৫ম সংখ্যা ] ব্যবসাতেই জীবন কঠোরতর হইয়াছে। র্তাহার কথাগুলি উদ্ধৃত করিয়া এই মন্তব্য শেষ করি । 驗 “It must bo romembered how small are the $ht:ne: lo a livelilood open to the successful 'niversity man in the prosent time of , world-wide trade depression, and though no one wishes to see mem go into {lio Imdi;ın ('ivil Solovio:os łyelo;ul50 tîitoro is notliing elso foi othern to ilo. it is legitiulate to emphasise the fact that the war has made life in overy professsion harder than oasier.” জমশেদপুরে আরও ইউরোপীয় আমদানী । জমশেদপুরে তাত কোম্পানী যে বৃহৎ লোহা ও ইস্পাতের কারখানা স্থাপন করিয়াছেন, তাহা হইতে দেশের খুব উপকার হইতে পারে। কিন্তু এই কারখানার কত্ত্বপক্ষের বিরুদ্ধে বরাবর এই অভিযোগ শুনা যাইতেছে, যে, তাহারা ভারতীয়দিগকে সব রকম কাজ শিখাইবার বন্দোবস্ত করেন নাই, ভারতীয়ুদিগকে যথেষ্ট উৎসাহ - দেন না, এবং অত্যন্ত বেশী বেশী বেতনে ইউরোপীয় ও আমেরিকান কৰ্ম্মচারী রাখেন। যুদ্ধের সময় জাৰ্ম্ম্যান দিগকে বিদায় দিতে হইয়াছিল। তখন হইতে তাহদের অনেক কাজ সাওতালরা করিতে সমর্থ হইয়াছে ; স্বতরাং অন্ত সব কাজ ও যে ভারতীয়ের শিখিতে পাইলে করিতে পরিবে, তাহাতে সন্দেহ নাই । কিন্তু তাহার যথেষ্ট বন্দোবুস্ত কোথায় ? ক্যাথলিক্ হেরাল্ড অব ইণ্ডিয়া সংবাদ দিতেছেন, যে, ইংলণ্ড হইতে আশীজন ফোর্ম্যান বা সদTরূমিস্ত্রী জস্শেদপুরে কাজ করিতে আসিতেছে । 媳 হিন্দু-মুসলমানের মিলন সকলেই উচ্চকণ্ঠে বলিতেছেন, যে, হিন্দু-মুসলমানের মিল ন হইলে স্বরাজ লাভ করিতে পারা যাইবে না ; -- যেন তাহাতেই হিন্দু-মুসলমানের মিলন হইয়া যাইবে । স্বরাজ বা অন্য কোন বস্তু অপেক্ষ হিন্দুর চোখের সামনে গোরু জবাই করিবার উচ্চ অধিকার যতদিন বিস্তর মুসলমান শ্রেষ্ঠ মনে করিবে, এবং স্বরাজ বা অন্ত কোন বস্তু অপেক্ষ মুসলমানদের পর্ক্সে প্রকাশ্য-গোবধ নিবারণ করা অনেক হিন্দু বেশী আবশ্ব্যক মনে করিবে, ততদিন পূৰ্ব্বোক্ত উচ্চ চীৎকারে কোন ফল হইবে না। এক দল লোক বরং নরহত্যা করিবে তাও সই, তবু তাহার নিজেদের বাঞ্ছিত প্রকারে গোবধ করিবেই, এই তাহাদের প্রতিজ্ঞা । আর এক দল মানুষ বরং নরহত্যা করিবে, তবু পূৰ্ব্বোক্ত দলের পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে গোবধ বন্ধ করা বিবিধ প্রসঙ্গ—হিন্দু-মুসলমানের মিলন S SAAAS AAAAAMMMMAAAS SAAAAAA AAAA AAAMMAAASS SSAAAS ዓ»ፃ SSAS SSAS SSAS SAAA AAAASAAAAMMMASAMAMAMMMMMMAMS অধিকতর আরামদায়ক