পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२२ অবগত আছেন । তাহার নিকট গমন করা যাউক ৷” তৎপরে তঁাহার উদ্ধালকের নিকট উপস্থিত হইলেন ( צצו 4 :tש ) এস্থলে বৈশ্বানর শব্দের ব্যাখ্যা কর। আবখ্যক । বিশ্ব এবং নর এই দুইটি শব হইতে বৈশ্বানরের উৎপত্তি। বিশ্ব = সমুদায়, নর = মানব । 'নর' নুধাতু হইতেও হইতে পারে । তাহা হইলে নর = নেত।। বৈশ্বানরের অনেক অর্থ করা হইয়াছে । তাহার মধ্যে কয়েকটি এই– ১ ) যিনি সমুদয় নরের মধ্যে বৰ্ত্তমান ; ( 2 ) যিনি সকলের নেতা ; (৩) যিনি সমুদায় নরের হিতকর ; ( s ) সমুদয় মানব যাহার । উদালক এই বৈশ্বানর-আত্মার বিষয় জানিবার জন্য সেই পঞ্চ ব্রাহ্মণ উদালক সমীপে উপস্থিত হইয়। জ্ঞাতব্য বিষয় উত্থাপন করিলেন । উদালক তখন চিন্তা করিতে লাগিলেন –“এষ্ট-সমুদায় মঙ্গগুহস্থ ও মহা-শ্রোত্রিয় আমাকে প্রশ্ন করিবেন । সম্ভবতঃ আমি সমুদয় প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিব না । সুতরাং ইতাদিগকে অন্য উপদেষ্টার কথা বলিয়া দিই ।” এই স্থির করিয়া তিনি তাহাদিগকে বলিলেন--“হে ভগবদগণ, সম্প্রতি অশ্বপতি কৈকেয় এই বৈশ্বানর-আত্মাকে অবগত আছেন । র্তাহার নিকট গমন করা যাউকু יין অশ্বপতি-সমীপে অনন্তর ছয়জনই অশ্বপতির সন্নিধানে উপস্থিত শুইলেন । রাজা যথাবিধি তাহাদিগের অভ্যর্থনা করিলেন । তখন র্তাহাব রাজাকে বলিলেন কেন তাহারা সমাগত হইয়াছেন । স্থিরীকৃত হইল, পরদিন পূৰ্ব্বাহ্লে রাজা তাহাদিগের প্রশ্নের উত্তর দিবেন। তাহারা ছয়জন যথাসময়ে সমিংপাণি হইয়া পুনরায় উপস্থিত হইলেন । কিন্তু র। জ। তাহাদিগকে উপনীত না করিয়াই উপদেশ প্রদান করিলেন । প্রাচীন শাল ঔপমন্তব অশ্বপতি প্রাচীন শালকে সম্বোধন করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন—“হে ঔপমন্তব ! তুমি কাহাকে আত্ম-রূপে উপাসনা কর ?” : [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড ঔপমন্তব বলিলেন—“হে ভগবন! রাজন ! আমি দেীকেই আত্মা বলিয়া উপাসনা করি ।” অশ্বপতি বলিলেন—“তুমি যাহাকে আত্মা বলিয়া উপাসনা কর, ইনি নিশ্চয়ই শ্রেষ্ঠ তেজসম্পন্ন বৈশ্বানরআত্মা । এইজন্য তোমার কুলে স্থত, প্রস্বত ও আস্থত ( নামক সোমরস ) দৃষ্ট হয়। ... যিনি এইরূপ বৈশ্বানরআত্মাকে উপাসনা করেন, তিনি অন্ন ভোজন করেন, তিনি প্রিয়জন দশন করেন এবং তাহার কুলে ব্রহ্মবর্চস বর্তমান থাকে । কিন্তু এই দেী আত্মার মূদ্ধা মাত্র । (৫।১২) । সত্যযজ্ঞ পৌলুষি ইঙ্গার পরে অশ্বপতি সত্যযজ্ঞকে ‘আত্মা’ বিষয়ে পূৰ্ব্বোক্ত প্রশ্নই করিয়াছিলেন । সত্যযজ্ঞ বলিলেন—“তে ভগবন ! হে রাজন্‌ ! আদিত্যকেই আত্মরূপে উপাসনা করি ।” রাজা বলিলেন “তুমি র্যাঙ্গর উপাসনা কর, তিনি বিশ্বরূপ নামক বৈশ্বানর-আত্মা । সেই-জন্ত তোমার কুলে ‘বিশ্বরূপ ধন, দুষ্ট হয় ...কিন্তু এই আদিত আত্মার চক্ষু মাত্র ” (৫।১৩) ইন্দ্রছ্যম ভাল্লবেয় রাজার সেই প্রশ্নের উত্তরে ইন্দ্ৰদ্যুম্ন বলিলেন ভগবন্‌ ! হে রাজন ! বায়ুকেই আমি আত্মরূপে উপাসনা করি ।” অশ্বপতি বলিলেন—-“তুমি যাহার উপাসনা কর, তিনি পৃথক্ বক্তৃর্ণ-নামক বৈশ্বানর আত্মা । সেই-জন্ত পৃথক পৃথক বলি তোমার নিকট উপস্থিত হয় এবং পৃথক পৃথক রথশ্রেণী তোমার অনুগমন করে । ... কিন্তু এই বায়ু আত্মার প্রাণ মাত্ৰ ’' (৫।১৪) জন শার্করাক্ষ রাজার প্রশ্নের উত্তরে 'জন’ বলিলেন—“হে ভগবন ! হে রাজন! আকাশকেই আমি আত্বী বলিয়া উপাসনা করি ।” রাজা বলিলেন -“তুমি যাহাকে বৈশ্বানর-আত্মা বলিয়া উপাসনা কর, তিনি বহুল’-নামক বৈশ্বানর “ça;