পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] বাহিতা থাকিয়া যাইবার সম্ভাবন। একথা তাহারা এখন বলেন কি না, জানি না। কিন্তু প্রকৃত কথা এই, যে, ভারতবর্ষ এবং তাহার অন্তর্গত বাংলা দেশে পুরুফ অপেক্ষা স্ত্রীলোকের সংখ্যা কম। শুধু মোটের উপর কম নহে । ভিন্ন ভিন্ন এক একটি হিন্দু জা’তের মধ্যেও কম । ১৯২১ সালের সেন্সস রিপোর্ট হইতে বঙ্গের কতকগুলি হিন্দু জাতির প্রতি হাজার পুরুষে কত স্ত্রীলোক আছে, তাহার তালিকা দিতেছি । বৈষ্ণব ১১৬৭ আগুরী SVOB ভূমিজ 龜 ১০০৬ শুড়ী సె\రి) বাউরী ১০ • ১ লোহার S :by বাগদী ৯৯৭ নাপিত ৯২৩ কৈবৰ্ত্ত R৮৫ বারুই సె* 4 তাম্বুলী ন৮০ রাজবংশী **● ডোম ৯৭৫ কামার సె 8 সদগোপ ৯৭৩ স্বত্রধর * QNつ কপালী ৯৭২ ধোবী *R > 8 নমঃশূদ্র ৯৬৯ কায়স্থ సె ) ) হাড়ী సెఅరా ! సె Q ) যুগী বা ধোগী ৯৬৬ গন্ধবণিক brබී ෆ বৈদ্য ৯৬৫ ময়র। brtア8 ক্যাওরা ৯৬৩ তাতি bbア> পোদ ৯৬১ মুচী br8bア ভূইমালী ৯৬১ ব্রাহ্মণ ԵՑ(: শাহ ৯৫৩ গোয়াল b o" সোনার বেনিয়া ৯৫৩ ভুইয়া bro > পাটনী ৯৪৬ সোনার ዓ:S@ কোচ ৯৪১ রাজপুত (ছত্রী ) * ৫৫৮ কুমহাব ৯৩৮ দোসাধ - B ) নিম্ন শ্রেণীর কয়েকটি জা’ত ছাড়া আর সব জাতেই পুরুষ অপেক্ষ স্ত্রীলোকের সংখ্যা কম। বাঙালী হিন্দু পুরুষদের যে-রকম বয়সে বিবাহ হয়, এবং বাঙালী হিন্দু মেয়েদের যে-রকম বয়সে বিবাহ হয়, সেই সেই বয়সের পুরুষ ও স্ত্রীলোকের সংখ্যা যদি সেন্সস্ রিপোর্টে দেখা যায়, তাহা হইলেও স্ত্রীলোক অপেক্ষ পুরুষের সংখ্যা বেশী দৃষ্ট হইবে। অতএব যাহারা পুরুষদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্য। বেশী এই ভ্রান্ত ধারণা বশতঃ বিধবা-বিবাহের বিরোধিতা করিয়াছেন, তাহাদের সেই বিরোধিতা ত্যাগ করা ত উচিতই ; অধিকন্তু তাহাদের এই তর্ক করা উচিত, যে, বিপত্নীকদের আর বিবাহ হওয়া উচিত নহে, কারণ তাহা হইলে অনেক পুরুষ চির-কুমার থাকিতে বাধ্য হইবে! বাস্তবিকও এখন পাত্রীর অভাবে বঙ্গে অনেক বিবিধ প্রসঙ্গ—লর্ডদের মাথা-ব্যথা ৭১৩ জা’তের পুরুষদের বিবাহ হওয়া কঠিন হইয়াছে, এবং অনেকের বিবাহ না হওয়ায় বংশ-লোপ হইতেছে । বিধবা-বিবাহ প্রচলিত হইলে এই সমস্যার সমাধান হইতে পারে। সমুদয় রতবর্ষে গড়ে প্রতি হাজার পুরুষে ৯৪৫ জন স্ত্রীলোক আছে । বাংলা দেশে গড়ে প্রতি হাজার পুরুষে ৯৩২ জন স্ত্রীলোক আছে । বাঙালী মুসলমানদের মধ্যে প্রতি হাজার পুরুষে ৯৪৫ জন গীলোক আছে । বাঙালী হিন্দুদের মধ্যে প্রতি হাজার পুরুষে ৯১৬ জন স্ত্রীলোক আছে । বাঙালী মুসলমানদের মধ্যেও পুরুষ অপেক্ষ স্ত্রীলোকের সংখ্য কম বটে ; কিন্তু তাছাদের মধ্যে বিধবা-বিবাহ প্রচলিত থাকায় এবং হিন্দুসমাজের মত তাঙ্গাদের মধ্যে জাতিভেদ না থাকাদু পাত্রীর অভাবে বিবাহ না হওয়া মুসলমান-সমাজে দুষ্ট হয় না । ত’ ছাড়া, তাহার অন্য যে-কোন ধৰ্ম্মাবলম্বী স্ত্রীলোককেও বিবাহ করিতে পারে। ইংলণ্ডে পুরুষ অপেক্ষ। স্ত্রীলোকের সংখ্য প্রায় আঠার লক্ষ বেশী ; কিন্তু তাহার জন্য কেন্স সেখানে বিধবা-বিবাহ বন্ধ করিতে চেষ্টা করিতেছেন । অনেকের এইরূপ অদ্ভূত ধারণ আছে, যে, বিধবাবিবাহ প্রচলিত হইলে সকল বিধবাই বিবাহ করিতে চাহিবে । স্ত্রীজাতি যে স্বভাবতঃ পুরুষ অপেক্ষ একনিষ্ঠ, এ-কথা তাহার। ভুলিয়া যায়। চয়ুত এ-কথা তাহারা বিশ্বাস করিবে না । সেইজন্য একটা দুষ্টান্ত দিতেছি । ইংলণ্ডে বিপত্নীকের বিবাহে এবং বিধবার বিবাহে কোন সামাজিক বাধ। আগেও ছিল না, এখনও নাই । তাহ। সত্ত্বেও দেখা যায়, যে, তথায় বিপত্নীক অপেক্ষা বিধবার ংখ্যা বেশী । অর্থাৎ বাধা না থাকিলেও সে-দেশে পত্নীর মৃত্যু হইলে যত পুরুষ পুনর্বার বিবাহ করে, পতির মৃত্যু হইলে তত স্বীলোক পুনরায় বিবাহ করে না। ঠিক সংখ্যাগুলি দিতেছি । ১৯১১ সালের সেন্সস-অক্সারে ইংলণ্ড ও ওয়েলসের পুরুষদের মধ্যে হাজারে ৩৮ জন বিপত্নীক, কিন্তু স্ত্রীলোকদের মধ্যে হাজারে ৭১ জন বিধবা । লর্ডদের মাথা-ব্যথা বিলাতের পালেমেণ্টে লর্ডদের অর্থাৎ অভিঙ্গীত ব্যক্তিদের সভায় কয়েক দিন আগে ভারত-হিতৈষণার ঝড় বহিয়াছিল। এই যে ভারত, ইহার মানে এ-দেশের আজীবন অল্পাশন-পীড়িত, বুভুক্ষিত, রোগ-ক্লিষ্ট, নগ্ন ও অৰ্দ্ধনগ্ন, গৃহহীন বা অস্বাস্থ্যকরগ্রহবাসী, অশিক্ষিত ও অজ্ঞ কোটি কোটি লোক নহে ; ইহার মানে মোটা বেতনভোগী প্রায় দেড় হাজার ইংরেজ সিবিলিয়ান। তাহাদের