পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e 8 oسb আমি লেখক মহাশয়কে কয়েকটি কথা জিজ্ঞাসা করিতে চাই।– ১ । বর্তমান ভারতে দেখা যায়, গুজরাত ও মহারাষ্ট্র দেশের উচ্চনীচ সমস্ত শ্রেণীর হিন্দু নারীরা মুক্ত ; তাছাদের মধ্যে পর্দা বা অবরোধ নাই। লেখক বৈদিক ধৰ্ম্মামুসরণের কথা छूजिब्रांप्छन : मशब्राझेह ব্ৰাহ্মণের অতি গোড়া হিন্দু এবং বৈদিক ধর্থের সংরক্ষক বলিয়া পরিচিত। উহাদের নারীরা মাথায় ঘোমটা পৰ্যন্ত পরে না। এতক্তির সমস্ত দক্ষিণ দেশেই দেখা যায়, হিন্দু নারীর অল্প-বিস্তর স্বাধীন এবং মুক্তভাবে চলাফির করে। ত্রিবাছুরের কথা বলিতে গিয়াও লেখক বলিয়াছেন, “সাধারণ অব্রাহ্মণ-বংশে, এমন-কি ক্ষত্রিয় নায়ার বংশেও অবরোধ-প্রথা ছিল না, এবং এখনও নাই।” পঞ্চাবেও হিন্দু নারীদের তত পৰ্ব নাই। হিন্দ্রনারীদের এই অবরোধ-হীনতার প্রথা এখন যেমন আছে আধুনিক যুগের পূৰ্ব্বেও তেমনই ছিল। অতি প্রাচীন কাল হইতেই যে এপ্রথা কলিয়া জাসিয়াছে সে বিষয়ে সন্দেহ করিবার কোনও কারণ নাই। স্বতরাং দেখা যায় ভারতের যে-যে প্রদেশ চিরকাল হিন্দু সভ্যতার অনুসরণ করিয়া.আসিয়াছে, সেখানে হিন্দু নারীদের পর্দা নাই। অথচ সেইসব দেশের উচ্চশ্রেণীর মুসলমান-নারীদের মধ্যে কঠোর অবরোধयथा विश्रभान । cनथांप्नब्र नैौष्प्डभौद्र भूनञभांन बांग्रैौद्रl.-यांशप्नद्र অধিকাংশই পূৰ্ব্বে शिन्नू झिल, (cषशन भशंब्रांप्ड़ेब्र निब्ररथभौग्न भूनलभांन যা কেরল প্রদেশে মোগল স্ত্রীরা )—পর্দা রক্ষা করে না । অপর দিকে যে-সকল হিন্দু মুসলমানের সভ্যতা, আচার, পোষাক ইত্যাদি গ্রহণ སྐྱ་ཀཱ་ར་ཎ་ (যেমন উচ্চশ্রেণীর মারাঠ ক্ষত্রিয়েরা ) তাহারা পর্দা মানিয়া থাকে । পঞ্জাব, গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও মারাঠা অধুষিত মধ্য প্রদেশের নারীরা এবং সারা দক্ষিণ ভারতের প্রায় সমস্ত হিন্দু এবং হিন্দু হইতে দীক্ষিত অনেক মুসলমান স্ত্রীরা পর্ণাহীন ; কিন্তু উক্ত দেশসমূহের সমস্ত মুসলমান নারীসমাজ (হিন্দুধৰ্ম্ম হইতে দীক্ষিত নিম্ন শ্রেণী ছাড়া) অবরোধ ও পর্দায় আবদ্ধ। ইহা হইতে কোন নিরপেক্ষ লোক কি সিদ্ধান্ত কল্পিবেন যে, মুসলমান নারী হিন্দু নাক্ট হইতে পর্দা ও অবরোধ-প্রথা শিখিয়াছে ? 