পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ty Soo অনুভব করিতেছেন না ? , দলবাহাদুর গিরি এখন ইসপাতাল হইতে নিজ গৃহে অবস্থান করিতেছেন । যাহার শক্তিতে যতটুকু কুলাইবেতিনি ততটুকুই সাহায্য করুন। যাহা পারেন ৩৮২ নং এলগিন রোড, কলিকাতা, প্রযুক্ত কুভাষচন্দ্র বসুর নিকট প্রেরণ করিবেন। --সারণি নারী-অভ্যাচারী গুণ্ডা --- বড়ই লজ্জার কথা যে অনেক গণ্যমান্য মুসলমান নারী-অত্যাচারী গুণ্ডাদের সমর্থন করিয়া থাকেন। তঁtহার বলেন, স্বেচ্ছার হিন্দু রমণীর বাহির হইয়া আসিয়া মুসলমানকে নিকা করিতে চায়ষ্ট হাতে মুসলমানের দেব কি ? ভগবান জানেন, একথা কতদূর সত্য । পুর্ববঙ্গে কত মুসলমান যে বলাৎকারের মোকদ্দময় জেলে যাইতেছে নেতাগণ তাহার কি হিসাব রাখিয়াছেন ? অনেক সময় রমণীদের উপর যে-সকল ভীষণ অত্যাচারের সংবাদ পাওয়া যায় তাহা কখনই রমণীদের সন্মতিতে হইতে পারে না । আর যদিই কোন রমণী দুর্বলতার বশে কুলের বাহির হইতে চায়--তলে, একাৰ্য্যে যাহারা তাহার সহার হয় তাহারা কি সমাজের মিনার পাত্র নহে ? একশত অত্যাচারের মধ্যে একটা ব্যাপারে এমন থাকিতে পারে যে, হয়ত স্ত্রীলোকটির মত ছিল। এইজস্ব সমগ্র মুসলমান-সমাজ, মুসলমান নেতাগণ চুপ করিয়া থাকিবেন— অীর গুণ্ডার নিৰ্ব্বিবাদে অত্যাচার করিলে । —-সারথি দি ইম্পিরিয়াল ব্যাঙ্ক-— ভারত-গবর্ণমেণ্টের রাজস্ব-সচিব স্যার বেসিল ব্ল্যাকেট ভারতীয় ব্যবসায়ীসঙ্ঘের সভায় বক্তৃতা-প্রসঙ্গে বলিয়াছেন, ইম্পিরিয়াল ব্যাঙ্কের কতকগুলি শাখা স্থাপনের প্রধান বিঘ্ন, উপযুক্ত কৰ্ম্মচারীর অভাব। ইতিপূৰ্ব্বে ইম্পিরিয়াল বtাঙ্কের একশত শাখা খুলিবার যে, প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছিল, তাহ। এপযস্ত পূর্ণ করা হয় নাই। ব্র্যাকেট কৈফিয়ৎ দিতেছেন, অভিজ্ঞ কৰ্ম্মচারী পাওয়া যাইতেছে না । কিন্তু এই প্রসঙ্গে স্যার ব্ল্যাকেটু একথা উল্লেখ করেন নাই যে, ইম্পিৰিয়াল ব্যাঙ্কে ভারতীয়গণকে শিক্ষানবিলী করিবার জন্ত কি হযোগ প্রদান করা হইয়াছে ? বাঙ্কের কায্যে অভিজ্ঞ ইংরাজ কৰ্ম্মচারী পাওয়া বাইতেছে না,—ইহাই কি ব্যাঙ্কের শাখা খুলিবর অস্তুরায় ? ব্যাঙ্কের বড় কৰ্ত্তার যদি স্বজtfত প্রতিপালন করিবার মহৎ উদেখ হৃদয়ে পোষণ না করিতেন, তাহা হইলে নিশ্চয়ই অভিজ্ঞ ভারতীয় কৰ্ম্মচারীর দ্বারা অভাব পূর্ণ করিতে উদাসীন থাকিতেন না । ভারতীয়গণ পরিচালিত অনেক ব্যাঙ্ক আজ ব্যবসাক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা অর্জন করিয়াছে । থোদ ইম্পিরিয়াল, ব্যাঙ্কে চুড়ার উপর ময়ুরপাখার মত মোটা বেতনভোপা সাহেব লোক থাকিলেও ভারতীয় কৰ্ম্মচারীই প্রকৃতপক্ষে প্রশংসার সহিত একাল পয্যন্ত ব্যাঙ্কের কার্য পরিচালন করিতেছেন। ইম্পিরিয়াল ব্যাঙ্কের ভারতীয় কৰ্ম্মচারীদের কার্য্যদক্ষতা ও সততা প্রশংসনীয়। শ্বেতাঙ্গদের যে কি পরমাশ্চর্য্য ধোগ্যতা আছে, তাহা আমরা জানি না ; তবে ইম্পিTরয়াল ব্যাঙ্কে পর-পর যে-কয়েকটি জুঃtটুী ধরা পড়িল, সেদিন কলিকাতাতে ও যে একটি এইরূপ প্রতাবণlর সংধদ পাওয়া গিয়াছে, তাঁহাই যাঙ্কের অপৰ্য্যাপ্ত অর্থে পুষ্ট শ্বেতাঙ্গ কৰ্ত্তাদের কার্য্যদক্ষতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। স্যার ব্র্যাকেট অবস্থা ভারতীয় কৰ্ম্মচারী