পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՖԵ - *-*----------. -- - ---- ------ সত্য নয়। ভারতবর্ষের প্রত্যেক ছোট বড় সম্প্রদায়ের লোক মনুষ্যত্ব লাভ করিয়া দেশের কাজ চালাইতে সমর্থ হইলে তাহার নাম হইবে স্বরাজ ! ধৰ্ম্মসম্প্রদায় অনুসারে কোন ভাগাভাগি তাহাতে থাকিতে পারে না । কোন সময়ে এক সম্প্রদায়ের লোকের মধ্যে খুব যোগ্য লোক বেশী থাকিতে পারে, অন্ত সময় অন্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগ্য লোক বেশী থাকিতে পারে। মুসলমান সম্প্রদায়ের অনেক লোক যদি মনে করেন, যে র্তাহাদিগকে সৰ্ব্বপ্রকারে খুলী না করিলে তাঙ্গর স্বরাজ হওয়ায় মত দিবেন না, এবং তাহ হইলে স্বরাজ ও -হুইবে না, অতএব হিন্দুরা র্তাহাদের সব দাবীতে সম্মত হইতে বাধ্য, তাহা হইলে ইহা তাহাদের ভ্ৰম । ধৰ্ম্মসম্প্রদায় নিৰ্ব্বিশেষে ভারতীয় অনেক লোকের মধ্যে স্বাধীনতাপূহ ও শক্তি যখন জাগিবে, তখন কেহ তাহাদের চেষ্টায় বাধা দিতে পরিবে না। সামান্য দুএকট। দুষ্টান্ত লউন । লর্ড মিণ্টোর আমলে যে ভারতশাসনসংস্কার হইয়াছিল, তাহ স্বরাজ মঙ্কে, কিন্তু সামান্য প্রগতি বটে। তাহা ঘটিয়াছিল প্রধানতঃ হিন্দুদের চেষ্টায় ও আন্দোলনে। মুসলমানেরা তখন হিন্দুদের আন্দোলনে কচিৎ যোগ দিতেন । যখন মিণ্টে দেখিলেন, হিন্দুদিগকে কিছু একটা ন দিলে চলে না, তপন তিনিই গোপন আহবানে মুসলমানদের প্রতিনিধিদিগকে নিজের নিকটে হাজির করাষ্টয়া সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধিত্বরূপ অনর্থ ঘটাইলেন। ইহা মলীর জীবন-স্মৃতিতে আছে, এবং মৌলানা মহম্মদ আলী তাঙ্গর অভিভাষণে স্বীকার করিয়াছেন। আবার যথন মণ্টেগুচেমসফোর্ড সংস্কার হইল, তাহাও প্রধানতঃ হিন্দুদের আন্দোলনে ও অন্ত নানাবিধ কারণে যাহার মূলে প্রধানত: হিন্দুর ছিল । কিন্তু ভাগ মুসলমানেরাও পাইলেন । সেইরূপ ভবিষ্যতে প্রকৃত রাষ্ট্ৰীয় অধিকার প্রধানতঃ কোন এক সম্প্রদায়ের চেষ্টাতেই ভারতীয়েরা পাইতে পারে, যদিও তাহার লাভটা সকল সম্প্রদায়ের লোকেরাই পাইবেন। ভারতবর্ষের অতীত ইতিহাসে মুসলমানদের বাধ। সত্ত্বেও ভারতবর্ষের কোন কোন অংশ আত্মকত্ত্বত্ব লাভ করিয়াছিল। অতীতে যাহু যুদ্ধের দ্বারা ঘটিয়াছিল, এবং ভারতবর্ষের কোন কোন অংশে ঘটিয়াছিল, বৰ্ত্তমানে তাহা সমগ্র ভারতে বিনা যুদ্ধে, এবং তৃতীয় পক্ষ ইংরেজের বাধা সত্ত্বেও, ঘটাইতে হইবে । এইজন্য এই কঠিন কধ্যে সকল সম্পদায়ের লোকের আস্তরিক যোগ ও সমবেত চেষ্টা চাই । কিন্তু যদি কোন সম্প্রদায় সংকীর্ণ স্বার্থৰুদ্ধি-বশত: মনে করেন, যে, তাহীদের বিশেষ সুবিধা না হইলে বরং তাহারা ইংরেজের গোলাম থাকিবেন, তথাপি অন্য সব ভারতীয়ের স্বাধীনতা-প্রচেষ্টায় যোগ প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩১ - ہی مہ۔