পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] “আণী”, “অংসস্থল”, “উদর”, “বস্তি,” “হুজুর” প্রভৃতি কতিপয় মাত্র আঘাতের প্রয়োগেই “জড়বিশের” (জার্বের ) প্রাধান্ত হইয়া থাকে । “মন” ও “দে’ র প্রয়োগ-কালে যথাক্রমে দক্ষিণ ও বাম “বেতসী” অবলম্বন করিতে হইবে ; “জনাৰ্দ্দন” “উৰ্দ্ধবৃক্ক” প্রভৃতি যেসমস্ত আঘাত নিম্ন হইতে উদ্ধৃদিক অভিমুখে প্রয়োগ করিতে হয়. তাহাদের প্রয়োগ-প্রারম্ভে “জামু-বিজান্স” গতিতে ঈষৎ “অবনমন” অবলম্বন করিতে হয়। প্রত্যেকটি আঘাতেরই প্রয়োগকালে, হস্তগতির সঙ্গেসঙ্গেই শরীরের উদ্ধাংশেব সামান্ত অগ্রগতি করাইতে হয় । প্রতিরোধ-প্রণালী :---দক্ষিণ হস্তে ছুরী ধারণ করিয়া ক্রীড়াকালে প্রতিপক্ষের আঘাতের প্রতিরোধকল্পে বাম সমস্ত পাঁচটি অঙ্গুলী একত্র রাখিয়া, বাম করতল-মধ্য-দ্বারা প্রতিপক্ষের দক্ষিণ প্রকোষ্ঠে ( পুরোবাহুতে ) “ব্যাঘ্র থাবাবৎ’ সজোরে আঘাত করিয়া প্রতিপক্ষেপ বাহু দূর করিয়া দিতে হইবে । আঘানকারীর প্রকোষ্ঠ-মধ্যে মণিবন্ধের যত সন্নিকটে প্রতিরোধকারীব বামকরতলের আঘাত পতিত হইবে, প্রতিরোধ ও তত অধিক তীব্র ও সন্তোষজনক হইবে । তবে, যেসমস্ত আঘাতের প্রয়োগ-প্রারম্ভ ছুরীধুত হস্তের বিপরীত পাশ্ব হইতে করিতে হয়, তাহাদের প্রতিরোধকল্পে প্রতিরোধকারীর করতলের আঘাত কোনকোন অবস্থায় আঘাতকারীর কফোণির (কতুইএর ) ঠিক উৰ্দ্ধে প্রগণ্ডোপরিও হইতে পারে । আঘাত যেদিক্‌-অভিমুখে অগ্রসর হইতে থাকিবে, প্রতিরোধহেতু করতলের আঘাতও সাধারণতঃ ঠিক তদ্বিপ্রীত দিকেই প্রয়োগ করিয়া সঙ্গে-সঙ্গেই আঘাতকারীর হস্ত অবস্থা-বিশেষে দক্ষিণে কিংবা বামে অপসারিত করিয়া দিতে হইবে । করতলের আঘাত প্রয়োগ কালে ও হস্তচালনায় “গুড়দিশের” (গিরদেশের ) প্রাধান্ত হইলেই সহজে স্বফল প্রাপ্ত হওয়া যায়। প্রতিরোধ-কল্পে বাম করপল্লবের কোন • অংশ কদাচ যেন আঘাতকারীর মণিবন্ধ অতিক্রম করিয়া তাহার করপল্লবোপরি পতিত না হয় । নতুবা সহজেই প্রতিরোধকারী হস্তে ছুরীর আঘাত হস্তেব ছুরী- ও বাক-খেলা ৬৫৩ পাইতে পারে । যেসমস্ত আঘাতের প্রয়োগ নিম্ন হইতে উৰ্দ্ধদিক অভিমুখে হইযা থাকে, তাঙ্গাদের প্রতিকারকল্পে প্রথমতঃ করতলের আঘাত উৰ্দ্ধ হইতে নিম্ন দিকে প্রয়োগ করিয়াই অপ্রতিহতগতিতে হস্তচালনায় প্রয়োগকারীর হস্তকে অবস্থা-বিশেষে বামে কিংবা দক্ষিণে দূর করিয়া দিতে হইবে, এবং সঙ্গে সঙ্গেই “জামু বিজাকু” গতিতে “অবনমন’ ও অবলম্বন করিতে হইবে । আঘাতকারীর দক্ষিণ মণিবন্ধে একটি বিন্দু, এবং প্রতিরোধকারীর শরীরের যে অংশ লক্ষ্য করিয়া আঘাত প্রযুক্ত হইবে তথায় অপর-একটি বিন্দু কল্পনা করিয়া লইলে, প্রতিরোধকারীর বামকরতল, সৰ্ব্ব আঘাতসম্পর্কেষ্ট প্রতিরোধকালে ঐ উভয় বিন্দুর মধ্যে প্রতিপক্ষের প্রকোষ্ঠোপরি পাতিত করিতে হইবে । নতুবা আঘাত প্রয়োগকারীর হস্তগতি সম্পূর্ণ প্রতিহত হইবে না, এবং সহজেই সে হস্ত ঘুরাইয়া অন্য কোনও লক্ষ্যে আঘাত করিতে পারিবে ; সে-অবস্থায় অধিকাংশস্থলেই প্রতিরোধকারী পুনঃ প্রতিরোধে অসমর্থ হইয়া পড়িবে। [ শিক্ষাভ্যাস-কালে সৰ্ব্বদাই এ-বিষয়ে সতর্ক থাকিতে অ ভ্যাস আয়ত্ত হইয়। গেলে অfর বাহিক সতর্কতার প্রয়োজন হয় না । ] হক্টবে ; এ-বিষয়ে সতর্ক থাকিলেই বিভিন্ন আঘাত-সম্পর্কে, প্রতিরোধকারীর করতল কখনও বা আঘাতকারীর মণিবন্ধের সম্মুখে, কখনও বা মণিবন্ধের পৃষ্ঠে, কখনও বা মণিবন্ধের পার্থে পতিত হইবে । দুষ্টাস্ত-স্বরূপ নিয়ে তিনটি চিত্র প্রদশিত হইল । তামেচ।