নিয়োগ করা হইবে কি না. অথবা ভারতীয় শিক্ষানবীশদিগকে ব্যাঙ্কের কার্যে। গ্রহণ করা হইবে কি না, সেসম্বন্ধে কোন কথা কহেন নাই । জিজ্ঞাসা করিলে তাহারা যে উত্তর দিবেন, তাহা আমরা জমি। গোষ্ঠীবর্গসহ প্রতিপালিত হইবার এমন সুযোগ যে সহজে ব্লকেটের দল ছাড়িবেন না, তাহাও আমরা জানি । —জানঙ্গবাজার-পত্রিকা প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড লর্ড লিটন ও মহাত্মাজী— মহাত্মা গান্ধী লিখিয়াছেন, লর্ড লিটন কোন সাহসে এরূপ অপমানকর বাক্য বলিতে সাহস করিয়াছেন ? যদি বাঙ্গলাদেশের—তথ। ভারতবর্ষের জনমতের কোন কাৰ্য্যকরী শক্তি থাকিত তবে লর্ড লীটন এরূপ কথা বলিতে সাহস পাইতেন না । কিন্তু দেশে এখন এমন কোন জনমত নাই যাহা জোরের সঙ্গে আত্মপ্রকাশ করিতে পারে। কিন্তু যতবড় শক্তিশালী ব্যক্তিই হোক, কেহ যেন না মনে করে যে, তাহারা চিরদিনই ভারতবাসীদের আত্মমর্য্যাদাকে এইরূপে আঘাত করিতে পারিবে । হিন্দু-মুসলমানের বিবাদ এবং পরিবর্তনকামী ও পরিবর্তনবিরোধীদের মতভেদ জাতীয় আন্দোলনের ক্ষণস্থায়ী কলঙ্ক, কিন্তু উচ্চপদস্থ ইংরেজদের এইসব ঘোর অপমান-বাক্য জাতির হৃদয়ে চিরকালের জন্তু গম্ভীরভাবে দাগ কাটিয়া দেয় । —আনন্দবাজার-পত্রিকা বিশ্ব ভারতী-সংবাদ--- সমাজশাস্ত্র ও অর্থনীতির বিথ্যাত অধ্যাপক শ্রীরজনীকান্ত দাস মহাশয় বিশ্বভারতীতে অধ্যাপন করিতেছেন । তিনি এক্ষণে আশ্রমের পার্শ্ববৰ্ত্তী গ্রামসমূহে ভ্রমণ করিয়া স্বচক্ষে গ্রামবাসিদের অবস্থ৷ পর্যবেক্ষণ করিতেছেন । শীঘ্রই তিনি এবিষয়ে ধারাবাহিক-ভাবে লিথিতে কুর করিবেন। ‘প্রায় বিশ বৎসরের কঠোর পরিশ্রমের ফলে অধ্যাপক শ্ৰীযুত হরিমোহন বন্দোপাধ্যায় মহাশয়ের বtংলা ভাষার অভিধান সম্পন্ন হইয়াছে। প্রকাশিত হইলে ইহা একথানি অত্যুৎকৃষ্ট গ্রন্থ বলিয়া সমাদর লাভ করিবে সন্দেহ নাই । —-শাস্তিনিকেতন-পত্রিকা ংলায় জল প্লfবন-— নোয়াখালি প্রথমে অনাবৃষ্টিতে, পরে অতিবৃষ্টিতে অtশু ধান্ত প্রায় সকলই নষ্ট হইয়া গিয়াছে । অতিবৃষ্টিতে আমন ধাস্তের বথেষ্ট পংতি হইবে বলিয়া মনে হয় । সন্দ্বীপে চাউল ৮॥• । ৯২ টাঙ্ক । গ্রামে ৮ টাকার কম। চাউল পাওয়; যায় না । সহরে ৭M• আন ৮ টাকা দুগ্ধ - আন /• আনা সের বিক্ৰী হয় । মৎস্ত দুষ্প্রাপ্য বলিলেই হয় । নদীর লোণ জল প্রায় সকল স্থানে প্রবেশ করিয়া পানীয় জলেরও কষ্টের একশেষ করিয়াছে । কালাজ্বর ও ম্যালেরিয়া ক্ষিপ্রগতিতে তাহীদের নিজ-মিজ কৰ্ম্মে লাগিয়াছে । —দেশের বাণী বরিশাল । * এই জিলার উত্তরপূৰ্ব্বাঞ্চল জলময় হইয়াছে। ফলে আশুধান্ত সম্পূর্ণ ধ্বংস হইয়াছে । আমনধাস্তের অবস্থাও ভাল নহে—দুর্ভিক্ষের করালছায়। বাখরগঞ্জের উপর আপতিত হইতেছে । অথচ এসময় প্রত্যহ এত অধিক পরিমাণে চাউল ষ্টিমারবোগে রপ্তানি হইতেছে - কেহ ইহার প্রতিবাদের পন্থ। খুজিয়া পায় না ও অবিস্তকতা উপলব্ধি করে না, ভাই আজ ২৩ সপ্তাহের মধ্যে চাউলের দ্বর ৬, ৬ টাকা হইতে ১·. ১•• টাকা দর হইয়াছে । গত দুর্ভিক্ষের তহবিলে কতক টাকা ছিল, তাই এখন কোথায় কিভাবে আছে, তাহার সংবাদ লওরাও আবশ্যক । - —বরিশাল-হিতৈষী * - - চাদপুর চাদপুরের সংবাদে প্রকাশ, বর্ষার ভীষণ প্লাবন দেখা দিয়াছে। ৭৫খান গুহু জলমগ্ন। চাউলের সাধারণ দ্বর ৮ টাকা। পাটের দ্বর ১•১২ টাকা । —ত্রিপুরী-হিতৈধী_