পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-88 দিয়া ভারতবর্সেই দেখা যায়, ধে, মহারাষ্ট্রে বহু সন্ধান্ত মহিলারা পৰ্য্যন্ত অশ্বারোহণে নিপুণ ছিলেন । ইহার দৃষ্টান্ত ফ্যানী পার্কসের ভারতভ্রমণ পুস্তকে পাওয়া যায়। পৰ্ত্তমান সময়েও মহারাষ্ট্রে ও অন্য অনেক অঞ্চলে নারীরা ঘোড়ায় চড়িয়া থাকেন । দার্জিলিঙে অনেক বাঙালীর মেয়েও ঘোড়ায় চড়েন । র্যাহারা এসব কথা জানেন, তাহাদের নিকট বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠে শান্তির অশ্বরোহণু বা রবীন্দ্রনাথের চিত্রাঙ্গদায়, চিত্রাঙ্গদার ধন্থবিদ্যা শিক্ষা অদ্ভুত ঠেকিবে না o পেন্স্যন্‌ভোগীদের বন্ধন সরকারী কৰ্ম্মচারীর যতদিন চাকরী করেন, ততদিন বেতন-ডোরে বাধা থাকেন । চাকুরী হইতে অবসর লষ্টবার পরও র্তাহাদিগকে কিঞ্চিৎ স্বাধীনতা দিবার ইচ্ছা মান্দ্রাজ ও বোম্বাই গবর্ণমেণ্টের নাই। উভয় গবর্ণমেণ্ট, হুকুম জারি করিয়াছেন, যে, যদি গবর্ণমেণ্টের পেন্স্যনাবৃগণ গবৰ্ণমেণ্টের বিরোধী কোন আন্দোলনে যোগ দেন, তাহা হইলে র্তাহাদিগকে সাবধান না করিয়াই তাহাদের পেনস্যন বন্ধ করা হইবে। কোন-কোন আন্দোলন গবর্ণমেণ্টবিরোধী তাহা বলা হয় নাই ; বলা হইয়াছে, যে, প্রত্যেক দোষী ব্যক্তির বিচার তৎকৃত কাৰ্য্য-অনুসারে হইবে । ইহার মানে, গবৰ্ণমেণ্ট, যাহা খুী তাহাই করিবেন ; স্বকৃত কোন সংজ্ঞার বাধা ও রাখিতে চান না । একটা মত আছে, যে, পেন্সান্টা "ডেফার্ড, পে” ; অর্থাং উহা বেতনের বিলম্বে-প্রদত্ত অংশমাত্র । ইহা সত্য হইলে, মানুষ যখন আর চাকরী করিতেছে না, তখন কেন তাহাকে তাহার ন্যায্য পাওনা হইতে বঞ্চিত করা হইবে । চাকরী করিবার সময় যদি কাহারো দোষ ক্রটি হয়, তাহা হইলে তাহার বেতন কাটা যাইতে পারে। কিন্তু যখন চাকরী শেষ হইয়া গিয়াছে, এবং দস্তুরমত কৰ্ত্তব্য করিয়া যখন কোন কৰ্ম্মচারী বেতনের অংশস্বরূপ পেন্স্যন পাইবার অধিকারী হইয়াছেন, তখন তাহাকে চাকরীর সহিত সম্পর্কবিহীন কোন কারণে পেন্স্যন হইতে বঞ্চিত করা অন্যায়। প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩১ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড যদি এরূপ কোন নিয়ম থাকিত, যে, সরকারী চাকুরীতে প্রবৃত্ত হইবার সময় কৰ্ম্মচারীদিগকে আমরণ দাসখত লিখিয়া দিতে হইবে, তাহা হইলে মান্দ্রাজ ও বোম্বাই গবর্ণমেণ্টের আদেশ, ধৰ্ম্মসঙ্গত না হইলেও নিয়ম-সঙ্গর্ত হইত ; কিন্তু সেরূপ দাসখত কোন সরকারী কৰ্ম্মচারী লিখিয় দেয় না। এরূপ দাসখত চাওয়াও অসুচিত । কিন্তু হয়ত অতঃপর ভারতের সৰ্ব্বত্র মাম্রাজ-বোম্বাইয়ের মত হুকুম জারি হইবে, এবং ভবিষ্যতে সকল সরকারী কৰ্ম্মচারীর নিকট হইতে দাসখতও লওয়া হইবে। মুদ্রা-যন্ত্ৰ-আইনের নূতন অবতার কয়েক বৎসর এরূপ আইন ছিল যাহার বলে ম্যাজি .ষ্ট্রেটের বিনা বিচারে মুদ্রাঘন্ত্রের মুদ্রাকর ও সংবাদ পত্রাদির প্রকাশকদিগের নিকট হইতে বিনা বিচারে অনেক টাকা জামীন লইতে পারিতেন। কখন কখন র্তাহারা বিনা বিচারে প্রেস্ বাজেয়াপ্ত করিতেও পারিতেন। গবর্ণমেণ্টের বিরাগভাজন খবরের কাগজগুলাকে দুৰ্ব্বল করিবার বা তাহাদের উচ্ছেদসাধন করিবার এইসব অস্ত্র এখন গবর্ণমেণ্টের হাতে নাই । কিন্তু তাহ না থাকিলেও অন্য অস্ত্রের অভাব নাই । কিছুকাল পূৰ্ব্বে বোম্বাই প্রেসিডেন্সীর ধারোয়ারে পুলিস্ জনতার উপর গুলি চালায়। সেই ঘটনা-সম্বন্ধে বোম্বাই ক্রনিক্ল নামক ইংরেজী দৈনিকে প্রবন্ধ বাহির হয়। তজ্জন্য ধারোয়ারের ম্যাজিষ্ট্রেটু, পুলিস্ সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট, ও লিস্ সব-ইন্সপেক্টর, ঐ কাগজের বিরুদ্ধে মানহানির মোকদম করেন, তাহাতে হাইকোর্টের বিচারে উক্ত তিন রাজকৰ্ম্মচারী ক্ষতিপূরণস্বরূপ যথাক্রমে ১৫,০০০, ৮,০০০ ও ৫,০০০ টাকা পাইয়াছেন । শেষোক্ত দুজন ঐ টাকার স্বদ ও পাইবেন । তা ছাড়া প্রতিবাদীকে বাদীদের মোকদ্দমার ব্যয়ও দিতে হইবে। তদ্ভিন্ন বোম্বাই ক্রনিক্লের আত্মপক্ষ সমর্থনের ব্যয়ও হইয়াছে। সুতরাং - মোটের উপয় ঐ কাগজখানির পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড হইয়াছে বলিতে হইবে । হয়ত উহার মূলধন বেশী বলিয়া উহা টিকিয়া