পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২৬ সৰ্ব্বভূত ও সৰ্ব্ব-আত্মা—এই তিনটিকেই বুঝিতে হইবে। সৰ্ব্ব আত্মা প্রদেশের বাহিরে, এ-প্রকার আশঙ্কা করিবার কোন কারণ নাই। এস্থলে "আত্মা’ অর্থ অবশ্যই অশরীর আত্মা নহে । যখন অন্ন ভোজনের কথা আছে, তখন বুঝিতে হইবে এ আত্মা সশরীর আত্মা । সুতরাং aাদেশ মাত্র দ্বারা সৰ্ব্বলোক, সৰ্ব্বভূত ও সৰ্ব্ব-আত্মী કરું তিনটিকেই বুঝাইতে পারে।

  • (*)

অভিবিমান-অভি+বি+বাণ মন ; ম। ধাতুর অর্থ পরিমাণ করা । যাহার পরিমাণ নাই, তাহার নাম ‘অভিবিমান' (শঙ্করের তৃতীয় অর্থ দ্রষ্টব্য )। রামানুজ ‘অভিব্যাপ্ত’ অর্থে “অভি’ এবং অপরিমেয় অর্থে বিমান গ্রহণ করিয়াছেন । রামানুজের অর্থ ও শঙ্করের তৃতীয় অর্থ একই শ্রেণীর । (ক) এবং (খ) প্রাদেশমাত্র বলিলে বৈশ্বানরকে দেশকাল-পরিচ্ছিন্ন করা হয় ; এই-জন্য ‘প্লাদেশমাত্র বলিয়াই সেই সঙ্গে সঙ্গে বলা হইল ইনি অভিবিমান অর্থাৎ অপরিমের ( কিংবা সৰ্ব্বব্যাপী ও অপরিমেয় ) । ‘প্রাদেশ মাত্র দ্বারা বলা হইল বৈশ্বানর-আত্মা জগৎরূপে প্রকাশিত : ‘অভিবিমান দ্বাবা বল শুইল জগৎ প্রবাসী—আশ্বিন, ^రిO) [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড দ্বারা তাহার পরিমাণ করা যায় না, তিনি জগতের অতীত।" সামঞ্জস্ত্য সৰ্ব্বলোক, সৰ্ব্বভূত ও সৰ্ব্ব-আত্মা এই তিনটির সঙ্গে কিভাবে ‘প্রাদেশ মাত্র এবং “অভিবিমান এই দুইটির সংযোগ করিতে হইবে; সে বিষয়ে মত-ভেদ থাকিতে পারে, কিন্তু একটা স্থলে মত-ভেদ নাই । তাহা এই :- পরমাত্মা ‘প্রাদেশ মাত্র ও “অভিবিমান” । সৰ্ব্বলোক, সৰ্ব্বভূত ও সৰ্ব্ব-আত্মা তাহার অঙ্গীভূত ; তিনি জগৎরূপে প্রকাশিত : কিন্তু জগৎ দ্বারা তাহাকে সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশ করা বা পরিমাণ করা যায় না। তিনি অপরিমেয়, তিনি অভিবিমান । যাজ্ঞবল্ক্য ও অশ্বপতি যাজ্ঞবল্ক্যও অদ্বৈতবাদী এবং অশ্বপতিও অদ্বৈতবাদী। কিন্তু উভয়ের অদ্বৈতবাদ এক শ্রেণীর অদ্বৈতবাদ নহে । যাজ্ঞবল্ক্যের অদ্বৈতবাদে জগতের স্থান নাই ; তাহার ব্ৰহ্ম অন্তর্বাহ রহিত ইহার অভ্যস্তরেও কিছু নাই, বাহিরেও কিছু নাই । কিন্তু অশ্বপতির অদ্বৈতবাদে জগতের একটি বিশেষ স্থান আছে । যাহ! কিছু আছে, সমুদয়ই ব্রহ্মের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ; ব্রহ্ম জগৎ-বিশিষ্ট । জগং ব্রহ্মের বিশেষণ । বৰ্ত্তমান যুগে অনেকেই এইপ্রকার করিবেন । মতের অাদর ফ্যাসিষ্ট আন্দোলন-সম্বন্ধে দু-একটা কথা শ্ৰী ফণীন্দ্রকুমার সান্যাল আজ জগতের লোক ছুটে পরস্পরবিরোধী আন্দোলনের দিকে চেয়ে আছে দেখ বার জন্যে যে শেষ পৰ্য্যস্ত তাদের মধ্যে কোনটা সত্যই জয়ী হয়। মানুষের চিরপুরাতন সামাজিক বিধিব্যবস্থার চাপে মাতুয এত অস্থির হয়ে উঠেছিল যে সে তার সমস্ত মন-প্রাণ দিয়ে চাচ্ছিল একটা বিরাটু পরিবর্তন । যা কিছু পুরাতন সেসমস্ত ভেঙে দিয়ে সে চাচ্ছিল নতুন করে সত্যিকার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করতে । এর ফলে জেগে উঠল রুশিয়ার ভীষণ বিপ্লব । ঘে ঘনান্ধকার রুশিয়ার ভাগ্যাকাশ ধীরে ধীরে ছেয়ে ফেলছিল সে অন্ধকার দূর,কবৃবার জন্যে বদ্ধপরিকর হয়ে কৰ্ম্মবীর লেনিন তাকে যে নতুন আলোকু দান করেছিলেন সে আলোকের ঔজ্জল্যে সমস্ত জগৎ চমকিত হয়ে গিয়েছিল আর তার উত্তাপ সকলের পক্ষেই ভয়ানক অসহ হ’য়ে উঠেছিল । কিন্তু প্রথমটা অসহনীয় হলেও রুশিয়া তার শ্রেষ্ঠ