পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ) ' * স্বাত্য গড়ে নিয়েছে, যে সমগ্র জগতের যুগপৎ দৃষ্টি তার উপরে গিয়ে পড়েছে। তাঁর ভাণ্ডারের শ্রেষ্ঠ রন্থগু এখন নানা ভাষায় আহবাদিত হয়ে পৃথিবীর সীষা হতে সীমাস্তরে অরই জয় পতাকা বিজয়গঞ্চে ওড়াচ্ছে । তাই গোগোলের ‘মৃত-স্নাত্মা এখন আমাদের অবসর-সহচর হতে পেরেছে। স্বরে-বন্ধপদীর নিভৃত কোণে বসে তারই ফলে আজ আমরা, টুর্গেনিম্ভের উপন্যাস পড়ি— পুশকিনের কবিতা কথায় কথা ভাওড়াই-উইয়েভস্কির সাইবিরিয়ার নির্বাসন-কাহিনী পড়ে ভয়ে বিস্ময়ে অবাকৃ হয়ে থাকি। সেইজষ্ঠ গুৰি টলষ্টয়, আর জামাদের পর নন। উীর শক্তি ও সংগ্রাম পড়ে আজ আমরা মুগ্ধ হই, আর ‘আনা-কারেনিনা পড়ে তার প্রতিভার প্রশংসা আমাদের মুখে ধরে না। কিন্তু রুশ-সাহিত্যকে উন্নতির এই তুঙ্গগৃঙ্গে আরোহণ করাতে গিয়ে, মহিমাময় দেবীর মতন জগতের সামনে সাদরে তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে তার কত একনিষ্ঠ সাধক যে লাঞ্ছিত অবমানিত এমন কি প্রাণদণ্ডে পৰ্য্যন্ত দণ্ডিত হয়েছে, তার সংখ্যা নাই। রাজ-রোষ কল-সাহিত্যের স্বাধীনভাবে বেড়ে উঠবার পক্ষে ছিল মহা-অন্তরায়। রুশিয়ায় মুদ্রাষন্ত্রের স্বাধীনতা ছিল না, এখনও নাই। রাজশক্তির দারুণ অত্যাচারে—দুৰ্ব্বহ করভার কুমাগত বহন করতে কবৃতে জনসাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। লোকের মনে শান্তি ছিল না। সম্রাট বিছানায় গুঁয়ে বিদ্রোহের স্বপ্ন দেখতেন—ভাবী বিদ্রোহুের আশঙ্কায় প্রধান সেনাপতি নিয়ত সৈন্তসংখ্যা বাড়াতেন, আর সেই বিপুল বাহিনীর রসদ যোগাবার খরচ সংগ্ৰহ হ’ত প্রজাদের কাছ থেকে। দুর্ভিক্ষ অসন্তোষ এবং অরাজকতা cरुन মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করে রুশিয়ার বুকের উপর দিয়ে তাওব নৃত্য করে বেড়াচ্ছিল। দেশের এই অবস্থায় হঠাৎ কে কি লিখে একটা অযথা হাঙ্গায়ু, বাধিয়ে তোলে এই ভয়ে গভর্ণমেন্ট সৰ্ব্বদা কথাকতেন। সেন্সর (ধারা ছাপার আগে লেখা পরীক্ষা করেন ) বিশেষভাবে পরীক্ষা না করে সহসা কিছু ছাপাবার অনুমতি দিতেন না। কাৰাে লেখার yধ্য রাজত্রেীহের সামান্ত একটু গন্ধ পেলে রুশ-সাহিত্য · - ৭৫১ অথবা দেশের স্বয়বস্থার সামান্ত দুটাে-একটা বর্ণনা থাকলে তাকে সহজে নিষ্কৃতি দেওয়া হত না । তার লেখা ছাপাবার অনুমতি দেওয়াতে দুরের কথা, সেই দিনই তাকে সাইবিরিয়াক্ষরওন ছুওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়ে তবে শাসক-সম্প্রদায় নিশ্চিন্ত হতেন। ফলে লেখা-পড়ার আলোচনা দেশ থেকে একরকম উঠেই গিয়েছিল। প্রাণ খুলে স্বাধীন চিন্তা কারে প্রকাশ করার উপায় ছিল না । আড়ষ্ট ধরণের ক্ষম্বলিদার একটা সাহিত্যের নামমাত্র অস্তিত্ব ছিল বটে, কিন্তু কেউ তা পড়ে কখনও তৃপ্তিলাভ কবৃত না। দেশের ধনী এবং মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়েরও এবিষয়ে যথেষ্ঠ • ক্রটি ছিল । * সাহিত্যের উন্নতি-কল্পে কোনরকম চেষ্টা জ তারা করতেনই না, অধিকন্তু নিজের মাতৃ-ভাষাটাকেও অবজ্ঞার চক্ষে দেখতেন। খাটি রুশভাষা ছিল:ফুলী-মজুরদের ভাষা; রাজভাষা ছিল—ফরাসী । সম্রাটু সম্রাঙ্গী থেকে আরম্ভ করে মধ্যবিত্ত শিক্ষিত সম্প্রদায় পৰ্য্যস্ত—সকলেই ফরাসী ভাষায় কথাবার্তা বলতেন। রুশভাষা যে কখনো ভদ্রলোকের কথ্য, শ্রাব্য, লেখ্য এবং পাঠ্য ভাষা হতে পারে শিক্ষিত লোকেরা কেউ একথা মানতেন না। তারা ফরাসী ভাষাটা ভাল করে শিখতেন ; কেউ কেউ বা জার্শ্বাস্টাও, অতিরিক্ত পড়তেন। চিঠি-পত্ৰ লেখা, বক্তৃতা দেওঁয়, মাকে মাঝে এক-আধখানা বই-টই লেখা এসবই চলত ফরাসী ভাষায়। মাতৃভাষাটাকে দশজনে যেন হাতাহাতি করে একেবারে দেশ থেকে বিদায় করে দেবার জন্যে কোমর বেঁধে লেগেছিলেন। • * দীন ক্ষীণ উপেক্ষিত রুশভার যখন এইরকমভাবে নিজের বাসস্থলুপ্রবাসী হতীেতু ব্যাকুলটিতে সমাজের নিম্নস্তরে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল, তখন সেখান থেকে তাকে সৰ্ব্বপ্রথম উদ্ধারের চেষ্টা করেন সাইমন পোলোটোষ্ট্ৰী। ' এর বাড়ী ছিল কিভ (নগরে)। জার থিয়োডোরের গৃহশিক্ষক হ’য়ে ইনি মস্কোতে আসেন। রুশিয়ার মধ্যে মঙ্কো ছিল তখন শিক্ষার সর্বপ্রধান কেন্দ্র। মস্কোতে এসে পোলোটােক্টই প্রথমে ক্লশভাষায় পতু লেখার পথ দেখান । রুশভাষায় যে এমন স্বন্দর কবিতা লেথা যেতে পারে,আর সে কবিতাতেওযে অতি ಶಿಗ್ಗಿ! মাধুর্য্য থাকৃতে