পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮২২ অনন্ত গগনের একটুকরা ছবি। ১•• ইঞ্চি টেলিস্কোপের সাহায্যে এই ছবি তুলিতে গিয়া মাঝখানে ঘোড়ার মাথার মতন একটি নির্বাপিত গ্রহের ছবি উঠে। পৃথিবী হইতে ইহা কতদূরে ভাদিতেছে, তাহ বলা যায় না। এই ঘোড়ার মুগুটি আকাশের অনেক তারাকে আমাদের দৃষ্টিপথ হইতে ঢাকিয়া রাথিয়াছে আপন খেয়ালে ভাসিয়া চলিয়াছ, এবং পৃথিবী হইতে যে কত দূরে ইহার বাসস্থান তাহা মানুষের ; মন কল্পনাতেও আনিতে পারে না। ভাল টেলিস্কোপ না থাকার জন্ত এতদিন আকাশের অনেক পুরানো জিনিষ আমাদের চোখে পড়ে নাই। এখন ক্ৰমে-ক্রমে তাহার। আমাদের চোখের সাম্নে আসিতেছে। টেলিস্কোপের মধ্য দিয়া দেখিলে আকাশে মাঝে-মাঝে একটা একটা স্থান যেন জমাট আলোর মতন দেখায়। এই জমাট আলো আয় কিছুই নয়, অসংখ্য তারকারাঞ্জির জটলা । এই সমস্ত তারার আলোক-রশ্মি পৃথিবীর দিকে প্রায় ১•,••• বছর পূৰ্ব্বে যাত্রা করিয়াছিল। ইরাকেন বীক্ষণাগারে ১৯৯৮ সালে আলোক চিত্রিত মোরহাউস ধূমকেতু— দূরন্থ তারাগুলি কেমন করিয়া ধূমকেতুর পুচ্ছের ঝাপস মেঘবৎ পদার্থের ভিতর দিয়া দেখা যাইতেছে এতদিনে তাহদের পৃথিবী-অভিখুখে যাত্রা শেষ হইয়াছে। আলো প্রতি সেকেণ্ডে ১৮৬,• • • মাইল বেগে চলে। আকাশের মধ্যে এইসমস্ত জমাট আলোর মধ্যে এমন অনেক তারা আছে, যাহারা আমাদের শুর্য হইতে বেশ কিছু বড়। এই প্রকার এক-একটি তারাকে অতিক্ৰম করিতে একটি আলোক-রশ্মির প্রায় ৬• • • বছর সময় লাগে এই চিত্রের মধ্যস্থলে অজ্ঞাতস্বরূপ sআকৃতিবিশিষ্ট-অসংখ্য মণিৰৎ