পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] সস্তানের দান আজ আদর করে’ গ্রহণ করেছে। অদ্ভুতকৰ্ম্ম লেনিন আজ আর নেই । তিনি যে যজ্ঞ আরম্ভ করেছিলেন তাতে র্তার নিজের জীবনকে আহুতি দিয়ে রুশিয়ায় নবজীবনের সঞ্চার করে গেছেন । জগতের লোক তাই চে' আছে দেখবার জন্যে যে রুশিয়া কিভাবে তার নতুন জীবন যাপন করে । আর একদিকে আর-এক কৰ্ম্মবীরের অভু্যখান হয়েছে। তিনি মুসোলিনি ; বর্তমান ইতালীর মন্ত্র গুরু । যেমন্ত্রের সাধনা কবৃতে ইতালীকে তিনি আহবান করেছেন জগতের চিন্তারাজ্যে তা সম্পূর্ণ নতুন না হ’লেও বর্তমান চিন্তাম্রোতের বিরুদ্ধগামী সে-মন্ত্র । এ-মন্ত্র সাধন ইতালীকে সিদ্ধির পথে কতখানি এগিয়ে দেয় তা বিশেষভাবে লক্ষ্য করুবার । বিগত যুদ্ধের বহুপূর্ব থেকেই ইতালীতে সোস্যালিষ্ট, দল গড়ে উঠছিল । কিন্তু তখনকার শাসনপদ্ধতির সঙ্গে তাদের অন্তরের যোগ না থাকলেও সে পদ্ধতির সমূল উচ্ছেদ করতে তার চাইত না । তার চাইত যাতে ধীরে ধীরে কতকগুলো ব্যক্তিবিশেষের সম্পত্তি সাধারণের সম্পত্তি বলে’ পরিগণিত হয় এবং রাষ্ট্রশক্তি ধীরে ধীরে ব্যক্তিবিশেষের হাত থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য কেড়ে নিয়ে জনসাধারণের জন্যে সেগুলো চালায় । কিন্তু যখন সমস্ত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে’ বলশেভিক্বাদ রুশিয়ায় জয়ী হ’য়ে দাড়াল, তখন জগতের সমস্ত সোখালিষ্ট দলের মধ্যে একট। চাঞ্চল্য এসে উপস্থিত হ’ল । বলশেভিকৃদের আদর্শ ছিল সমস্ত জগতে একটা বিরাট বিপ্লব স্বষ্টি করবে, সেই আদশে অনুপ্রাণিত হ’য়ে বলশেভিক নেতারা সমস্ত জায়গায়ু তাদের দূত পাঠিয়েছিলেন । ইতালীতেও এ-আন্দোলন প্রবলভাবে চালাবার চেষ্টা তারা করেছিলেন । যুদ্ধের ফলে যেসমস্ত দেশ ধ্বংস যেতে বসেছিল, জীবনধারণ মাত্রও যেসব দেশে একটা মহা সমস্যার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছিল, বলশেভিকুবাদ সেখানে সহজেই জনসাধারণের প্রাণে আশার সঞ্চার করে। সেজন্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইতালীতে প্রচারের কাজ জোর চলে । ফলে সেখানে প্রবলভাবে ধৰ্ম্মঘট আরম্ভ হয় এবং সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য একরকম বন্ধ হ’য়ে যায় । তার পর অরাজকতা প্রভৃতি থেকে যে অবস্থা ফ্যাসিষ্ট আন্দোলন-সম্বন্ধে দু-একটা কথা १२१ AAA AAAS SAAAAA AAAAMMS MAMAAA AAAASASASS - -- --س- --. -. দাড়ায় তাতে তখনকার মন্ত্রী সিনিয়র নিটি মন্ত্ৰীসভা ভেঙ্গে দিয়ে তার মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করতে বাধ্য হন। রাজা ভিক্টর ইমাহুয়েল গাওলিটিকে ডেকে নতুন মন্ত্রী সভা গড়তে বলেন। কিন্তু এ মন্ত্রীসভাও বেশী কিছু করে উঠতে পারেননি । এমন সময় মুসোলিনির আবির্ভাব হ’ল । তিনি পূৰ্ব্বে সোঙ্গালিষ্ট দলভূক্ত ছিলেন ; কিন্তু রুশিয়ার অবস্থা দেখে তিনি তার আদশ পরিবর্তন করেন । তিনি তখন ফ্যাপিষ্ট (Fascist) নাম দিয়ে একটা দল গঠন করতে আরম্ভ করলেন এদের প্রধান উদেখা হ’ল বলশেভিক্বাদকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া এবং ইতালীর পুরাতন নষ্টগৌরব আবার ফিরিয়ে আনা । এরা সোশালিজম থেকে দু’একটা ভাল আদর্শ নিলেন বটে ; কিন্তু রীতিমত অস্ত্রশস্ব সাঙ্গধ্যে যুদ্ধ করে’ সোশ্বালিজমকে দূর করে দিতে এর বদ্ধপরিকর হলেন । এইভাবে যে বল গড়ে’ উঠল তাদের নাম হ’ল ফ্যাসিষ্ট সেনাবাহিনী বা Fascist fighting corps ফ্যাসিষ্ট শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থে বোঝায় ব্যাণ্ডেজ বা বন্ধনী । ক্ষত বা আঙ্গত স্থান নীরোগ করবার জন্যেই এ বন্ধনীর প্রয়োজন । বলশেভিক্বাদ প্রচারের ফলে ইতালীর বুকে ভীষণ ক্ষত দেখা গেল এবং তা সারাবার জন্যে এই দল গঠিত হয়েছিল বলেই সেই দলকে ফ্যাসিষ্ট নামে অভিহিত করা হয় । মুসোলিনির দলগঠনের অদ্ভুতশক্তি ও অসাধারণ ব্যক্তিত্বের জোরে তিনি ক্রমশই তার দল বাড়িয়ে তুলতে আরম্ভ করলেন । প্রতিদিন দলে দলে লোক এসে তার দলে যোগদান করতে লাগল। তার পর সোঙ্গালিষ্ট দলের সঙ্গে তাদের প্রবল সংঘৰ্ম আরম্ভ হয় । সমস্ত ইতালী অন্তযুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত হয়ে উঠে। অবশেষে ফ্যাসিষ্ট দল যুদ্ধে সোখালিষ্টদের সম্পূর্ণরূপে পরাজিত করে । বিধ্বস্ত সোখালিষ্টর দলে দলে এসে ফ্যাসিষ্ট দলে যোগদান করতে আরম্ভ করে। কেবল মাত্র পশুশক্তির সাহায্যেই ফ্যাসিষ্ট দলের জন্ম হয়। eqÊ HƯƠ Henry Tompkins Rīgas sFH BFH Glos-F মুসোলিনিকে *GICE: “a renegade socialist who achioved power by means of what, in essence was an army of Condottieri”. ( “Humanity”, April, 1924 )