পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧રક્ત ংগ্রেসের অধিবেশন মুসোলিনি সিনিয়র গাওলিটির মন্ত্রীসভার বিরুদ্ধে তীব্র মন্তব্য প্রকাশ করেন এবং এ মন্ত্ৰীসভা ভেঙে দেবার প্রস্তাব করেন । অবস্থার গুরুত্ব-বোধে গাওলিটি মন্ত্রীসভা ভেঙে দিতে বাধ্য হন এবং রাজা ইমাহুয়েল মুসোলিনিকে ডেকে মন্ত্রীসভা গঠন করতে অনুরোধ করেন। এইভাবে ফ্যামিষ্ট দল গঠন করে মুসোলিনি আজ সমস্ত ইতালীর ভাগ্যনিয়ন্ত হয়ে দাড়িয়েছেন। মুসোলিনির মত সোশালিষ্ট মতবাদের একরকম সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে । তিনি ধনী ও শ্রমজীবীর মধ্যে পার্থক্য সম্পূর্ণ দূর করে দিতে চান না, তবে তাদের পরস্পরের সম্বন্ধ যাতে মধুর হয় তার ব্যবস্থা তিনি করতে প্রস্তুত । ব্যবসা বাণিজ্য ব্যক্তিবিশেষের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে সমস্ত জনসাধারণের জন্তে রাষ্ট্রশক্তির দ্বারা চালিত কর। তার মত নয়। পরস্তু বর্তমানে ইতালীতে যেসমস্ত বিষয় এইভাবে জনসাধারণের সম্পত্তি হিসাবে রাষ্ট্রশক্তির দ্বারা পরিচালিত হয় তিনি সে-সমস্ত ধীরে ধীরে পুনরায় ব্যক্তিবিশেষের হাতে সমর্পণ করবেন বলে মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। সোঙ্গালিষ্টদের স্যায় ব্যক্তিবিশেষের সম্পত্তি নষ্ট ক’রে তাকে সাধারণের সম্পত্তিতে পরিণত করা তার মত নয় । షో জনগণের বিভিন্ন শ্রেণীবিভাগ তিনি দূর করে দিতে চান না। দেশের আভিজাত্যকে নষ্ট করে দিতে বা নাগরিক ও গ্রাম্য ঝুম্প্রদায়েয় প্রভেদকে দূর করে দিতে তিনি প্রস্তুত নন। এককথায় সামাজিক বৈষম্যকে দূর করে একীকরণ র্তার মত নয়। এমন কি যারা এই একীকরণপ্রয়াসী তাদের দমন করতে পশুশক্তি ব্যবহার করতে তিনি সৰ্ব্বদাই প্রস্তুত । বৈষম্যকে বজায় রেখে বৈষমোর কঠোরতা ও অত্যাচার দূর করা হচ্ছে তার মত। এইজন্তে পূর্ণগণতন্ত্রের তিনি পক্ষপাতী নন । রাষ্ট্রশক্তি জনসাধারণের হাতে নিহিত করা তিনি অন্যায় মনে করেন এবং প্রতিনিধিমূলক রাষ্ট্রশক্তির উপরই তার আস্থা দেখা যায়, কিন্তু এই প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষমতা তিনি সমগ্র জনসাধারণের মধ্যে পরিব্যাপ্ত করতে রাজি আছেন। দেশের culture (কালচার) যাতে বৃদ্ধি পায় তার আয়োজন প্রবাসী—আশ্বিন,• ১৩৩১ তার পর ১৯২১ সালে অক্টোবর মাসে ফ্যাসিষ্ট, [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড করতে তিনি প্রস্তুত। দেশে স্বকুমার শিল্প, কল, সাহিত্য প্রভৃতির উন্নতির তিনি বিশেষ পক্ষপাতী এবং তার বিশ্বাস বৈষম্য না থাকৃলে culture বাড়বে না আর culture-বিহীন একীকরণ কঠোর ও অন্যায় বৈষম্যেরই রূপান্তরমাত্র। যুদ্ধের প্রয়োজন তিনি স্বীকার করেন এবং যুদ্ধের জন্য সৰ্ব্বদা প্রস্তুত থাকাও বিশেষ প্রয়োজন মনে করেন । 驗 এই হচ্ছে ফ্যাসিইদলের মতবাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় । এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ-মতবাদ জগতে চলবে কি না। তাই সমস্ত জগৎ চেয়ে আছে এর পরিণাম দেখবার জন্তে । একথা অবশ্যই অস্বীকার করা যায় না ষে অনেক বড় কথা মুসোলিনির মতের মধ্যে নিহিত রয়েচে । ಇ আবার অনেক গলদও এর মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় । অবহু যতরকম মতবাদেরই স্বষ্টি হোক না কেন সবগুলোর ভিতরই যে পূর্ণ সত্য নিহিত আছে একথা কেউ বলবে না। কিন্তু প্রত্যেক মতবাদের মূলে থাকে একটা আদর্শ উপলব্ধি করবার চেষ্টা এবং সেই আদর্শ উপলব্ধি করতে যেপরিমাণে সে-মতবাদ সহায়তা করে সেই পরিমাণেই সে-মতবাদকে সত্য বলে মাহুষ মেনে নেবে। ফ্যাসিষ্ট মতবাদ কতখানি সত্য তা প্রমাণ হবে তা দিয়ে ইতালীর বর্তমান আদশ কতখানি উপলব্ধ হ’ল তাই দেখে । কিন্তু যেভাবে এআন্দোলন এখন চলছে তাতে অনেকের মনে অনেকরকম সন্দেহ হ’তে আরম্ভ করেছে । এসম্বন্ধে লিখেছেন তা বিশেষ ভাববার। তার লেখা থেকে কিছু অংশ নীচে উদ্ধৃত করেই এপ্রবন্ধ শেষ করব। তিনি লিখেছেন : তাহার এই আন্দোলনের মুলে যে দেশাত্মবোধককৰ্ত্তবাবুদ্ধির কতকগুলি স্বন্দর আদর্শ আছে, একথা স্বীকার করা যেতে পারে ; তিনি দৃঢ়চরিত্র এবং সামরিক শৃঙ্খলা রক্ষার দিকে লক্ষ্য রাখেন একথাও মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু মানুষ ষে গণতন্ত্রের ভারে ক্লাস্ত হ’য়ে পড়েছে এই কথাটা তিনি প্রমাণ করতে চান, ফ্যাসিষ্ট সৈন্যদলকে যতদিন খাড়া রাখা যায়, ততদিন মাহুষকে এবিষয়ে তার মতামত প্রকাশ করতে বাধা দিয়ে। অভিজাত-সম্প্রদায় Henry Tompkins &