পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্য। ] স্বদেশী-বাণী Գd:» কোথাও পড়িয়া যায় ! স্বক্লা আর ভাবিতে পারিল মা, মরীয়া হইয়া সে খাদের দিকে ছুটিল । খাদের মুখেই জনকতক সাওতাল যুবক জটলা করিতেছিল ; স্বকৃল। সেখানে পৌছিয়া উদ্বেগ-ব্যাকুল-কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল,-মাহিকে তুরা দেখেছিস্ ? সে খাদ হ’তে বারাইছে ? সকলেই মুখ-চাওয়াচাওয়ি করিতে লাগিল ; কারণ, তাহারা কেহই মাহিকে দেখে নাই। স্বক্লা অসহিষ্ণু হইয়া উঠিল। পাশেই বছর-পচিশের একটি সাওতাল যুবক দাড়াইয়াছিল ; তাহার কাধ ধরিয়া একটা প্রবল ঝাকানি দিয়া সে জিজ্ঞাসা করিল,—বল কেনে ; দেখেছিস নাকি ? সে মুখ কাচু-মাচু করিয়া জবাব দিল,—না, আমবাত আগেই....... دag তাহার সমস্ত কথা শুনিবার জন্ত আর স্বক্লা সেখানে দাড়াইল না। একজনের হাতে একটা মগ-বাতি মিটুমিটু করিয়া জলিতেছিল ; সে সেট ফস্ করিয়া তাহার হাত হইতে কড়িয়া লইয়া দ্রুতপদে মুড়ঙ্গের ভিতর নামিয় পড়িল । সে যেখানে কাজ করিতেছিল, সেইখানে আসিবার পূৰ্ব্বে খাদের ভিতর যাহার সহিত তাঙ্গর দেখা হইল, তাহাকেই মাহির কথা জিজ্ঞাসা করিল ; কিন্তু কেহই কোন উত্তর দিতে পারিল না। পাগলের মত সে চুটিয়া আসিতে আসিতে চীৎকার করিয়া ডাকিল,—মাহি ! মাহি ! ঠিক সেই সময়েই বড় কা মাহিকে একা দেখিতে পাইয়া উল্লাসের সহিত তাহার দিকে অগ্রসর হইতেছিল। হকলার ডাকেসে দাড়াইয়া পড়িল, ও মাহির উচ্চ কণ্ঠস্বর শোনা গেল—এই ঠিনে আয় জলদি । না হ’লে বড় কা আমাকে মরাই দিবে। so স্থকলার চোখ দু’টা ভাটার স্তায় বড় হইয়া উঠিল। দৃঢ়হস্তে গাইতিষ্ট বাগাইয়া ধরিয়া সে কৃতান্তের ন্যায় ভুগ্রসর হইল। • একটু আসিয়াই সে দেখিল বড় কা পলাইয়া যাইতেছে । সে তাহাকে লক্ষ্য করিয়া সজোরে গাইতিটা ছুড়িল। ভয়ে মাহি চক্ষু মুদিত করিল। কালীর পিপাসা না জানি কি ভীষণভাবে নিবৃত্ত হইবে! লক্ষ্য-চু্যত গাইতিখানা কয়লার দেওয়ালে প্রায় অৰ্দ্ধেকটা ঢুকিয়া গেল; কাঠের বঁটিখানা ভাঙ্গিয়া গেল। বড় কাউৰ্দ্ধশ্বাসে দৌড়িয়া পলাইয়া গেল । মাহি তখনও ভয়ে কঁাপিতেছিল। স্বকুল গাইতিখানা দুচারবার টানাটানি করিয়া বাহির করিতে না পারিয়া মাহির কাছে গেল, ও সন্তপণে তাহাকে হাত ধরিয়া খাদের বাহিরে লইয়া আসিল । 鬱 ( e ) পরদিন পঞ্চায়েতের নিকট মুকুলা যখন বড় কার বিরুদ্ধে তাহার স্ত্রীকে নির্জন খাদের মধ্যে পাইয়া আক্রমণ করিবার চেষ্টার অভিযোগ করিল, তখন বড় কা ইহার কোনও প্রতিবাদ করিতে পারিল না, নীরবে তাহার অভিযোগ মাথা পাতিয়া লইল । তাহার যত দোষই থাকুক, সত্যকে সে বরাবর মানিয়াই আসিয়াছে ; যেখানে একট মিথ্যা বলিলেই সে কোনও গুরুতর বিপদ হইতে উদ্ধার পাইতে পারে, সেখানেও বুক ফুলাইয়া দাড়াইয়া সকলের সম্মুখে সত্য ঘোষণা করিতে বড় কা এতটুকুও দ্বিধা করে নাই । পঞ্চায়েতের নেতা অভিযোগ শুনিয়া যখন বড় কার দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিল,—মুক্লা যা কইছে, সব সত্যি ? তখন সে বিনা সঙ্কোচে উত্তর দিল,—ই । বড় কার উত্তরে আশ্চৰ্য্য হইয়া কিঞ্চিৎ ক্রুদ্ধস্বরেই নেতা জিজ্ঞাসা করিল,-"কেনে তুই উয়াকে ধবৃতে গেইছিলি ? অবিচলিতকণ্ঠে বড়ক উত্তর দিল,—উয়াকে এক গাইতিতে সাবাড় করথম তখন —তাহার মুখে-চোখে একটা হিংস্র ভাব ফুটিয়া উঠিল। পঞ্চায়েত হইতে তাহাকে আর-একটি কথাঁও জিজ্ঞাসা করা হইল না ; সকলেই একমত হইয়া রায় দিল, মাহি আজ হইতে খাদে যাইবে না, এবং আজ হইতে যতদিন পৰ্য্যন্ত তাহার সন্তান না হয়, রোজ ছয় আনা হিসাবে বড় কাকে দিতে ईश्व । বিনা আপত্তিতে বড় কা পঞ্চায়েতের কথা মানিয়া লইল, এবং সেদিনকার