পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮼ©Ꮼ উগ্র-উত্তর-বাম স্তন-চুচুকের দুই অজুলী বাম ও উদ্ধ হইতে বক্রভাবে ছুরী প্রবেশ করাইয়া হৃদয় বিদ্ধ করিবার নিমিত্ত আঘাত । কল্প-দক্ষিণ-দক্ষিণ স্তন-চুচুকের দুই অজুলী দক্ষিণ ও নিম্ন হইতে ঈষৎ উৰ্দ্ধমুখে বক্রভাবে ছুরী প্রবেশ করাইয়া দক্ষিণ ফুসফুস বিদ্ধ করিবার নিমিত্ত আঘাত । যবেগা-উত্তর + গলদেশের ধামপার্শ্ব হইতে আরম্ভ করিয়া গলদেশ ও স্কন্ধ-দেশের সন্ধি-পর্য্যস্ত অংশ-মধ্যে স্কন্ধের সমস্তেরালভাবে আঘাত । শঙ্খ দক্ষিণ =ললাটের দক্ষিণ পাশ্বদেশে, কর্ণ ও ললাটের মধ্যে প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩১ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড ষোড়শ ঘাত ( ষোলর চোটু )। ১৬। শির, তামেচা, ( কট, তামেচ, কট), অংগহল-দক্ষিণ, ভাণ্ডার, ঘাটিক-দক্ষিণ, বুক-মধ্য, ভণ্ডার,কটা, দে, ভাণ্ডার, (উৰ্দ্ধবুক, শির, উৰ্দ্ধবুক) । বর্ণনা –যোড়শ ঘাতের ক্রীড়া-কালে বন্ধনী-মধ্যস্থিত তিন-তিনটি আঘাতই এক-সঙ্গে প্রয়োগ করিতে হইবে । ষোড়শ ঘাত-মধ্যে, একত্রে তিনটি আঘাত-প্রয়োগের BBBB BBB BBBBB BB BBB DDDB BBBB BB BBB BBB BBBB BBD SDSDDSS ইহার একটি মস্তক-মধ্যে প্রবেশ করাইবার নিমিত্ত আঘাত । বিশেষণ । শঙ্খ-উত্তর-পুৰ্ব্ব বর্ণনামুরূপ ললাটের বাম-পাশ্বে আঘাত। ( ক্রমশ: ) মেরুর ডাক শ্রী প্রমথনাথ বিশী আবার মোরে ডাক দিয়েছে তুষার-মেরু উত্তরে, সে রব শুনে বিপদ গুনে কেমন করে’ রই ঘবে ! ছাদের বাধা আলগা হ’ল, ডাকৃছে তাবু ইঙ্গিতে মেরুর পানে মরার টানে ; রবই পড়ে’ কোন ৬রে । হিমের বায়ে মরণ-শাদা দিইছি আমার পাল তুলে’ জাহাজগুলো ডাক্লছে আমায় রিক্ত শাখার মাস্তুলে, জলের ঝাপটু লাগছে আমার নিদাঘ-দাগ পঞ্জরে, তাই ত কঁাদে পরাণ আমার—ঘাটের বাধন দেয় খুলে । তীক্ষু হেষায় মৃত্যু-নেশায় পৰ্যন ইণকে ভৗম রবে ; উড়ছে কানাৎ, টুটুছে তাবু, ঝঞ্চ বিপুল বয় যবে , ফুরিয়ে এল খাবার পুজি, ছিন্ন আমার বস্ত্র গে। — মৃত্যু বুঝি মুচকে হাসে—না হয় মরণ তাই হবে! তাই বলে কি রইব পড়ে বিষুব-রেখার অন্দরে— · রুদ্র নিদাঘ জালায় যেথা তপের আগুন মন্তরে ? ব্যর্থ হবে মেরুর সে গান, ব্যর্থ হবে জয়-গাথা— মৃত্যু যেথা হাজার রূপে জমাটু-জলে সন্তরে । সবুজ-আভা বরফ-রাশি রয় গো সেথা দিক্ জুড়ে, সিন্ধু-ঘোটক বিশাল দাতে তুষার-মাটি খায় খুঁড়ে ; পেঙ্গুষ্টনের পক্ষুদলে বিজ্ঞ ভাবে রয় চেয়ে-- ঝাপটে ফেলে ডানার বরফ কচিং পাখা যায় উড়ে । দিগন্তেরি ধারটুকুতে নিতেজ রবি যায় দেখা, হাজার তারার দ্বিগুণ আলো তুষার পরে হয় লেখা, ও স্থির ঢপল মেরুপ্রভা জালায় রঙের ফুলঝুরী— করে যেন এ শব-সাধনা চলছে দিবা-রাত একা ! আবার ডাকে শোন গোতোর,শোন গোতোরা কান পেতে আমার ধিরে রাথিস্ মিছে, মেরুর মুখে দিস যেতে ; তরীর কাছি তীরের কাছে চাচ্ছে এবার মুক্তি গো— প্ৰলয়ু-শ্বাসে পাল ফোলে রে—উঠছে তরীর হাল মেতে! সিন্ধু-শকুন পাখার বাতাস বুলিয়ে গেল মোর গায়ে, বিজন দ্বীপে চিত্ত ঘোবে নারিকেলের সেই ছায়ে ; আলোক-ছায়ার মাল্য গাথা চপল ঢেউয়ের উচ্ছ্বাসে, আমার স্থতি বাজছে আজি উপল-নূপুর যাব পায়ে! এবার আমায় ডাক দিয়েছে তুষার-মেরু উত্তরে— চক্ষে যে দেশ হয়নি দেখা–কাছে পরাণ তার তরে। খামল ধরার কোমল বাহু লাগছে না আর মোর ভালো মেরুর পানে ভাস্ব এবার মরণ-শাদা পাল-ভরে ।