পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধ-সাহিত্যে প্রেততত্ত্ব—ডাক্তার ঐ বিমলাচরণ লাহা, এম-এ, বি-এল. পি এইচ-ডি প্রণীত। প্রকাশক গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এও, সঙ্গ, ২-৩১১ কর্ণওয়ালিস স্ট্রটু, কলিকাতা। দাম আট আনা । বৈশাখ, ১৩৩১ { বৌদ্ধ-ধর্মকে বুঝিতে হইলে প্রেত-সম্বন্ধে বৌদ্ধদের ধারণ কিরূপ ছিল তাহ জানা দরকার। মৃত্যুই মানুষের শেষ নহে, মৃত্যুর পরেও একটা জীবন আছে এবং সে জীবনে তাহাকে ইহলোকের কৰ্ম্মানুসারেই ফলভোগ করিতে হয়—এই বিশ্বাসের উপরেই বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠিত। স্বতরাং প্রেতের অস্তিত্ব বাধ্য হইয়াই বৌদ্ধদিগকে স্বীকার করিতে হইয়াছে। প্রেত-সম্বন্ধে বৌদ্ধ-সাহিত্যে যে-গ্ৰন্থখানিতে বিশেষ আলোচনা আছে তাহার নাম পেতবথ। ধৰ্ম্ম-পাল এই বইখানির ভাষ্য লিখির গিয়াছেন। বিমলাচরণ-বাবু ধৰ্ম্মপালের সেই ভাষ্য হইতে সঙ্কলন করিয়া কতকগুলি প্রেতের কাহিনী এই গ্ৰন্থখানিতে লিপিবদ্ধ করিয়াছেন । এইসব প্রেতের কাহিনীর ভিতর দিয়া সে-যুগের রীতি-নীতি, সামাজিক আচার-ব্যবহার, ধৰ্ম্মের উদারতা ও গোড়ামি—ইত্যাদি অনেক জিনিষের সন্ধান পাওয়া যায়। এক কথায় এই প্রেতের আখ্যানগুলি বৌদ্ধ-যুগের ইতিহাসের একটা খুব বড় উপাদান। যে-যুগে রূপকের ভিতর দিয়া ইতিহাসকে লুকাইয়া রাখিবার রেওয়াজ ছিল, এগুলি সেই যুগের কাহিনী ; সুতরাং এই উপাখ্যানগুলিও রূপকের অস্তরালে আত্মগোপন করিয়া আছে । ইহাদের অঙ্গ হইতে সেই রূপকের আবরণটা খুলিয়া ফেলিতে পারিলেই বৌদ্ধযুগের ইতিহাসের চেহারাটা ধরা পড়ে। ডাঃ শ্ৰীযুক্ত বিমলাচরণ লাহ। বৌদ্ধ-ধর্শ্বের ইতিহাসের দিকে এই গ্রন্থের দ্বারা আমাদের অনুসন্ধিৎসা আকর্ষণ করিবার চেষ্টা করিতেছেন— এজস্য তিনি ধস্তবীদার্হ। বইখানির ভিতরে কেবলমাত্র” তাহার অনুসন্ধিৎসা নহে, জ্ঞানেরও পরিচয় পাওয়া যায়। তাহার বলিবার ভঙ্গীও বেশ সহজ এবং সরল । এই বলিবার ভঙ্গীতে সেকালের এই পুরাণো গল্পগুলি একালের গল্পের মতই সজীব হইয়া উঠিয়াছে। . ছাপা কাগজ প্রভৃতি উৎকৃষ্ট। সে হিসাবে দাম খুবই কম বলিতে { le মুক্তির ডাক—শ্ৰী মন্মথ রায়, বি-এ প্রণীত, প্রকাশক গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এও সঙ্গ, ২-৩১১ কর্ণওয়ালিস ট্রীট, কলিকাতা,দাম w•। এথানি একখানি একাঙ্ক নাটক। রবীন্দ্রনাথের দুই-একখানি রূপক নাটক ছাড়া বাংলায় একাঙ্ক নাটক খুব কম। ইউরোপীয় সাহিত্যে অবন্ত একাঙ্ক নাটকের অভাব নাই। কোনো একটা জটিল সমস্তকে জুমাট করিয়া তুলিয়া ইউরোপীয় সাহিত্য-রীদের অনেকেই অস্তুত কৃতিকুর পরিচয় প্রদান করিয়াছেন। এই নাটকখানিতে সেরূপ কোনো অসাধারণত্বের পরিচয় পাওয়া