারা দেয়। চীনের ভারতীয অহিফেন এখন কমিয়া যাওয়া সত্ত্বেও ভারতে যে-পরিমাণ অহিফেন উৎপন্ন হয়, তাহা পুথিবীর পক্ষে অনিষ্টকর। ভারতবর্ষে যে অহিফেন উৎপন্ন হয় তাহা সাধারণতঃ চতুৰ্ব্বিধ উপায়ে ব্যয়িত হয় – ১ । ভারতের বাহিরে চালান দিবার জন্য— কলিকাতায় নিলাম করা হয় ; ২। ষ্ট্রে স্টুেমেন্টস হংকং, নেদারল্যাণ্ডস ইওঁীজ, ভাম, ব্রিটিশ নর্থ বোমিয়ে ও সিংহলে পূর্ব-নির্দিষ্ট চুক্তিঅনুসারে ভারত-সরকার বিক্রয় করেন ; ৩ । ভারতের ঔষধালয়গুলিতে ঔষধ-প্রস্তুতের জন্য বিক্রীত হয় ; g ৪ । আবগারী-বিভাগকে খুচরা বিক্রয়ের জন্য দেওয়া হয় । উল্লিখিত তালিকা হইতে দেখা যাইতেছে য়ে, ভারত-জাত অহিফেনকে দুইভাগে ভাগ করা যাইতে পারে। এক, বহির্ভারতে রপ্তানির জন্য, আর-এক, ভারতে ব্যবহারের জন্ত । , অহিফেন হইতে মরফিয়া তৈয়ারী হয় ; মরফিয়া অহি কেন হইতে অধিকতর উত্তেজক ও দামী। ভারত-সরকার বলেন যে, ভারত্বের অহিফেন হইতে ভারতে মবুফিয়া প্রবাসী—ভূদ্রি, xరిల్ని [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAAAAAA AAAA S AAAAA SAAAA AAAAS AAAAA AAAAS AAASASAS SSAS SSAS তৈয়ারী হয় না। ভারতের অহিফেন হইতে শতকরা ৮ ভাগের বেশী মর্ফিয়া নিষ্কাশিত হয় না। সেজন্য ভারতের অহিফেন হয় আস্ত খাওয়া হয়, নয় তাহার ধূম পান করা হয়। এইরূপভাবে অহিফেন ব্যবহার করা যে অত্যন্ত মারাত্মক তাহা সাধারণ বুদ্ধিতেই সহজেই বোঝা যায়। চীনে নূতন করিয়া অহিফেন উৎপন্ন হইতেছে দেখিয়, লণ্ডনের “টাইম্স" পত্রে ৭ই এপ্রিল ১৯২৩ তারিখে অত্যন্ত দুঃখপ্রকাশ করিয়া লেখা হয়।-- lm all countries with European' civilisations, there are no two opinions as to the the of physical and moral ruin wrought by consumption of these so-called “drugs addiction.” —এই-সব মাদক দ্রব্য ব্যবহারে শারীরিক ও নৈতিক যে অবনতি ঘটে, সে-সম্বন্ধে ইয়োরোপীয় সভ্যতা-বিশিষ্ট কোন দেশেই ভিন্ন-মত নাই । “টাইম্স" পত্রের এই মত খাটা সত্য হইলেও ইহা যে নিঃস্বার্থতা-প্রণোদিত নহে, তাহ পাঠক-পাঠিক নিঃসন্দেহে বুঝিয়াছেন। চীনে আফিম উৎপাদিত হইলে ইংরেজের মস্ত বড় একটা বাজার খসিয়া যায়, তাই এই মাছের শোকে বকের ক্ৰন্দন! ভারতের অহিফেনই যে সৰ্ব্বত্র ইংরেজ বিক্রয় করিয়া ভারতবাসীর তথা পুথিবীবাসীর “শারীরিক ও Rafo Koi” (physical and moral ruin) ston করিতেছে—তাহা কি টাইম্স জানে না ? ভারতবর্ষ হইতে কোন বৎসরে কত অহিফেন রপ্তানি হইয়াছে তাহা মিমের তালিকা হইতে বোঝা যাইবে :--- ১৯১৭-১৮–১৪,৪৯৯ বাক্স ১৯১৮-১৯—১২,& 0 0 . ১৯১৯-২০– 7,8 e o , s२२०-२>- ¢,t~० ० ,, ፃ,«•• Jo \ > →३३-३७- a,・ 经经 Þp دمدمدمج ج: س ه ج ج لا ( এষ্টিমেট ) এক-এক বাক্সে ১৪০ পাউণ্ড প্রা ১০ মণ আফিম থাকে। ১৯১৯ হইতে ১৯২১ পর্য্যস্ত যে হ্রাস তাহার কারণ পৃথিবীর সর্বত্র ব্যবসায়ে মন্দ পড়িয়াছিল