পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wტ8ხ• মনোযোগী ; কিন্তু তাহারা ভারতের বাহিরে বৎসর বৎসর এত অধিকপরিমাণে ‘ অহিফেন কেন রপ্তানি করেন ? স্বার্থ-প্রণোদিত না হইলে এই রপ্তানী-বাণিজ্য নিশ্চয়ই তাহারা বন্ধ করিতেন । আগামী নভেম্বর মাসে জেনেভাতে লীগ অব নেশনের অহিফেন-শাখা-সমিতির অধিবেশন হইবে। এই অধিবেশনে ইংরেজ-সরকারের মনোনীত প্রতিনিধি যে ভারতবাসীর মনোনীত প্রতিনিধি নহে, ইংরেজ-সরকারের অহিফেন-নীতি যে দেশের সকল স্বার্থের ও কল্যাণের পরিপন্থী,-ইহা বুঝাইবার জন্য আমাদের এক বা ততোধিক প্রকৃত প্রতিনিধি পাঠান অত্যন্ত প্রয়োজন। পৃথিবীর সকল জাতির নিকট ইংরেজ-সৰ্বকারের এই স্বার্থ-প্রণোদিত জাতির-পক্ষে-অমঙ্গলকর নীতির কথা প্রকাশ করিবার জন্য আমাদের প্রতিনিধি পাঠান অত্যন্ত প্রয়োজন। অহিফেন ইত্যাদিতে দিন-দিন যে-ভাবে জাতির জীবনীশক্তি হ্রাস পাইতেছে, তাহাতে শীঘ্রই অহিফেন-চাষ কমান ব্যতীত উপায় নাই। পৃথিবীর অন্য সকল রাষ্ট্রের চাপে ইংরেজের এই স্বার্থ-লিপা ধ্বংস করিতেই হইবে—এই প্রবাসী—ভাত্র, ×၀၀) [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড পাপ-ব্যবসায় হইতে ইংরেজকে তথা সমগ্র ভারতবাসী ও * পৃথিবীবাসীকে রক্ষা পাইতে হইবে। বৰ্ত্তমানে শ্ৰীযুক্ত য়্যাওজ পৃথিবীতে মানব-হিতাকাঙ্ক্ষী বলিয়া পরিচিত ; র্তাহাকে আগামী জেনেভা-অধিবেশনে পাঠান একান্ত প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্র-অধিবাসী অধ্যাপক তারকনাথ দাসও এ-সম্বন্ধে বহু আলোচনা করিয়াছেন এবং বিশ্ব-রাজনীতি-ক্ষেত্রে তিনি স্বপ্রতিষ্ঠিত। র্তাহাকেও শ্ৰীযুক্ত য়্যাণ্ডজের সহকারীরূপে পাঠান আবশ্যক। হয়ত অধিবেশনে তাহাদের ঠাই মিলিবে না, কিন্তু যে-সব রাষ্ট্র অহিফেনের বিরুদ্ধে দাড়াইয়াছে তাহারা ইংরেজ-সরকারের ভারত-প্রতিনিধিদের কথার অসারত প্রতিপাদন করিতে ইহাদের সাহায্য স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া গ্রহণ করিবে । কংগ্রেসের কার্য্যকরী সমিতির প্রধান কৰ্ত্তব্য যে র্তাহার। ইহাদের বা অন্য কাহাকেও প্রতিনিধি নির্বাচিত কবিয়া জেনেভায় পাঠান। জাতীয় মহাসভার প্রতিনিধি বিশ্বের অন্তান্ত রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সমকক্ষ বলিয়া আইনত: না হইলেও স্বায়ুত গৃহীত হইবেনই । আজকাল আমাদের শিক্ষিত যুবকদের অনেকেই নানা কারণে উচ্চদরের যন্ত্র ও শিল্প-বিজ্ঞান শিক্ষা করিতে ব্যগ্র । ইহা যে দেশের পক্ষে আশার কথা, তাহাতে সন্দেহ নাই। ভারতের মোট শিক্ষিতের সংখ্যা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অপর চারিট রাজ্যের শ্বেতকায় শিক্ষিত অধিবাসীর সমষ্টির চেয়ে আজকাল বেশী হইলেও, এই বিজ্ঞান-শিল্প-চর্চায় শিক্ষিত ভারতবাসী এত পিছনে পড়িয়া আছে যে, ভাবিলে হতাশ হইতে হয়। ইহার ' অন্ততম কারণ, দেশের বেশীর ভাগ ভালো ছেলে কেবল কাব্য-দর্শনের স্বধাপান করিতে এখন ব্যাকুল। আর যে-সব ছেলে হয়ত এইসব বৈজ্ঞানিক কাজেই উন্নতি করিবার আশা করিয়াছিল তাহারা অনেকে নান৷ ক্ষমতা থাকিতেও মাটিক স্কুলে বিদেশী ভাষাতে ব্যুৎপত্তির অভাবে একেবারে অকৰ্ম্মণ্য উপাধি পাইয় ছাত্র-জীবন হইতে অবসর লইতে বাধ্য হয়। কাৰ্য্যকরী বিজ্ঞান-শিক্ষা দেশের শক্তি ও সম্পদের প্রধান সহায় । জার্মানীর বর্তমান বিশৃঙ্খলা ও দুর্দশা সত্ত্বেও সে-দেশে eqNRG Elame Thrower 93 zTL51 \লের গাছেও পোক৷ লাগিতে পারে না। আর আমাদের বাংলায় প্রত্যহ এক ম্যালেরিয়া রাক্ষসীই একহাজার লোক গ্রাস করিতেছে । আমাদের উদ্যমশীল ছাত্রদের সাহস শক্তি কষ্ট-সহিষ্ণুতা ওঁ কৰ্ত্তব্য-নিষ্ঠা বিকাশের ক্ষেত্র চাই । . লিঙ্কানকে