যায় না বটে, তবে গ্রন্থ • থানির ভিতরে লেখকের বৈশিষ্ট্যের ছাপ অনেক জায়গায় আছে। মোটের উপর বইখানি পড়িয়া আমরা সুখী হইয়াছি। রায় চন্দ্রলোকে যাত্রা—জী রাজেন্দ্রলাল আচাৰ্য্য, বি-এ প্রণীত। ঐ ব্রজেন্দ্রনাথ দত্ত কর্তৃক ৫৭১ কলেজ ষ্ট্রট হইতে প্রকাশিত। মূল্য আট জন । পূঃ ৭৪ (১৩৩১) । বইখানি কুপ্রসিদ্ধ ফরাসী উপস্থাস-লেখক জুল ভ্যার্ণের গ্রন্থের ইংরেজী wąwtw “From tho Earth to the Moon” arqos siwwwwta লিখিত। রাজেন্দ্র-বাৰু ইতিপূৰ্ব্বে জুল ভ্যার্ণের অস্কাঙ্ক গ্রন্থাবলম্বনে আশীদিনে ভূপ্রদক্ষিণ, বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ’ ও ‘গাতাল এই তিনখানি বই লিখিয়া যশস্বী হইয়াছেন। এই বইখানিও বেশ স্বখপাঠ্য হইয়াছে। পুস্তকখানি বালক-বৃদ্ধ সকলেরই চিত্তাকর্ষণ করিবে সন্দেহ নাই। বইখানির ছাপা ও বাধাই মনোরম হইয়াছে। ඵ් ত্রিবেণী—ঐ অবিনাশচত্র সেনগুপ্ত, এম্-এ প্রণীত। প্রাপ্তিস্থান অল ইণ্ডিয়া পাবলিশিং কোম্পানী, লিমিটেড. ৩• কর্ণওয়ালিস্ট্রট, কলিকাতা । দাম বারো আন । কবিতার বই । কবিতাগুলির তিনটি বিভাগ করা হইয়াছে—স্বল্প ও জাগরণ, বিরহ ও মিলন, এবং হাসি ও অশ্রু । কিন্তু বিভাগগুলির সহিত কবিতাগুলি স্বসঙ্গত হইয়াছে বলিয়া মনে হয় না । গোড়ার দিকে দুই-একটি কবিতা মন হয় নাই, যেমন টেনিসনের এনকু আর্ডেনের উপাখ্যানের অনুরূপ কবিতাটি। অধিকাংশ কবিতায় ছন্দের ত্রুটি আছে। হাসি ও অশ্রু বিভাগে লেখকের হাসাইবার চেষ্টা ব্যর্থ হইয়াছে। তবে লেখকের কবিত্ব কিছু আছে। বইখানির ছাপা ও কাগজ চলনসই। "Nණ් দণ্ড-রহিত-শিক্ষা-প্রণালী—প্রকাশক অধ্যাপক আর কে কুলকণী. এম এ, এল এল্‌-বি, ভিক্টোরিয়া কলেজ গোয়ালিয়র। দাম দুই আনা । দও না দিয়া শাসন না করিয়া কেবল যত্ব ও ভালবাসার ছোটছোট ছেলেদের কেমন্স করিয়া শিক্ষা দেওয়া যায় ও পাশ্চাত্য দেশে কেমন করিয়৷ সেই কাজ হইতেছে তাহ সংক্ষেপে এই পুস্তিকায় বিবৃত হইয়াছে। এসম্বন্ধে কয়েকটি চিন্তা-পূর্ণ মতামতও উদ্ধত হইয়াছে। এরূপ আলোচনা যত হয় ততই দেশের মঙ্গল। প্রকাশকের উদ্যম প্রশংসনীয় । মায়ের দান—শ্ৰীমতী গিরিবালা দেবী। প্রকাশক ঐরণজিৎ কাঞ্জিলাল, ৯৩১)এ বহুবাজার ট্রীষ্ট কলিকাতা । দাম বারো আনা । কবিতার বই। একটি দীর্ঘ কবিতাতেই বইটি সম্পূর্ণ। দস্থ্য রত্নাকর নারদের উপদেশে রাম নাম জপ করিতে করিতে কিরূপে সাধুত্ব পাইয়াছিল তাঁহারই বিবরণ, এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর ভগবৎতত্ত্ব ! ভগবৎতত্ত্বের গুরুভারে কবিত্ব চাপা পড়িয়াছে। সুতরাং ইহাকে রত্নাকরের কাহিনী বলার চেয়ে ভগবৎতত্ত্ব-ব্যাখ্যা বলাই সঙ্গত একটি জিনিষ কিন্তু বিশেষ প্রশংসার আছে- লেখিকা আন্দামান