--س ۔ سہیہ پسمع-حص-ع [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড দিবেন না, তাহা হইলে অনিচ্ছাসত্ত্বেও বলিতে হইবে, যে, তাহা তাহাদের ভ্রম । ভারতবর্ষ স্বাধীন হহবেই, ইহ কেহ আট কাইয়া রাখিতে পারিবে না। অবশু সকলে যোগ দিলে যত সহজে হইত, তত সহজে হইবে না, এই প্রভেদ আছে। তাহা সত্বেও লক্ষ্যের অভিমুখে অগ্রসর হইতে হইবে । যিনি ইহাতে যোগ দিবেন না, তিনি নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হইবেন, পশ্চাতে পড়িয়া থাকিবেন। বিপ্লবের ভুলমন্ত্র . " আজকাল দেখা যাইতেছে, যে, সকল বিষয়েই ভারতবর্ম খুব দ্রুতগতিতে পাশ্চাত্য সভ্যতা ও তাহার শাখাপ্রশাখার মধ্যে জড়িত হইয়া পড়িতেছে । যুদিও সৰ্ব্বক্ষেত্রে ভারতীয় স্বীকার করিতে চায় না, যে, সে পাশ্চাত্যের অনুকরণ করিতেছে, তবুও তার স্বাদেশিকতার পাতলা ওড়নার ভিতর দিয়া অতি অল্প আয়াসেই, সে যে হাটুকোটপরিহিত, এটা ধরা পড়িয়া যায়। পাশ্চাত্য । দর্শনেৰ মাথায় পাগড়ি বাধিয়া তাহাকে বেদান্ত বলিয়া চালান যায় বটে ; তবে কতক্ষণ এবং কাহাব নিকট, তাহা না বলাই ভাল। প্রশ্ন উঠিতে পারে, “পাশ্চাত্য সত্য ও সত্য ভারতীয় সত্যও সত্য ; তবে কি পরিয়া বলি, যে, ভারতীয় পাশ্চাত্যকে অন্তকরণ করিয়াই সে মতো উপনীত হইয়াছে ? সে অনায়াসেই আপনা হইতেই ত তাই আবিষ্কার করিতে পারে ?” উত্তম কথা ; কিন্তু যদি দেখা যায়, যে, আবিষ্কারটা একটা মারাত্মক রকম অসত্য অর্থাৎ ভুল এবং ভুলটা একই প্রকার কোন একটা উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্ত একই ভাবে প্রাচ্যে ও পাশ্চাত্যে ব্যবহৃত হইতেছে ও পাশ্চাত্যে সেই ভুলটা প্রথম যখন করা হইয়াছিল তখনকার কাল হইতে আজ অবধি নিত্য নব আবিষ্কৃত সত্যকে অবহেলা করিয়াও তাহাকে দাড় করাইয়া রাখা হইয়াছে—উদ্দেশ্য-সিদ্ধির খাতিরে ; তাহ হইলে বলিতে ইচ্ছা করে, যে, ভুলট উভয় ক্ষেত্রে একই হওয়ার কারণ ঘটনাচক্র নয়, তাহা অনুকরণ করা এবং তাহার মূলে উদেশ্ব সিদ্ধি। আজ বহুকাল ধরিয়া পাশ্চাত্যে ধনিক ও শ্রমিকে লড়াই বাধিয়াছে। প্রথমে ধনিক যথার্থই শ্রমিকের উপর অত্যাচার করিত, তাহার ক্ষুধার অন্ন কাড়িয়া ও তাহার শীতবস্ত্রের উপর হস্তক্ষেপ করিয়া মুখারোহণে শৃগাল তাড়াইয়া কুমুকের ফসলের সর্বনাশ সাধন করিয়া বেড়াইত । কিন্তু আজ আর সে দিন নাই। ক্রমাগত ংঘবদ্ধ হইয়া বিবাদ করিয়া শ্রমিক তার নিজস্ব প্রায় সবটাই পাইয়াছে এবং শীঘ্রই সবটাই পাইবে, এরূপ আশা করা যায়। এই ঝগড়া-বিবাদের জের এখনও চলিতেছে এবং