না হইয়া তাহাদের চাই-ই। এমন মুবুদ্ধি লোক যে-দেশে আছে, সে-দেশের বর্তমান মনিবর। লড-সভায় এবং আরো কত জায়গায় ত বলিবেই, যে, “আমরা ভারতবর্ষ হইতে চলিয়া আসিবামাত্র ভারতীয়েরা পরস্পরের টুটি চাপিয়া ধরিবে ।” স্বরাজ পাওয়া বাক্ বা না যাক, সব সম্প্রদায়ের মধ্যে সদ্ভাব চাই ; নতুবা কোন সম্প্রদায়েরই ধৰ্ম্ম, উন্নতি বা ঐশ্বৰ্য্যলাভ হইবে না ;—ঐশ্বৰ্য্যলাভ হইবে, সকল গোলামদলের মনিব ইংরেজদের । ধৰ্ম্মের কথা এখানে না তুলাই ভাল। কারণ ঝগড়ার মধ্যে সাত্বিকতার লেশমাত্র নাই । কেহ ঈশ্বরের নামে গোরু মারিয়া হখেল তাহার মাংস ভোজন করিলে কিছুমাত্রও ধৰ্ম্ম হয় না, অপর কেণ্ঠ ঈশ্বরের নামে ছাগল বলি দিয়া মুখে তাহার মাংস থাইলে তাহাতেও ধৰ্ম্ম হয় না । নিজের নিকৃষ্ট প্রবৃত্তিসমূহকে বলি দিয়া বা বশে রাখিয় জীবন যাপন করিলে তবে ধৰ্ম্ম হয় । ঈশ্বর কোন জঙ্কর মাংস বা কোন নির মিয নৈবেদ্য ভোজন করেন না। র্তাহার স্থষ্ট কোন জীবকে মারিয়| তাহাকে সস্তুষ্ট করিবার চেষ্টা অপেক্ষ ভ্রম অার নাচ । প্রাচীন ইহুদীদের ধৰ্ম্মে ও প্রাণী বলি দিবার ব্যবস্থ৷ আছে । ঐতিহাসিক জোসেফাস লিখিয়াছেন, যে, এক বৎসর জেরুজালেমের মন্দিরে আড়াই লাখ মেষ বলি দেওয়ায় রক্তের স্রোত বহিয়াছিল । ইহা অত্যুক্তি হইতে পারে । কিন্তু বলিদান খুব বেশী হইত। ইহুদীরা এখন ৪ বলি দেয় কি না জানি না । কিন্তু তাহদের ধৰ্ম্ম হইতে উদ্ভূত খৃষ্টীয় ধৰ্ম্ম হইতে ঈশ্বরের নামে প্রাণী বলি দেওয়া উঠিয়; গিয়াছে । জ্ঞানবিস্তার ও ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে উচ্চতর আদর্শের উপলব্ধি সহকারে অন্যান্য ধৰ্ম্ম হইতেও জীব হত্য। দ্বারা ঈশ্বরকে সস্তুষ্ট করিবার ইচ্ছা উঠিয়া যাইবে । আমরা কাহারও ক্রিয়াকলাপে বাধা দিতে চাই না । মুসলমানরা যত ইচ্ছা গো-বধ করুন ; যখন ইহার অনিষ্টকারিতা বুঝিবেন, তখন ছাড়িয় দিবেন। আমরা র্তাহাদের মসজিদের সম্মুখে কোন বাদ্য বাজাঙ্গতে, গান গাহিতে বা টুশব্দও করিতে চাই না। কিন্তু তাহারাই ভাবিয়া দেখুন, যে, মোটরের ভেপু, ট্রামের ঘর্ঘর শব্দ, মহরমের ঢাক ইত্যাদিতে যদি মসজিদের কোন ক্ষতি না হয়, তাহা হইলে অন্ত রকম গোলমালের জন্যই বা উত্তেজিত হইয়া সাংঘাতিক মারপিট করা অনিবাৰ্য্য কি ন । হিন্দুদের মধ্যে একদল লোক আছেন, র্যাহার স্বরাজ মানে এখনও হিন্দুস্বরাজ বুঝেন। আবার মুসলমানদের মধ্যেও বিস্তর লোকের আচরণে এই মনের ভাবই প্রকাশ পায়, যেন স্বরাজ পাওয়া ও ভারতবর্ষকে স্বাধীন করা বিশেষভাবে হিন্দুদেরই পিতৃমাতৃদায় । ইহার কোনটাই
