পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] নূতনে ও পুরাতনে, গঠিত ও অগঠিত তার বিপুল অসীম বিশ্বে যিনি তার হরষ-ব্যথার " চিরসাক্ষী চিরদিন, অন্তরালে তার বক্ষতলে একটি বাংসল্য শুধু চিরজন্ম দীপসম জলে ; উখানে-পতনে তার নিপিমেষে রহে প্রতীক্ষিয়৷ বিনিদ্র শয়ন-পরে একখানি স্তন্ধ মাতৃহিয়া যুগ হতে যুগে ।... সারানিশি সারাদিন আজি উৎসব-বাশীর স্বরে বারেবারে উঠতেছে বাজি কোন আশা অন্তরের কক্ষে-কক্ষে, কোন দীপ জালা, দুয়ারে দুয়ারে মোর কে দুলাল কুমুমের মালা কার শুভ জনম-লগনে! সবাকার মুথে চাহি আজি আমি ভাসি অশ্রদ্ধারে –নাহি নাহি শত্ৰু-মিত্র কেহ, আজি আপনে ও পরে কোথাও বিচ্ছেদ নাহি, দু-দিনের তরে সবারে কুড়ায়ে পেহ্ল অন্তরের মাতৃ-অঙ্কে মম অসহায় নিরুপায় অবুঝ শিশুর দল সম নিত্য নব পরিচয়ে, নিত্য-নিত্য নবজন্ম-মাঝে । কে রে তুই, ও পাতকী, রয়েছিস্ একি মিথ্য সাজে ছদ্মবেশে, দৃষ্টিতে কি ঘৃণা তোর, এ কি অন্ধকার শ্ৰীকুটিতে, বাক্যে তোর হলাহল, কুংসিত-আকার আন্তর্জাতীয় তত্ত্ববিদ্যাপরিষৎ Gtچسb সারা জীবনের তোর কুৎসা-ইতিহাস । তবু তুই আয় আরো কাছে আয়, শিরে তোর ধীরে ধীরে খুই এ আমার শুভস্পর্শ প্রীতিস্নিগ্ধ । আয় তার পরে ; তাকাইয়া তোর দু'টি স্বপ্তবহ্নি দৃষ্টির ভিতরে হেরি তোর সত্য রূপ —তোর মাঝে হেরি সে শিশুরে, একদা যে স্নিগ্ধহাস্তে, অকলঙ্ক নয়নের স্বরে, ক্রনদনের শহরবে, জননীর বিগলিত হিয়া শুভ্র স্বধা-উৎসরসে স্তনমুখে আনিল বাহিয়া 尊 ভগীরথ সম —মম চিত্তমাঝে শুনি কল্লোলে বহিয়া আসে অনাবিল সেই স্বরধুনী, সে পবিত্র স্নেহরস —ম্পর্শে তার ওঠে সঞ্জীবিয়া যত ভস্ম-অবশেষ, তোর যত অৰ্দ্ধদগ্ধ হিয়া, তোর যত পাপের মরণ দৈবশাপে, সকলে শিহরি’ কাপে জীবনের সঘন স্পন্দনে। আজি কি দুরন্ত আশা, জাগাইলি বক্ষে মোর, বুঝাব যে কোথা হেন ভাষা, ওরে তুই প্রবঞ্চক, রে ঘাতক, তস্কর, ভিক্ষুক, চাহিতেছি যেথা তোর বক্ষমাঝে করে ধুকধুক্‌ স্বগোপন শিশু-হিয়া, ললাটে ললাট তোর রাখি’ শুনি’ স্নিগ্ধ শিশু-হাস্য, হেরি তোর অকলঙ্ক আঁখি । @ • আন্তর্জাতীয় তত্ত্ববিদ্যাপরিষৎ ভারতবর্ষ অতি প্রাচীনকাল হইতেই নানা বিষয়ে কৃতিত্ব দেখাইয়া আসিতেছে, কিন্তু তত্ত্ববিদ্যার অনুশীলন চিরদিনই এদেশে শীর্ষস্থানীয় বলিয়া পরিগণিত হইত। এইজন্য ভারতবর্ষ তত্ত্ববিদ্যা বা অধ্যাত্মবিদ্যায় যেরূপ প্রসিদ্ধি লাভ কঠিয়াছে, এরূপ আর কোনও দেশই নহে। প্রায়ু সাৰ্দ্ধ-দ্বিসহস্ৰ বুৎসর ধরিয়া এই তত্ত্ববিদ্যার আলোচনা শিষ্যপরম্পরায় ধারাবাহিক ক্রমে চলিয়া আসিয়াছে। জৈন, বৌদ্ধ, সাস্থ্য, যোগ, মীমাংস, বেদান্ত ন্যায়, বৈশেষিক, শৈব ও শাক্ত তন্ত্র, পাঞ্চরাত্র, বিবিধ বৈষ্ণব শাখা প্রভৃতি বিভিন্ন বিভিন্ন দর্শনে ও প্রত্যেক দর্শনের শিষ্যপ্রশিষ্যানুসারিণী শাখা-প্রশাখায় যে ধৰ্ম্ম, তত্ত্ববিদ্যা, তৰ্কশাস্ত্র প্রভৃতি সম্পর্কে কত মত প্রচারিত, স্থাপিত ও প্রত্যাখ্যাত হইয়াছে তাহার ইয়ত্ত করা কঠিন। শুধু বাঙ্গলার কথা বলিতেছি না, সমস্ত ভারতবর্ষেই এরূপ কম লোকই আছেন, র্যাহারা সমস্ত মতবাদের ভালরকম খবর রাখেন, এবং দর্শনশাস্ত্রের কোন কোন বিভিন্ন শাখায় ও অংশে ভারতবর্ষের কতটুকু কৃতিত্ব তাহা জানেন এবং গ্রন্থাদি দ্বারা সকলকে জানাইবার চেষ্টা