পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] বিস্ফোরক ԳՀ:s . ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে জুয়া খেলে ধ্বংস পাওয়ার হাত থেকে প্রতিকূলতাকে তাহারা বিনা আপত্তিতে চলে যেতে তিনি রক্ষা করেন বটে কিন্তু সেই সঙ্গে তাহীদের • দেবে। - সোপ্তালিজম্ ও সোভিয়েটজমের হাত থেকে স্বরক্ষিত করে’ রাখবার দাবীও করেন । যাহারা সামাজিক ও আর্থিক স্বাধীনতা • স্পষ্টরূপে কামনা করে, তাহাদের বিরুদ্ধে তাহার একমাত্র অস্ত্র পাশব-শক্তি ন্যায় কি আইনের ধার তখন তিনি ধীরেন না। ইতালিয়ান মহাজনরা যতদিন তাহাকে, আশ্রয়স্থল বলে জানবে ততদিন পার্লামেণ্ট ও নিয়মতন্ত্রের প্রতি র্তাহার দক্ষিণ ইউরোপীয় প্রকৃতির এমন কতকগুলি বিশেষত্ব আছে যাহাতে এই কপট স্তিভ্যালরি ও মহাজনী সম্ভব হয়েছে ; কিন্তু সকলরকম বেদখলী ব্যাপারের মত ইহার শক্তিও নিরবচ্ছিন্ন নাটকীয় সাফল্যের উপর নির্ভর করে । এই শক্তির শেষ সীম৷ যে অতিক্রান্ত হয়েছে তাহার চিহ্ন ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে । ভিতরের দলাদলি ও বাহিরের অবিশ্বাস মুসোলিনির শক্তির মূলক্ষয় স্বরু করেছে। " _ বিস্ফোরক শ্ৰী যোগেন্দ্রমোহন সাহ মানুষ দিন-দিন দৈহিক হিসাবে যতই দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িতেছে ততই তাহাকে সেই শক্তি-হীনতার ক্ষতিপুরণের জন্য কৃত্রিম শক্তি-উৎসের সন্ধানে ঘুরিয়া বেড়াইতে হইতেছে । সেই সন্ধানের সফলতার মধ্যে বিস্ফোরক-আদির উদ্ভাবন প্রধান । কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই সাধনার ফল মানুষের কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণেই বেশী নিয়োজিত হইয়াছে। সেকালে রসায়ন শাস্ত্র যখন শিশু-দোলায় দোল থাইতেছে, তখন নেপোলিয়ান ১৫ বৎসরের যুদ্ধে মোটে দশ লক্ষ লোকের প্রাণ-নাশ করিয়াছিলেন । আর একালে রসায়ন উদাম যৌবনে ১৫ মাসের চেয়েও কম সময়ের ভিতর প্রায় বিশ লক্ষ নর নারীকে নিহত করিয়াছে । আর এই দুইয়ের পার্থক্য স্বষ্টি করিয়াছে রাসায়নিকের সাধনা এবং তাহার বিস্ফোরক-আদি । 姆 বৰ্ত্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ-বিশেষত: রসায়নের। এই যে সেদিন পশ্চিমে এত বড় যুদ্ধটা হইয়া গেল, তার মূলে কি মানুষের দৈহিক শক্তি ছিল, না সেনাবল ছিল ? সে শক্তি-উৎস হইতেছে রাসায়নিকের ল্যাবোরেটরি বা র্তার টেই টিউব । س-سسه لاج “The —তরোয়ালের চেয়ে কলম জোরাল—সে কথাটি এযুগে আর থাটে না । মার্টিন সত্যই বলিয়াছেন—the balance and test tube of the chemist is mightier than the othor – রাসায়নিকের নিক্তি আর পরপ-নল সবাব চেয়ে শক্তিমান ! বিস্ফোরক মানে কি ? যে-কোনও বস্তু সহসা অত্যধিক-পরিমাণে সম্প্রসারিত হয় ও তাহার ফলে প্রচণ্ড শক্তির স্বষ্টি করে, তাহাকেই বিস্ফোরক (explosive) বলা যায়। আপনারা হয়ত শুনিয়া বিস্মিত হইবেন যে, জলের ন্যায় এমন অনপকারক বস্তুও অবস্থা-বিশেষে সাংঘাতিক বিস্ফোরকের ন্যায় আচরণ করে । পৃথিবীর বুকের ভিতর অইনিশি আগুন জলিতেছে । যখন উপরকার জল মাটির স্তর ভেদ করিয়া কোনওক্রমে সেই মধ্যেকার প্রজলিত ধাতু গন্ধক প্রভৃতি দ্রব্যের সংস্পর্শে আসে তখনই উহা বাম্পে পরিণত হয় ও উহার পরিমাণ হাজারহাজার গুণ বাড়িয়া যায়। এই সম্প্রসারণের ফলে যে দুঃসহ চাপের স্বষ্টি হয়, তাহ চারিদিক্কার pen is mightier thin the sword”