পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ভাষায় বিদেশী বইয়ের অক্ষম অনুবাদ ; দ্বিতীয়তঃ যে গুলি ঠিক অনুবাদ নয় সেগুলির ভিতরেও বিদেশী ভাবের অপরিবর্তিত প্রচলন। এ-দুয়ের একটিও দেশের লোকে ঠিক নিজের জিনিষ বলে’ গ্রহণ করতে পাবৃছিল না। কারামূজিনের ইতিহাস এবং গ্রিয়বডভের নাটক অল্প দিনের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দেখে’ পুশকিন দেশের লোকের রুচি এবং অস্থবিধ শীগগিরই বুঝতে পেরেছিলেন। এর প্রতিবিধান-কল্পে তিনিই প্রথম সাহিত্যে সাধারণের কথিত ভাষা চালাতে আরম্ভ করলেন । অনুবাদও করতে লাগলেন বটে, কিন্তু সেট ভাষার না হ’য়ে হ’ল ভাবের । জনসাধারণ এইবার থেকে সাহিত্যের রসাস্বাদ ভালভাবে করতে শিখলে । রুশ-সাহিত্য ও নতুনভাবে নতুন পথে চলতে লাগল। ১৭৯৯ খৃষ্টাব্দে মস্কো নগরে পুশকিনের জন্ম হয়। ইনি প্রাথমিক শিক্ষা পেয়েছিলেন সেন্ট পিটাস বর্গের কাছে একট। ছোট সহরে । ছেলেবেলা থেকেই পুশকিনের কবিতার উপরে স্বাভাবিক ঝোক ছিল। স্কুলে পড়ার সময়ে অতি অল্প বয়সেই তিনি স্বকবি বলে’ থ্যাতি লাভ করেছিলেন । পুশকিনের প্রথম রচনাগুলি সবই ফরাসী ভাষায় । শেষে তিনি রুশ-ভাষায় লিখতে আরম্ভ করেছিলেন। সরকারী কাজের খাতিরে বহু দিন তাকে ককেশাস পৰ্ব্বতের উপরে এক গ্রামে বাস করতে হয়েছিল। অনেকে বলেন এখানকার অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই পুশকিনের স্বাভাবিক কবিত্ব-শক্তিকে বিশেষ ভাবে বিকশিত বরে’ তুলেছিল । এখানে থাকার সময়ে তিনি যতগুলি কবিতা লিখেছিলেন তার মধ্যে জিপসী জীন নামক একটি কবিতাই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট হয়েছিল। তার সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্যের নাম হচ্ছে ওলেজি সেক্সপিয়রের অন্থকরণে বারিসগোডোনোভ বলে একখানা ঐতিহাসিক নাটকও লিখেছিলেন ; কিন্তু সমজদারদের কাছে সেখানা তেমন প্রতিষ্ট লাভ করতে পারেনি । ৩৭ বৎসর বয়সে ঐলোক-ঘটিত একটা কুৎসিত ব্যাপারে মিন হত হন। • পুশকিন বড়দরের গীতিকাব্য-লেখক ছিলেন। মৌলিক রচনার ক্ষমতা অর্থাৎ ইংরেজীতে যাকে রুশ-সাহিত্য QVG creative genius Czı çiği Rifataz Eş কম ছিল বটে.; কিন্তু তার প্রতিভার অত্যাশ্চৰ্য্য বিশেষত্ব ছিল এই যে তিনি অপরের ভাব অতি সহজে আপনার করে নিয়ে নিজের স্বভাব-সিদ্ধ সরল ভাষায় স্বন্দর মৌলিকভাবে প্রকাশ করতে পারতেন। তাতে উচুদরের সাহিত্যের সরলতা এবং স্বাভাবিকতাe বেশ ফুটে উঠত। মাইকেল সেবুমনটভ এবং আলেক্সিস কেপ টু নামে আরো দুইজন লিরিক বা গীতিকাব্য-রচয়িতার নাম এখানে করা যেতে পারে। এ রাও স্বকবি ছিলেন, কিন্তু পুশকিনের যুগে জন্মেছিলেন বলে’ তথনকার শিক্ষিতসমাজে তেমন নাম করতে পারেননি। শেষে দেশের লোক এদের লেখার কদর বুঝেছিল। আমাদের সংস্কৃত কথা-সরিৎসাগর, হিতোপদেশ, পঞ্চতন্ত্র শ্রেণীর একখানা ভাল বই রুশ-সাহিত্যে আছে। এখানার লেখক হচ্ছেন ইভান, ক্রাইলভ, এ-বইখানার অৰ্দ্ধেকটা হচ্ছে ফরাসী লা ফান্তাজম্‌ ফাবল নামক বইএর অনুবাদ আর বাকী সমস্তটা তার নিজের লেখা । রুশ ভাষায় সমালোচনা সম্বন্ধীয় ভাল বই নেই বললেই চলে। যা বা দুই-একখানা আছে তাও বেশীর ভাগ গালিগালাজেই ভরা। তা পড়ে নতুন কিছু শেখার উপায় নেই। ইতিহাসের অভাব এখনও যায়নি। কারামজিনের মত ঐতিহাসিকের এখনও প্রয়োজন ठोUु । রুশিয়ার প্রথম নামজাদা ঔপন্যাসিক হচ্ছেন নিকোলাস গোগোল । ইনি ছিলেন জাস্তিতে কসাক । এর জন্ম ১৮০৯ খৃষ্টাব্দে—মৃত্যু ১৮৫২ সালে । গোগোল প্রথম-জীবলে গভর্ণমেণ্ট অফিসে কেরাণীগিরি করতেন। শেষে সেণ্ট পিটাস বর্গের বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের অধ্যাপক হয়েছিলেন । o ইনস্পেক্টর-জেনেরাল নামে একখানা হাস্যরসাত্মক নাটক লিখে গোগোল অসামান্ত যশ অর্জন করেছিলেন । ইউরোপের সকল দেশের নাট্যশালাতেই সেখানার অভিনয় হয়েছিল। তার সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস মৃত-আত্মা লিখেছিলেন রোঙ্গে। এ-বইখানা