পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و ح سيا মধ্যে ৭৮•• বর্গ, ফুট নাইট্রোজেন, ২১•• বর্গ ফুট অক্সিজেন, ৪ বৰ্গ ফুট কাৰ্ব্বনিক অ্যাসিড গ্যাস ও বাকী ৯৬ বৰ্গ ফুট জলীয় বাষ্প প্রভৃতি অন্তান্ত গ্যাস । নাহট্রোজেন বায়বীয় মুল *Wić Gaseous element বায়ু হইতে নাইট্রোজেন পাওয়া যায়, আবার রাসায়নিক প্রক্রিয়া দ্বারা নাইট্রোজেন সমম্বিত যৌগিক পদার্থ হইতেও নাইট্রোজেন প্রস্তুত করিতে পারা যায়। ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দে লর্ড, র্যালে ও র্যামজে নানাপ্রকার মৌলিক বায়ুর আপেক্ষিক গুরুত্ব (specific gravity of gascous elements ) fàëîäzsi faȚ<ř of*r* *INsı লক্ষ্য করেন যে, সাধারণ বায়ু হইতে প্রস্তুত নাইট্রোজেনের আপেক্ষিক গুরুত্ব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত নাইট্রোজেনের আপেক্ষিক গুরুত্ব অপেক্ষ সামান্ত কিছু বেশী। তিনি প্রথমে ভাবিয়াছিলেন যে, দুই প্রকারে প্রস্তুত নাইট্রোঞ্জেনের অণুর মধ্যে পরমাণু সংখ্যার । বিভিন্নতা বা পরমাণুসমূহের বিন্যাসের বিভিন্নতার (difference in the number of atoms in the molecule or difference in the intramolecular arrangements of the atoms-Allotropy) ë, J &#FIRig পার্থক্য হয়। এইপ্রকার ঘটনা রসায়ন শাস্ত্রে বিরল নয়—হীরক, গ্র্যাফাইটু ও কয়লা সবই মূল পদার্থ কাৰ্ব্বন ছাড়া কিছুই নয় কিন্তু উপরি উক্ত কারণের জন্তই ইহাদের আপেক্ষিক গুরুত্বের যথেষ্ট পার্থক্য আছে । র্যামজে কিন্তু র্যালের এই সিদ্ধান্ত মানিম্বা না লইয়৷ অকুমান করিতে লাগিলেন যে, বায়ুমণ্ডল হইতে প্রস্তুত নাইট্রোজেনের মধ্যে অজ্ঞাত নূতন কোন মূল পদার্থ আছে । এই মতদ্বৈধের স্বমীমাংসা করিবার জন্য উভয় বৈজ্ঞানিক ভিন্ন-ভিন্ন পথ অবলম্বন করিলেন । এইসঙ্গে একটা কথা বলা আবশ্যক যে, জলের বিশ্লেষণ কৰ্ত্ত ক্যাভেণ্ডিস প্রায় এক শত বৎসর পূৰ্ব্বে দেখাইয়াছিলেন যে, সাধারণ বায়ুর মধ্যে ক্রমাগত তড়িৎ প্রয়োগ করিবার পর নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন মিলিয়া ঘে যৌগিক পদার্থের উৎপত্তি হয় উস্থা ক্ষার দ্বারা শোষণ করিয়া লইলে অতি ক্ষুদ্র একবিন্দু বায়ু অবশিষ্ট থাকে। বায়ু-বিন্দুর পরিমাণ অতিশয় অল্প ছিল, এজন্ত তিনি প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩১ [ २8न छोण, sञ थe ऐश लट्टेग्नां পরীক্ষা করিতে পারেন নাই। র্যালে আধুনিক যন্ত্রাদি ব্যবহার করিয়া পূৰ্ব্বেক্ত-প্রকারে সামান্তপরিমাণ গ্যাস প্রাপ্ত হন ও প্রমাণ করেন যে, উহা সাধারণ বায়ু অপেক্ষা ঘন। অন্ত দিকে র্যাম্জে বায়ু হইতে অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন রাসায়নিক প্রক্রিয়া দ্বারা দূরীভূত করিয়া প্রায় একশত ঘন সেন্টমিটার পরিমাণ বায়ু প্রাপ্ত হন। তৎপরে রশ্মি-বিশ্লেষণ যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা করিয়া প্রমাণ করেন যে, নূতন আবিষ্কৃত গ্যাসটি একটি মূল পদার্থ। এই সঙ্গে বর্ণচ্ছত্র ও রশ্মিবিশ্লেষণ যন্ত্র দ্বারা নূতন বিশ্লেষণ প্রথা সম্বন্ধে কিছু বলা আবশ্যক । ত্রিকোণ কাচ-ফলকের মধ্য দিয়া সাধারণ শুভ্ৰীলোক আসিতে দিলে উহা বিশ্লিষ্ট হইয়া লোহিত পীতাদি বর্ণযুক্ত একটি অপূৰ্ব্ব দৃপ্ত রচনা করে, বৈজ্ঞানিকেরা ইহাকেই spectrum বা বর্ণ-ছত্র বলিয়া থাকেন। ত্রিকোণ কাচ ফলকের এই বর্ণবিশ্লেষণী শক্তির কথা সকলেই অবগত আছেন । শুভ্রালোক-বিশ্লেষণজাত বর্ণ-বৈচিত্র্য আমরা রামধন্থর অপূৰ্ব্ব বর্ণবিন্যাসে ও পত্র প্রাস্ত সংলগ্ন শিশির বিন্দুতে বাল সৌর-কিরণের অদ্ভুত বর্ণচ্ছটাতেও দেখিতে পাই। বর্ণ-ছত্রের আদিম ইতিহাস পর্য্যালোচনা করিলে সাবু আইজ্যাক নিউটনের কথা প্রথমেই আসিয়া উপস্থিত হয়। সাধারণ শুভ্রালোক যে রামধন্থস্থ কয়েকটি বর্ণের সমষ্টি তাহ নিউটনই খৃষ্টীয় ১৬৭৫ অব্দে সৰ্ব্বপ্রথম প্রচার করেন। একটি অন্ধকার গৃহে ক্ষুদ্র ছিত্র দ্বারা স্বৰ্য্য-কিরণ প্রবিষ্ট করাইয় পরে পূর্ববর্ণিত ত্রিকোণ কাচ-সাহায্যে আলোক বিশ্লিষ্ট করিয়া সোহিত পীত বেগুনে ইত্যাদি কয়েকটি বর্ণ-ছত্র অর্থাৎ বর্ণ-শ্রেণী ইনিই সৰ্ব্বপ্রথম বিজ্ঞানের আয়জীভূত কমিয়াছিলেন। স্বৰ্য্যালোক বিশ্লেষণ দ্বারা আমরা যে বর্ণচ্ছত্র প্রাপ্ত হই, তাহাতে লোহিতাদি বর্ণ অবিচ্ছিন্নভাবে সজ্জিত থাকে, কেবল ইহার মধ্যে সৌর বর্ণচ্ছত্রের প্রধান লক্ষণ কতকগুলি কৃষ্ণ রেখা স্থানে স্থানে দৃষ্ট হয়, কিন্তু এই কৃষ্ণ রেখাগুলি অতিশয় স্বল্প বলিয়া স্কুল দৃষ্টিতে সাধারণ বর্ণচ্ছত্ৰ পৰ্য্যবেক্ষণ করিলে এগুলি সহসা পরিলক্ষিত হয় না। ১৮১৪ খৃষ্টাব্দে দুইখানি ভিন্নপ্রকৃতির