遵 ২। বর্তমান যুগে দেখা যায়ু মুক্তপ্রদেশ, বিহার-উড়িষ্যা ও বাংলা দেশে পর্দার কড়াকড়ি। কিন্তু এইসব দেশেও কেবল মুসলমান নারীর মধ্যেই পূর্ণ অবরোধ বিদ্যমান। হিন্দু নারীর মধ্যে সৰ্ব্বশ্রেণীতে, সৰ্ব্বস্থানে বা সর্বসময়ে পূর্ণঃপর্দা রক্ষিত হয় না। উক্ত প্রদেশসমূহে (ক) উচ্চ শ্রেণীর হিন্মুনারীর মধ্যেই পর্দার প্রচলন, নিম্ন শ্রেণীর স্ত্রীলোকের প্রায়ই পর্দা রক্ষা করেন না । (খ) সহরেই হিন্দু নারীদের পর্দার কঠোরতা : পাড়গয়ে উচ্চনিম সৰু শ্রেণীর মেয়েদের ভিতরই অনেকটা মুক্ত ভাব আছে।

  • (গ) তীর্থে, দেবালয়ে, গঙ্গাস্নানে, মেলার এবং অঙ্কপ্রকার ধর্থোৎসবে হিন্দু নারীরা পর্দা রক্ষা করে না। লেখক মুসলমান নারীদের বোকা পরিয়া মসজিদে যাইৰায় কখা বলিয়াছেন, কিন্তু উল্লিখিত কারণে যত হিন্দু নারী প্রকাস্তে বাহির হয়, তাহার তুলনায় কয়জন মুসলমান নারী বাহিরে আসে ?

হিন্দু যেখানে পর্দা রক্ষা করে, সেখানেও মুসলমানের মত কঠোরত নাই। মুসলমান নারীকে পুরুষের দৃষ্টি হইতে পূর্ণভাবে গোপন করিবার যে চেষ্ট হয়, হিজুনারীদের পক্ষে তাঁহা হয় না । - উক্ত প্রদেশসমূহে মুসলমানরাজ্যের দৃঢ় প্রতিষ্ঠা এবং মুসলমান ভ্যতার বিষ্কার টুয়াছিল। যেখানে মুসলমান সভ্যতার প্রভাব যত वनैौ, ८भर्षांटम हिन्दूनांबँौंब जवाब्रांप्षब्र कळांबठleठ cवनौ । cवर्षांप्न خاننشستصح - سفی - سمته প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩১ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড মুসলমানের সংখ্যা বেশী, সেখানে হিন্মুনারীর অবরোধের প্রসার বেশী। প্রথমোক্ত কারণে বাংলা হইতে যুক্তপ্রদেশে হিন্দু নারীর পর্দা বেশী । দ্বিতীয় কারণে দেখা যায়, পশ্চিম বাজলায় হিন্দু নারীরা যেমন পথেঘাটে রেলগাড়ীতে এক চলফিয়া করে, পুৰ্ব্ববাঙ্গলায় সেরূপ করে না । উপরে উক্ত বিষয়গুলি বিবেচনা করিলে কি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক বলিবেন, হিন্দু হইতে মুসলমান পর্দার প্রথা শিখিয়াছে ? ৩ । ভারতের বাহিরে যে-সব দেশে মুসলমান নারীর পর্দা আছে, সেখানে তাহারা তাহ পাইল কাহার নিকট হইতে ? লেখক প্রোচীন সংস্কৃত সাহিত্য হইতে প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করিয়াছেন। রাজরাণীদের লোকচক্ষুর অগোচর থাকা জাতিবিশেষের রীতিনীতির পরিচায়ক নহে। লেখক সংস্কৃত সাহিত্য হইতে এমন দৃষ্টান্ত দিতে পারেন কি বাহা দ্বারা প্রমাণ হয় যে, মুসলমানগের পূৰ্ব্বে ভারতের নারী-সাধারণের মধ্যে মুসলমানের মত অবরোধ-প্রথা ছিল ? মহাকাব্যে, কাব্যে, নাটকে, পুরাণে, গল্পে, নারীদের মুক্ত গতিবিধির কথাই পাওয়া ষার এবং মনে হয় প্রাচীন হিন্দুনারীরা আধুনিক গুজরাতী মারাঠীর মতই মুক্ত ছিল। তবে আধুনিক ইউরোপ আমেরিকায় যেমন স্ত্রীপুরুষের মধ্যে মুক্তভাবে মেল-মেশা কিংবা স্ত্রীলোকের পূর্ণ স্বাবলম্বন এবং স্বাধীনভাব দেখা যায়, তাহা মহারাষ্টাদি দেশের নিম্ন শ্রেণীর নারীদের মধ্যে ভিন্ন, অস্ত কোথাও দৃষ্ট হয় না। বোধ হয় প্রাচীন কালেও উচ্চশ্রেণীর নারীপুরুষের মধ্যে তেমন মেলামেশা বা নারীদের তেমন পূর্ণ স্বাধীনভাব ছিল না। ভারতীয় নারীর মধ্যে চিরকালই একটা সঙ্কোচের ভাব রহিয়াছে, এবং মুক্তির মধ্যেও এই সঙ্কোচ বা লজ্জা হিন্দুনারীর বিশেষত্ব । সামাজিক কোন একটা প্রথা শুধু বাহিরের জিনিষ নয়, সমাজের মনের সঙ্গেও তাহার যোগ আছে । হিন্দুর মনোভাব একটা স্বপ্রতিষ্ঠিত আদর্শ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইয়াছে। একজন হিন্দু বীর এক কঠোর সন্ধিক্ষণে জগতের সম্মুখে এ-আদর্শের জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত দেখাইয়া গিয়াছেন। কল্যাণ জয় করিয়া সেনানায়ক আবাজী মুসলমান বিজেতার অনুকরণে মুসলমান স্ববেদারের রূপসী তরুণী পুত্রবধূকে শিবাজীর নিকট যুদ্ধের আহরণস্বরূপ আনিয়া উপহার দিলেন। তখন শিবাজী সেই তরুণীর মুখের পানে চাহিয়া বলিলেন, “আমার মা যদি তোমার মত সুন্দর হইত, তবে আমার কি সৌভাগ্য হইত, আমিও কত স্বন্দর হইতাম " [ এঘটন মুসলমানের লিখিত গ্রন্থেও লিপিবদ্ধ আছে । ] হিন্দু বিজয়ী এই এক কথায় মুসলমান নিজেতার হন্তে হিন্মুনারীর যুগ-যুগ-ব্যাপী লাঞ্ছনীর শ্রেষ্ঠ প্রতিদান দিয়াছেন। হিন্দুর নারীর প্রতি এই মৰ্য্যাদার আদর্শ যে বর্তমানে ও অতীতে স্ত্রীস্বাধীনতার সহায় হইয়াছে, তাহাতে সন্দেহ কি ? o এআদর্শ যখন ভারতের সর্বশ্রেণীর লোক গ্রেহণ ও অনুসরণ করিবে তখন আর কোথাও নারীর অবরোধের প্রয়োজন হইবে না । নারীর স্বাধীনতা দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হইবে,—যেমন পূৰ্ব্বে ভারতে হইয়াছিল । a শ্ৰী অবিনাশচন্দ্র বস্থ आदरब्रांश-अश्वएक त्रांभि यांश्t दि তাহা যে সৰ্ব্ববাদি-সন্মত হইবে সে আশা করি নাই, কারণ প্রমাণস্বরূপ সেকালের কোনও ইতিহাস দেখাইতে পারা যায় না। কিন্তু সকল দোষ ইসলামের স্বন্ধে চাপান অস্কায় হইবে। এই ইসলামে পর্দা-সম্বন্ধে কেবল এইমাত্র জাছে ৪—