পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষে কোচিন রাজ্যই সৰ্ব্বপ্রথম নারীদের ভোট দিবার অধিকার এবং নির্বাচনে দাড়াইবার অধিকার দান করেন। সেখানেই নারী এবং পুরুষদের মধ্যে সকলরকমের প্রভেদ একেবারে দূর করিয়া দেওয়া হয়। সম্প্রতি একটি তালিকায় দেখা গিয়াছে, যে, ১৮• • • ভোটদাতার মধ্যে মাত্র ১২০০ জন মহিলা । এই কম-সংখ্যক নারী ভোটদাত্রীর সাহায্যে কোন মহিলারই নিৰ্বাচিত হইবার আশা নাই। এইজন্য এইখানে নারীদের উন্নতির দিকে লক্ষ্য রাখিয়া কাউন্সিলে ১৫ জন বিশেষ নিৰ্ব্বাচনের মধ্যে অন্ততঃ চারটি পদ নারীদের জন্য রাখিয়া দেওয়া উচিত। কোচিন প্রদেশের মত ভারতবর্যের অন্য কোন প্রদেশের নারীরা এত শিক্ষিত নহেন। শিক্ষিত নারীর সংখ্যা৪ কোচিনে অন্যান্য প্রদেশ অপেক্ষা বেশী । কোচিনের মহারাণীও খুব শিক্ষিতা এবং প্রজাদের উন্নতির জন্য সতত ব্যস্ত রহিয়াছেন। তাহার সাহায্যে নারীদের এই অধিকার লাভ করিতে বিশেষ দেরী না হইতেও পারে । - বম্বের একজন বণিক্‌ দাতার অর্থে বেনারস হিন্দুবিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের জন্য একটি বিশেষ হোষ্টেল নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এই ছাত্রী-আবাসটি একটি দেখিবার মত জিনিষ এবং দাতার দান সার্থক হইয়াছে বলিয়া মনে হয়। এই বিশেষ কাৰ্য্যে দাতার দানকে প্রশংসা না করিয়া পারা যায় না, কারণ দাতা স্পষ্টই বুঝিয়াছেন, যে, নারী এবং পুরুষ একসঙ্গে না চলিতে পারিলে দেশের কোন আশা নাই। এই কথাটি অতি পুরাতন, কিন্তু বার বার বলিয়াও দেশের লোকদের চেতনা হইতেছে না। কিন্তু এই হোষ্টেল খোলার সঙ্গে-সঙ্গে আর-একটি প্রশ্ন উঠিয়াছে। এতদিন পর্য্যন্ত মাত্র ছয়টি br8-8 ર ছাত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়াছে। তাহাদের পড়াশুনা ইত্যাদি সবই পুরুষ ছাত্রদের সঙ্গে একই ঘরে হইয়াছে। এই নৃতন ছাত্রী-আবাসে ১০০ জন ছাত্রী থাকিবার মত স্বান হইয়াছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বড়কর্তারা স্বতৰ নারী-বিভাগ করিতে চাহিতেছেন, তাহার এত বেশসংখ্যক ছাত্র এবং ছাত্রী একসঙ্গে একই ক্লাসে পড়াইতে সাহস করেন না। তাহাদের নানাপ্রকার আশঙ্কা হইয়াছে। কিন্তু যাহাদের লইয়া এত কথা তাহারা কোনপ্রকার আলাদা বন্দোবস্ত চাহেন না, তাহারা পুরুষ ছাত্রদের সঙ্গে সকল বিষয়ে সমান স্থবিধা এবং অধিকার চাহেন। র্তাহারা বলেন, যে, তাহাদের নিজেদের চরিত্রের উপর বিশ্বাস আছে, অনাবশ্বক ভয় করিবার কিছু নাই। পুরুষ-ছাত্রেরা অনেক সময় নানাপ্রকার বেয়াদবী করে। তাহদের ব্যবহার দেখিয়া মধ্যে-মধ্যে মনে হয়, যে, তাহার কোন কালে নারী দেখে নাই, এবং তাহারা ভদ্রতা ভব্যতা শিষ্টতার ধারও ধারে না। এই-সমস্ত বদরোগের ঔষধ মেয়েদের হাতেই আছে। র্তাহারা রাস্তায় যদি চাবুক লইয়া বেড়ান এবং দরকার-মত তাহার ব্যবহার করিতে পারেন, তবে দেশের অনেক উপকার হইবে। বেনারস হিন্দু-বিশ্ববিদ্যালয়ের বড়কৰ্ত্তারা মেয়েদের জন্য আলাদা বন্দোবস্ত না করিয়া পুরুষ ছাত্রদের জন্য একটি বিশেষ ক্লাস খুলিলে পারেন, এই ক্লাসটির নাম হইবে—“মহিলাদের প্রতি ভদ্রব্যবহার শিক্ষার ক্লাস” । অবশু সকল ছাত্রকেই যে এই ক্লাসে পড়িতে হইবে তাহার কোন মানে নাই, যাহাদের একান্ত প্রয়োজন কেবলমাত্র তাহারাই বিনাবেতনে পড়িতে পাইবে । মান্দ্রাজের আদায়ার বিদ্যালয়ের মেয়েদের একজন ডাচ মহিলা বাইসাইকেল চড়া শিখাইতেছেন। তিনি